বীরগঞ্জে গরমে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশের সময়: শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪ । ৬:৪৪ অপরাহ্ণ

প্রচণ্ড গরমে উপজেলা জুড়ে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া রসালো এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। কচি তালের শাঁস ও পাকা তাল বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেই জনপ্রিয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রুত শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বীরগঞ্জ পৌরসভার মহাসড়কের পাশে ও বাজারগুলোতে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের পছন্দের খাবার হিসেবে সমাদৃত তালের শাঁস। মানুষের চাহিদা থাকায় পৌরসভা জুড়ে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে এই ফল।

ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পরিবারের সবার জন্য তালের শাঁস কিনেছিলেন বীরগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জুলফিকার আলী। তিনি বলেন, ‘বীরগঞ্জে ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া কোনও ফল পাওয়া মুশকিল। সেখানে তালের শাঁস সর্বোৎকৃষ্ট। কোনও ধরনের ভেজাল নেই। তবে তালের শাঁস সুপারশপে বিক্রি হয় না, এটা কেবল ফুটপাত বা গ্রামের বাজারগুলোতে পাওয়া যায়। ছোট শাঁস অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি হলেও এ নিয়ে কিছু বলার নেই। বিক্রেতারা কষ্ট করে কেটে দেয়। লাভ না হলে তারা চলবে কীভাবে।’

আরেক ক্রেতা ও উত্তরের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মাহাবুর রহমান আংগুর বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তালের শাঁস অনেক উপকারী। এটা ডায়েটের জন্য বেশ কার্যকর। এছাড়া শুষ্ক ত্বক ও চুল পড়া বন্ধ করে। লিভার, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা এগুলোর জন্যেও উপকারী। এটা খেতেও সুস্বাদু। এজন্য নিজে খেলাম পরিবারের সদস্যদের জন্যেও নিলাম।’

তালের শাঁসের খুচরা বিক্রেতা জয়নাল, গত দশ বছর ধরে গরম এলেই তিনি তালের শাঁস বিক্রি করেন। আগে এলাকায় বিক্রি করতেন, এখন পৌসভার মহাসড়ক ও বাজারগুলোতে বিক্রি করেন। বেচাকেনাও ভালো। দৈনিক সাত-আটশ’ টাকা গড়ে লাভ থাকে। গরম যতো বাড়ে তালের শাঁসের চাহিদাও বাড়ে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মাহাবুর রহমান আঙ্গুর কর্তৃক মাহাবুব মার্কেট, নিচ তলা (রুম-১৬), বীরগঞ্জ, দিনাজপুর থেকে প্রকাশিত ।
ফোন : +৮৮০৯৬৯৬৫৫৫৭৩৯, বিজ্ঞাপন : ০১৭১৬৫০৮৩১৪, ০১৭৮৩২৫৫৭৩৯, ই-মেইল : info@uttarerkantho.com.

প্রিন্ট করুন