
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী বিপ্লব চন্দ্র দাস তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে শিকার হয়ে দোকান, জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ঠাকুরগাঁও যাত্রী ছাউনী সংলগ্ন জায়গায় যা জেলা পরিষদ কর্তৃক ৪০ বছর পূর্বে লীজ নিয়ে বাক প্রতিবন্ধী বিপ্লব চন্দ্র দাসের পিতা অরবিন্দু চন্দ্র দাস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে বাক প্রতিবন্ধী বিপ্লব চন্দ্র দাস বিপ্লব জুয়েলার্স নামে একটি দোকান চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। এরই মধ্যে ওই জায়গাটিতে চোখ পরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম সরকার ও যুবলীগ নেতা মো. আইয়ুব আলীর। তারা নিজেদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে উক্ত দোকানঘরটি ভাঙচুর করে দখল করে নেয়।
এলাকাবাসী জানায় উক্ত দোকান ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। এব্যাপারে তৎকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তাকে দোকানটি ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিলেও কি এক অজ্ঞাত করণে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তারা গা ঢাকা দেয়। বাক প্রতিবন্ধী বিপ্লব চন্দ্র দাস দোকানটি ফিরে পেতে প্রধান উপদেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের, বীরগঞ্জ বিএনপি নেতৃবৃন্দের ও সুশীল সমাজের সর্বস্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, তৎকালীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা আব্দুস সালাম সরকার তার প্রভাব খাটিয়ে বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০টি জায়গা-স্থাপনা অবৈধভাবে দখল করে ছিলেন।