উপজেলা প্রতিবেদক, বিরামপুর 
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪ । ১২:২০ পূর্বাহ্ণ
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে দিনাজপুরের বিরামপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিরামপুর উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ (বড়মাঠ) এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় জেলা মজলিসের শূরা সদস্য ও বিরামপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মো. মকছেদ আলীর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, দিনাজপুর-৬ আসনে আগামী দিনের জামাতের মনোনীত প্রার্থী দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার নায়েবে আমির ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. সাইদুল ইসলাম সৈকত, জেলা সহকারী সেক্রেটারী হাফিজুল ইসলাম,দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার মজলিশে শুরা সদস্য ও বিরামপুর পৌর আমীর মো. সাখাওয়াত হোসেন, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার মজলিশে শুরা সদস্য ও বিরামপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. আবুল বাশার,বিরামপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. আবু হানিফ, বিরামপুর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো. ময়নুল ইসলাম,বিরামপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহিনুর রহমান, জেলা দক্ষিণের ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম আবীর, ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি মো. সাজেদুর রহমান সাজু, আমন্ত্রিত অতিথি শিশির কুমার সরকার ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮অক্টোবর তৎকালীন জালিম আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার হুকুমে লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে জামায়াত শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো এবং আমাদের নেতা কর্মীদের শুন্য করতে চেয়েছিলো। সে দিন ঢাকা পল্টন ট্রাজেডিসহ সাড়া দেশে অসংখ্য জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীর শহীদ হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের জীবনের বিনিময়ে আজকের এই সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। আগামীতে আর কোন অপশক্তি যেন এরকম তান্ডব না চালাতে না পারে, সেই জন্য আমাদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ভুমিকা পালন করতে হবে। আওয়ামী সরকার সবচেয়ে বেশি জামাত শিবিরের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। যার ফলে আজ তারা দেশ ছাড়া হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে এবং ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।