বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী ও দেশটির বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে যুদ্ধ চলে আসছিল। তবে চলিত সপ্তাহে তাদের মধ্যকার সংঘাত চরমে পৌছায়। এ সময় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে তাদের দেশ ছেড়ে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ১১৩ জন জান্তা বাহিনীর বিজিপি সদস্য। পরে আশ্রিতদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় দেওয়া হয়। আজ তাদের মধ্যে ১০ জনকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেইলকে জানান, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থানরত ১০০ জন বিজিপি সদস্যকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে টেকনাফ হ্নীলাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিজিবি এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উত্তরের কন্ঠ /এ,এস