চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগের বেশি সময় ধরে এক্স-রে মেশিন অচল,

উপজেলা প্রতিবেদক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ । ৭:২১ অপরাহ্ণ
 দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে অচল অবস্থায় পরে রয়েছে। এক্স-রে মেশিনটি অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় লাভবান হচ্ছে স্থানীয় ক্লিনিক মালিকরা।
এদিকে অলস সময় পার করছেন হাসপাতলের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট । হাসপাতাল সুত্র জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলায় হাসপাতালটি স্থাপনে পর পরেই একটি এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। এক্স-রে মেশিন আসলেও দীর্ঘ দিন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকয় চালু করা সম্ভব হয়নি। ২০০৬ বা ২০০৭ সালের দিকে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দেয়া হলেও কিছুদিন রোগীদের এক্স-রে সেবা দেয়ার পরে অচল হয়ে পড়েন এক্স-রে মেশিনটি ।
এর কিছুদিন পরে টেকনোলজিস্ট কে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।তার পর থেকে এক্স-রে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে আছে। সর্বশেষ গত ৬ মাস আগে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জয়েন্ট করলেও এক্স-রে মেশিন সচল না থাকায় অলস সময় পারকরছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে নীল কান্ত রায় বলেন, চিরিরবন্দর সরকারি হাসপাতলে গেছিলাম বুকের  এক্স-রে করতে হাসপতালে মেশিনটা নষ্ট ডাক্তার কাগজ ধরে দিয়ে বলে বাহিরের ক্লিনিক থেকে রিপোর্ট করে আনতে। বাহিরে ক্লিনিক থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে করলাম। তাহলে সরকারি হাসপাতাল থাকে কি লাভ? যদি মেশিন ঠিক না থাকে। হাতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম নেছা বলেন, সরকারি সাহপাতলে গেছিলাম হাতের ব্যথা নিয়ে ডাক্তার বলে পরিক্ষা করতে কিন্তু ডাক্তার কয় হাসপাতালের মেশিন নষ্ট বাহিরে ক্লিনিক যায় পরিক্ষা করাতে। কয়েক মাস আগে আরেক বার হাতে হাতের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আইছিলাম তখনো শুনছিলাম মেশিন নষ্ট।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফিক) নাজিবুল্লাহ  বলেন, আমি ৬ মাস আগে এখানে জয়েন্ট করেছি। আমি জয়েন্ট করার আরো কয়েক বছর আগে থেকে এ এক্স-রে মেশিনটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। আমি এসে প্রাথমিকভাবে ঠিক করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে পড়ে থাকায় এটি সচল করা সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উপ সরকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. ভিসি পাল  বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।  হাসপাতালের ইনডোর আউটডোর মিলে গড়ে প্রায় প্রতিদিনে দিনে ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর এক্স-রে করার প্রয়োজন হয়। হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট থাকায় হাসপাতালে ইমার্জেন্সি ভাবে এক্স-রে করা সম্ভব হয় না। বাইরে ক্লিনিক থেকে রোগীদের এক্স-রে করে রিপোর্ট আনতে বলা হয়। চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভির হাসনাত রবিন  বলেন, হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি ১০ থেকে ১২ বছরের মত অচল অবস্থায় পড়ে আছে।
আমি জয়েন্ট করার পরে এক্সরে মেশিনটি সচল করার জন্য স্বাস্থ্য  মন্ত্রণালয়ের (নিমিউ অ্যান্ড টিসিতে) চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের গত ৭ তারিখ মন্ত্র থেকে চিঠি পেয়েছি এক্সরে মেশিনটি মেরামতের জন্য কিন্তু ১৬ তারিখ পর্যন্ত কেউ আসেনি।
উত্তরের কন্ঠ /এ,এস
প্রকাশক ও সম্পাদক : মাহাবুর রহমান আঙ্গুর কর্তৃক মাহাবুব মার্কেট, নিচ তলা (রুম-১৬), বীরগঞ্জ, দিনাজপুর থেকে প্রকাশিত ।
ফোন : +৮৮০৯৬৯৬৫৫৫৭৩৯, বিজ্ঞাপন : ০১৭১৬৫০৮৩১৪, ০১৭৮৩২৫৫৭৩৯, ই-মেইল : info@uttarerkantho.com.

প্রিন্ট করুন