স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মামলা চলাকালে আসামি পক্ষ থেকে জানানো হয় মো. ওসমান আলী (৩৫) কিডনি জনিত রোগে মারা গেছেন। এরপর আদালত থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর জানতে পারেন ওসমান আলী আসলে জীবিত। তিনি মারা যাননি।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টায় গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম যমুনা চর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
আসামি মো. ওসমান আলীর বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মন্নিয়ারচর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মো. বাচ্চু ফকিরের ছেলে।
এ বিষয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসামি ওসমান আলী মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আদালত থেকে পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। পরে আসামি মারা গেছে এ তথ্যটি আমলে না নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। দীর্ঘদিন তদন্ত করার পর তার অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হবে।