বীরগঞ্জে হাজারো নারী-পুরুষের ঢল বারুণী স্নানে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫ । ৫:০৫ অপরাহ্ণ

পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মহুগাঁও মহাশ্মশান ঘাটে হাজার হাজার পূণ্যার্থীর অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী বারুণী গঙ্গা স্নান ও ২৪ প্রহর ব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের মহুগাঁও মহাশ্মশানে উত্তরমুখী পুণ্যভবা নদীর ঘাটে ভোর থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী এ পূণ্য স্নান উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী মহা নাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা বসে। প্রায় ৩শ বছর ধরে দোল পূর্ণিমার ১২ দিন পর চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে এ পূণ্য স্নান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ভোর থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থী পূণ্যভবা নদীর ঘাটে ভিড় জমাতে থাকেন। অন্য যে কোন স্নানের চেয়ে এ স্নানে হাজার গুণ পূণ্য বলে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পূণ্যার্থীরা জানান, বারুণী স্নান উপলক্ষে পূণ্যার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় মহাপ্রসাদ।

দূরদূরান্ত থেকে এসে জড়ো হয় সাধু সন্যাসীরা। এ উপলক্ষ্যে মহুগাঁও মহাশ্মশান ঘাট এলাকা জুড়ে নানা রকম পসরা নিয়ে বসেছে মেলা। বারুণী এ মেলায় দেখা যায় বিভিন্ন মিষ্টি মিষ্টান্ন ও জেলাপি ঝালমুড়ির দোকান আরও রয়েছে সৌখিন কাঠ ও মাটি এবং লোহার তৈরি আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের তৈরি চালুন, ডালি, কুলা, পাখা।

মহুগাঁও মহাশ্মশানে মহা নাম যজ্ঞানুষ্ঠানের সভাপতি কিরণ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতিবছর স্বপরিবারে পূণ্য লাভের আশায় বারুণীর স্নান করতে আসি। প্রতিবছর আমরা উপবাস থেকে এখানে এসে বারুণী গঙ্গা স্নান শেষে দান দক্ষিণা দিয়ে মা গঙ্গার প্রসাদ গ্রহণ করি।

সাধারণ সম্পাদক রমণী সরকার বলেন, প্রায় ২৫ বিঘা জমি নিয়ে গঠিত মহুগাঁও মহাশ্মশানে শিব মন্দির, চৈতন্যদেবের মন্দির, কালি মন্দিরসহ বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির রয়েছে। প্রতিবছর পাপ মোচন,মন্দির দর্শন ও পূণ্য লাভের জন্য বারুণী গঙ্গা স্নানে আসছে নানা বয়সের মানুষ। তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩শ বছর ধরে মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে পাপ মোচনের আশায় এ পূণ্য বারুণী স্নান অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্নানে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ভক্তবৃন্দ ও নারী পূণ্যার্থীগণ বেশি আসেন।

নরসুন্দর খগেন্দ্র চন্দ্র শীল বলেন, বারণী স্নান উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর দোল পূর্ণিমা ১২ দিন পর হয়ে থাকে। আমি চুল -দাড়ি কাঁটার জন্য আসি। এবছরও লোকও সমাগম অনেক বেশি। বারুণী স্নানে নর উত্তম পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় এসেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর পিতা-মাতার উদ্দেশ্যে এখানে আসি।

সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নুরুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মের প্রথা অনুসারে প্রতি বছর চৈত্র মাসে বারুণী তিথিতে গঙ্গা স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরও বলেন, মহুগাঁও মহাশ্মশানে তিনদিন ব্যাপী হরি নাম কির্তন সহ মেলাটি বসে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মাহাবুর রহমান আঙ্গুর কর্তৃক মাহাবুব মার্কেট, নিচ তলা (রুম-১৬), বীরগঞ্জ, দিনাজপুর থেকে প্রকাশিত ।
ফোন : +৮৮০৯৬৯৬৫৫৫৭৩৯, বিজ্ঞাপন : ০১৭১৬৫০৮৩১৪, ০১৭৮৩২৫৫৭৩৯, ই-মেইল : info@uttarerkantho.com.

প্রিন্ট করুন