
সুনামগঞ্জ থেকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, ঘরোয়া বৈঠক ও সামাজিক যোযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্ভাব্য প্রার্থীতার কথা জানান দিতে শুরু করেছেন। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক ১৯৭০ সালে দানবীর হাজী মফিজ আলী সাহেবের দানকৃত ভূমিতে এলাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বড়খাল জুনিয়র হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থকে অবৈতনিক শিক্ষক, ১৯৭৩ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক এবং ১৯৯৫ সাল থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। শিক্ষকতা পেশায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে জাতীয় স্বর্ণপদক প্রদান করেন।
তিনি ১৯৭১ সালে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে তাঁর নামে গঠিত ইদ্রিস কোম্পানির নেতৃত্ব দেন এবং সম্মুখ যুদ্ধে সাহসী ভূমিকার জন্য বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। ঐসময় তিনি এলাকার নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পাকিস্তান বাজারের নাম পরিবর্তন করে বাংলাবাজার নামকরণ করেন। আরো জানা যায়, ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচন থেকে অদ্যাবধি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন এবং জেলা কমিটি কর্তৃক ১৯৯৭ সালে দোয়ারাবাজার উপজেলা কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন।
২০০০ সালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃত্বাধীন আহবায়ক কমিটি পুনর্বহালের ঘোষণা দান করেন। এরপর ২০০৬ সালে জেলা থেকে আবারও তাঁকে আহবায়ক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হয় এবং এরপর আর উপজেলা সম্মেলন না হওয়ায় তাঁর নেতৃত্বেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম আজ পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ ও সাধারন মানষের ঐকান্তিক সমর্থনে বিপুল ভোটে তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় যতেষ্ট উন্নয়নমুলক কাজ করেছি। পরবর্তীতে দুইবার আমাকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে আমি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করিনি। এবার যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই তাই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করছি।
তিনি আরো বলেন, সাধারন মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে পূনরায় নির্বাচিত করেন তবে আমার অসমাপ্ত কাজ গুলো সম্পন্ন করবো ইনশাআল্লাহ।