তিন বছরের বেশি সময় একই বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন এমন ২২ জন অতিরিক্ত পরিচালক (সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক) পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বদলি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ৬৩ জন যুগ্ম-পরিচালকের দপ্তর পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮৫ কর্মকর্তাকে এক সঙ্গে বদলি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতোদিন বদলি নীতিমালা মানা হয়নি। বছরের পর বছর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা একই বিভাগে বহাল থাকছেন। একই সঙ্গে দুটি বিভাগেও দায়িত্ব পালন করছেন কোনো কোনো কর্মকর্তা। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের শিথিলতা তৈরি হয়েছে। তবে নতুন গভর্নর এসে তিন বছরের বেশি সময় ধরে যারা একই বিভাগে দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও বদলি করা হবে।
জানা যায়, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট এন্ড স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের ফিরোজ মাহমুদ ইসলামকে হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১-এ বদলি করা হয়। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (ডিভিশন-২) রাশিদা খানমকে ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে (ডিভিশন-১), ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (ডিভিশন-১) কাজী শৈবাল সিদ্দিকীকে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (ডিভিশন-২), অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের (ডিভিশন-১) মোহাম্মদ আবদুল হাইকে ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগ-২, ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আনেয়ার হোসেনকে ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে (ডিভিশন-১) বদলি করা হয়।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সৈয়দ কামরুল ইসলাম, জোবায়দা আফরোজ এবং মো. মাসুদ রানাকে যথাক্রমে ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে বদলি করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০০০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২১২তম সভায় বদলি নীতিমালা পর্যালোচনা ও অনুমোদিত হয়। সভায় আন্তবিভাগীয় বদলির ক্ষেত্রে পরিদর্শন বিভাগে পাঁচ বছর ও অন্যান্য বিভাগে তিন বছর বদলি রাখার নীতিমালা অনুমোদিত হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ সূত্র বলছে, বর্তমানে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তা তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই বিভাগে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাই তাদের সরানো হচ্ছে।