
হাসপাতালে বোমা হামলা চালানো যুদ্ধাপরাধের শামিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম মঙ্গলবার এমনটি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালুর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের বোমা হামলার পরপর অক্সফামের একজন মুখপাত্রকে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এমন প্রশ্ন করে। তখন ওই মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘হাসপাতালে বোমা হামলা যুদ্ধাপরাধ।’ তিনি যোগ করেন, অবিলম্বে গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা চালু করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার), সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার একটি হাসপাতালে বোমা হামলায় অক্সফাম আতঙ্কিত ও শঙ্কিত। হাসপাতালে বোমা হামলা মৌলিক মানবাধিকার ও মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজা উপত্যকার আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
গাজার হাসপাতালটিতে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে হামলা হয়। হামলায় অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার শাসকগোষ্ঠী ও স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও প্যালেস্টেনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা একযোগে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল।
গাজার হাসপাতালটিতে মঙ্গলবার রাতের হামলায় অন্তত ৫০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হাসপাতালটিতে হামলার বিষয়ে কোনো পক্ষের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের ইঙ্গিত অনুযায়ী, গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন পিআইজের ছোড়া রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হাসপাতালটিতে আঘাত হেনেছে। হাসপাতালটিতে হামলায় প্রাণহানির যে সংখ্যার কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পুরো বিশ্বের জানা উচিত যে গাজার হাসপাতালটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা করেনি। হামলা করেছে সেখানকারই সশস্ত্র সংগঠন। যারা ইসরায়েলের শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তারাই গাজার শিশুদের হত্যা করেছে ।
উত্তরের কন্ঠ /এ,এস