ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বরিশাল নগরীসহ আশপাশের এলাকা। সকাল থেকেই টানা বৃষ্টিতে দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি। অত্যাবশ্যকীয় কাজ সারতে বৃষ্টিতে ভিজে কিছু মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও বাস চলাচল করছে। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই সীমিত। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে এই বর্ষণ আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশাল নদী বন্দরে ৩ নম্বর ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে ভারী বর্ষণে অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
রফিকুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক জানান, প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আজকে রোজগার করতে পারিনি। বিকেলে বৃষ্টি কমলে চেষ্টা করবো। এখন বৃষ্টি কমে আসার অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, বৃষ্টিতে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম। যাত্রী হলে বাস ছাড়া হচ্ছে।