খুঁজুন
শুক্রবার, ২০শে জুন, ২০২৫, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২

রাখাইনে আরাকান আর্মির নেপথ্যে কারা?

ইয়াহিয়া নয়ন প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:০৭ অপরাহ্ণ
রাখাইনে আরাকান আর্মির নেপথ্যে কারা?
নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৯০টি সেনা ঘাঁটি হারিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। বিগত ১৭ মাসে দেশটির বিভিন্ন নৃ–গোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনের কাছে এই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এসব ঘাঁটির মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘাঁটিই কৌশলগতভাবে এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজের এক প্রতিবেদনে।
দিন দিন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। রাজ্যটি স্বাধীন করতে ভয়ানক হয়ে উঠছে ‘আরাকান আর্মি’। এদিকে মিয়ানমার সরকার এ ‘আরাকান আর্মি’ সংগঠনটিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দেশটি এ গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করেত মরিয়া হয়ে উঠেছে। ১৮ শতকে বার্মিজদের হামলার আগে ঐতিহাসিকভাবে আরাকান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। সেই স্বাধীনতা ফিরে পেতে চায় ওরা।
ইতিমধ্যে রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক অভিযান চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। ফলে ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে রাখাইন। এদিকে বিদেশি সাহায্য সংস্থাগুলোর কর্মীরা বলছেন, রাজ্যটিতে সহিংসতা চরম রূপ নিয়েছে।
মিয়ানমারের গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে সীমান্ত এলাকার মানুষের। কয়েকদিন পরপর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শুনে আতঙ্কিত থাকে জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গারা। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার স্থানীয়রাও চরম দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো শুরু হয়েছে গোলাগুলি। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। গুলির বিকট শব্দে কাঁপছে এপারও। তাতে আতঙ্কে কোনারপাড়ার পার্শ্ববর্তী শূন্যরেখার (নো ম্যানস ল্যান্ড) আশ্রয়শিবিরে থাকা চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাংলাদেশী।
শূন্যরেখার দিকে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে ৬২১টি পরিবারে চার হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গা আছে। গোলাগুলির শব্দে তারা বেশ আতঙ্কে। গত একমাসে ওপার থেকে আসা গোলার আঘাতে তিন রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। দুই বাংলাদেশি যুবকের একটি করে পা উড়ে গেছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় আট লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরো কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। সে সময় ছয় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া খালের দক্ষিণে শূন্যরেখায় বসতি শুরু করে। ওই আশ্রয়শিবিরের কয়েক গজ দূরে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। এই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি করে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণ জানতে ৩৪ বিজিবি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে প্রতিদিনই ওপারে দুপক্ষের গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
মূলত আরাকান আর্মির অধিকাংশ সদস্য এসেছেন নৃতাত্ত্বিক বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলো থেকে। সাম্প্রতিক এসব সহিংসতায় রাখাইনে মারাত্মক নৃতাত্ত্বিক বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে, যা রাজ্যটিতে দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের ক্ষতের জন্ম দিয়েছে। রাখাইনে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে এক দশক আগে আরাকান আর্মি গঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে তারা শোষিত হচ্ছেন বলে দাবি করছে সংগঠনটি। শুরুর দিকে তাদের অনেক সদস্য রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। এসব বৌদ্ধ জেড পাথরের খনিতে কাজ করে ভাগ্য নির্ধারণে উত্তর মিয়ানমারে গিয়েছিলেন।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে তাদের জড়ো করে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কাচিন মুক্তি বাহিনী (কেআইএ)। এ সংগঠনটিই অত্র অঞ্চলে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হচ্ছে কাচিনরা। ২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে শান রাজ্যে উত্তরাঞ্চলীয় জোটের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কাচিনদের পাশাপাশি লড়াইয়ে নেমেছিল আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলীয় পাহাড়ি অঞ্চলেও চলাচল রয়েছে আরাকান আর্মির। সেখানে তাদের কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে বলে মনে করা হয়।
রাখাইনে ২০২০ সাল নাগাদ একটি বিদ্রোহ উসকে দিতে লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রচারও চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। অনলাইনে ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদ্রোহী তরুণ ও তরুণীরা কুচকাওয়াজ ও মুষ্টিযুদ্ধ চর্চা করছেন। তারা আধুনিক অ্যাসল্ট ও স্নাইপার রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়ছেন। আরাকান আর্মির আধ্যাত্মিক নেতা টিওয়ান এমরাট নেয়াংকেও মাঝে মাঝে দেখানো হয়েছে ভিডিওতে।
নিজেদের প্রচারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাখাইনকে বিভক্ত করে দেয়া বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের সহিংসতাকে এড়িয়ে গেছে আরাকান আর্মি। তবে প্রচারে অর্থনৈতিক শোষণ ও ঐতিহাসিক অবিচারের বিবরণ দিতে গিয়ে সেখানকার উর্বর ভূমির কথা সামনে নিয়ে এসেছেন তারা। সে ক্ষেত্রে আরাকান আর্মির অভিযোগের তীর মিয়ানমার রাষ্ট্র ও বার্মার নৃতাত্ত্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠদের দিকে। গত কয়েক বছরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে আরাকান আর্মির। কিন্তু গত কয়েক মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কয়েক ডজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। এখন এই লড়াই চরম আকারে পৌঁছেছে। রাখাইনে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু করে সামরিক আগ্রাসনের জবাব দিচ্ছেন তারা।
আরাকান আর্মির প্রধান টিওয়ান এমরাট নেয়াং স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতীকে বলেন, রাখাইন রাজ্যের অবশ্যই নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকতে হবে। একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী থাকার অর্থ হচ্ছে- রাখাইনের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর অস্তিত্ব টিকে থাকবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাচিন বিদ্রোহীদের কাছে প্রশিক্ষণ নেয়া আরাকান আর্মি মিয়ানমারের জন্য সম্ভাব্য বড় ধরনের সামরিক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। যেটি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের শান রাজ্যে দেশটির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে জান্তা সেনাবাহিনীর অন্তত ৮৫ সদস্য নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে সৈন্যদের প্রাণহানির পর কয়েক দিন ধরে এই রাজ্যের পেকোন শহরের মোইবিতে বিমান থেকে গোলা ও কামান হামলা চালাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শান রাজ্যের মোইবি শহরে গত চার দিন ধরে বিমান ও কামান হামলা চালিয়ে আসছে সামরিক বাহিনী। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর ৮০ জনের বেশি সদস্য নিহত হওয়ার পর হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে মিয়ানমার জান্তা।
রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরে কি ঘটছে তার সঠিক তথ্য কারো কাছে নেই। সীমান্তে বসবাসকারীদের তথ্যে ধারনা করা যায় আরাকান আর্মি অনেক এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। তাদের এই সফলতার পেছনে অন্যদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদেরও সহযোগিতা রয়েছে। ওপাড়ে সংঘাত চলমান, তাই সবটুকু মন্তব্য করা যাচ্ছেনা।
ইউকে/পিআর

যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

প্রদীপ রায় জিতু
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার তরুণ প্রজন্মের উপর। তারা শুধু স্বপ্ন দেখে না, গড়েও তোলে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশের তরুণদের চোখে স্বপ্নের দীপ্তি নেই, বুকেও নেই আশার আলো। হতাশা, বেকারত্ব, অনিশ্চয়তা এবং ভঙ্গুর নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভারে তারা দিশাহারা। প্রশ্ন একটাই এই দায় আসলে কার?

প্রথমেই কথা উঠতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে। এক সময়কার আদর্শিক, নৈতিক মূল্যবোধে গড়া শিক্ষাব্যবস্থা আজ রূপ নিয়েছে পরীক্ষা-নির্ভর, পুথিগত জ্ঞান আর অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাসের গন্ডিতে। যুগোপযোগী দক্ষতা, প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষা, কিংবা মানসিক বিকাশ এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় না বললেই চলে। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী যুবকও হতাশ হয়ে বলছে, ডিগ্রি দিয়ে পেট চলে না।

এই প্রজন্মের হতাশার আরেক বড় কারণ হলো ব্যাপক বেকারত্ব। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তরুণ উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরির বাজারে প্রবেশ করলেও, সেই তুলনায় চাকরির সংখ্যা যৎসামান্য। সরকারি চাকরি সীমিত, বেসরকারি চাকরিতে নেই চাকুরির নিশ্চয়তা। আবার যারা উদ্যোক্তা হতে চায়, তারা পাচ্ছে না সঠিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ কিংবা পুঁজি। ফলে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, আর বাকিরা থেকে যাচ্ছে হতাশায় জর্জরিত এক ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়ে।

তারপর আছে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়। তরুণদের মধ্যে যে রাজনৈতিক চেতনা একসময় জাতি গঠনের অনুপ্রেরণা জোগাত, আজ তা জায়গা করে নিয়েছে হিংসা, দলে দলে বিভাজন, এবং সস্তা লোভে চালিত কর্মসূচিতে। রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো আজ অনেক ক্ষেত্রে আদর্শচ্যুত, ক্ষমতাকেন্দ্রিক, আর গুণগত নেতৃত্ব তৈরিতে ব্যর্থ। একটি জাতি যদি তার তরুণদের নৈতিকভাবে গড়ে না তোলে, তাহলে তারা ভবিষ্যতের নয়, অন্ধকারের দায় হয়ে উঠবে।

একই সাথে নৈতিক অবক্ষয় এবং মূল্যবোধহীনতার বিষয়টিও গভীরভাবে লক্ষণীয়। সমাজে যখন দুর্নীতি পুরস্কৃত হয়, মেধা নয়; যখন সত্য বলার চেয়ে সুবিধাবাদীতায় লাভ বেশি তখন তরুণ সমাজও শিখে যায়, আদর্শে নয়, চালাকিতে টিকে থাকতে হয়। এতে স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়, আশা হারায়, দায়িত্ববোধ দুর্বল হয়।

বর্তমান সরকারসহ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো তরুণদের নিয়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। “ডিজিটাল বাংলাদেশ”, “উদ্যোক্তা উন্নয়ন”, “ই-লার্নিং” ইত্যাদি উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে অনেক তরুণই এর সুফল পায় না। বরং দেখা যায়, কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে এসব সুযোগ।

এমন এক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠছে, যেখানে তরুণদের কণ্ঠ রুদ্ধ, পথ সংকুচিত, স্বপ্ন অস্পষ্ট। তারা নিজের দেশ, সমাজ বা নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। কেউ কেউ অপরাধের দিকে ঝুঁকছে, কেউ মাদকের জালে আটকা পড়ছে, আবার কেউ বিদেশ গমনের দালালদের হাতে প্রতারিত হচ্ছে। যে বয়সে তারা উদ্ভাবন করবে, নেতৃত্ব দেবে সেই বয়সেই তারা হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের গহ্বরে।

তবে এই চিত্র পুরোপুরি নেতিবাচক নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও অনেক তরুণ স্বপ্ন দেখছে, নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে, প্রযুক্তিনির্ভর ক্যারিয়ার গড়ছে, স্বেচ্ছাসেবায় কাজ করছে, সামাজিক উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে পরিবারকে, সমাজকে, এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রকে।

তরুণদের হতাশার দায় কেবল তাদের নয়। এর দায় পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি, প্রশাসন সবাইকে ভাগ করে নিতে হবে। পরিবারে যদি শিশু দায়িত্ব নিতে না শেখে, শিক্ষা যদি চিন্তা করতে না শেখায়, সমাজ যদি উৎসাহ না দেয়, রাজনীতি যদি পথ দেখাতে না পারে তাহলে তরুণরাও হারিয়ে যাবে।

এখনো সময় আছে। তরুণদের সম্ভাবনা ফিরিয়ে আনতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে-

→ শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে হবে,

তরুণদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে,

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে হবে,

রাজনীতিতে আদর্শিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে,

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।

এই দেশের ভবিষ্যৎ এই তরুণদের হাতেই। তাদের চোখে স্বপ্ন ফিরিয়ে দিতে না পারলে, একসময় এই রাষ্ট্রই স্বপ্নহীন হয়ে পড়বে। তাই আজ প্রশ্ন নয়, আজ প্রয়োজন উত্তরদায়ী ভূমিকা।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, উত্তরের কণ্ঠ

নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সুখবরটি জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। প্রথম সন্তানের আগমনের খবরে দুই পরিবারেই বইছে আনন্দের বন্যা। 

তবে শোনা যায়, দেশের চিকিৎসকরা নাকি স্বাগতাকে সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাগতা চান নরমাল ডেলিভারি। আর সে জন্য থাইল্যান্ডে পারি জমিয়েছেন অভিনেত্রী। স্বাগতা জানান, দুই মাস ধরেই সেখানে অবস্থান করছেন তিনি।

স্বাগতার কথায়,‘আমি একটা মিশন নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছি। যদিও আমাকে বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছে  “তুমি ভুল করছ”। তবুও আমি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো যেন নরমাল ডেলিভারিতে আমার সন্তান পৃথিবীতে আসে।’

স্বাগতা আরও বলেন,‘আমি শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে সচেতন। কারণ, সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মায়েদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। প্রথমে যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সেখানে তা সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতাল বদল করেছি। এখন নতুন চিকিৎসকের অধীনে আছি এবং আশাবাদী।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ বিয়ের এক বছরের মাথায় মা হওয়ার খবর জানান স্বাগতা। স্বাগতার স্বামী দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও বন্ধু হাসান আজাদ একজন লন্ডন প্রবাসী। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানিয়েছিল, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের।

ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৯:৫২ অপরাহ্ণ
ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নতুন ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের মন কেড়েছেন। ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবিতে বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখা এই অভিনেত্রী এবার শাড়িতে ধরা দিয়ে নেটদুনিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়েছেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় কৌশানি। নিজের ভালো লাগা, ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রায়ই তিনি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে কৌশানি লিখেছেন, ‘ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলানো।’

শেয়ার করা ছবিগুলোতে কৌশানিকে দেখা যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি শাড়িতে। তার আবেদনময়ী চোখের চাহনি আর মিষ্টি হাসি মুহূর্তেই কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের নজর। অভিনেত্রীর এই বাঙালি সাজ দেখে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তার অনুরাগীরা।

কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘আপনি অনেক সুন্দর শাড়িতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘দিদিকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে এ ছবিগুলোতে।’ বোঝাই যাচ্ছে, কৌশানির এই নতুন লুক ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।

"> ">
যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার? নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি ‘নাহিদ রানার মতো পেসার আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কার মধ্যে পুতিন-শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ট্রাম্প ইরানে ফোন করে জানছে সবাই: ‘আমিরাতের দুয়ার কবে খুলবে?’ ‘সম্ভাব্য যুদ্ধের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক ইরানের ভয়ে কাতার-বাহরাইন থেকে যুদ্ধবিমান-জাহাজ সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের সঙ্গে অবিশ্বাস্য অংশীদারিত্বের দাবি নেতানিয়াহুর তেহরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিতে ট্রাম্পের প্রতি স্টারমারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রকে ফের সতর্ক করলো রাশিয়া ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান ইরানের হামলায় হাজার হাজার ইসরায়েলি গৃহহীন স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে ডেকে গাছে বেঁধে মারধর বীরগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শেরপুরে দোকানের টিনের চালা কেটে নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষ টাকার পন্য চুরি। জুলাই অভ্যুত্থান আন্দোলনকারী এক নারীকে বিয়ের অভিযোগে শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার লাভের ৪দিন পরে ক্লোসড ওসি মতিউর বীরগঞ্জে দুর্নীতি নিরসনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সাবেক যুবদলের সেক্রেটারি সুলতান এর মাতার ইন্তেকাল চন্দনাইশে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন কাহারোলে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিল্ক ফিডিং বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি পূণঃবহাল করলেন- চেম্বার আদালত বীরগঞ্জে প্রকাশ্যে ধুমপান করায় ৩ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত  বীরগঞ্জে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপন ‘বিসিবিতে ক্রিকেট ছাড়া সব হচ্ছে, আগ্রহ কমছে মানুষের’ সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় : ১২ দলীয় জোট সব দলই চায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : এলডিপি মহাসচিব আইনি বিপাকে আরশাদ ওয়ারসি