
মাগুরার ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়ার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি শিশুটির মাকে ফোন করে তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাতে এবং শিশুটির পরিবারকে আইনি সহায়তা দিতে রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ঢাকা মেইলকে বিষয়টি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. মাকসুদ উল্লাহ মাকসুদ। এতে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এর আগে, ৮ মার্চ শনিবার দুপুরে তারেক রহমান টেলিফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন। মাগুরার ঘটনাটি ঘটে ৬ মার্চ, যখন শিশুটি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়। অভিযুক্ত হিটু মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, হিটু মিয়া শিশুটির বোনের শ্বশুর। ঘটনাটি ঘটার পর শিশুটিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু আছিয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়লে হাইকোর্ট এক আদেশ দিয়ে এসব ছবি দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন, যিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন। শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (আছিয়ার বোনের শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাসুর জানতেন।
পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান। এদিকে, পুলিশ ইতোমধ্যে চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে। শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটির ওপর এই পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে— অভিযুক্ত হিটু মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে, তার পুত্রবধূকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিলেন, যা পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন, শিশুটির পরিবারকে পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হবে।