
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আইন কানুন তোয়াক্কা না করে হাতিতে চরে চাঁদাবাজি।
কিছু মানুষ হাতিকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করছে। মাহুত দোকান, ফুটপাত, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছে এই প্রাণিটিকে দিয়ে। গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা আদায় করা হয়। হাতি বিশালদেহী বন্যপ্রাণি।
কিছু মানুষ হাতিকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করছে। মাহুত দোকান, ফুটপাত, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছে এ প্রাণিটি দিয়ে। গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা আদায় করা হয়। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরশহরের মহাসড়ক ও উপজেলার গ্রামীণ সড়কে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
সম্প্রতি বীরগঞ্জ পৌরশহরের বিজয় চত্বরে থেকে তাজ মহল সিনেমা হল এলাকায় হাতি দিয়ে টাকা তুলতে দেখা গেল।
সেখানে মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় গাড়ি থামিয়ে পথচারীদের ভয় দেখিয়ে হাতিকে দিয়ে দোকানদারদের কাছ থেকে এক প্রকার জোর করে টাকা নেয়া হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানালেন, হাতিটির মালিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া গবতলী উপজেলার এক ব্যক্তি। মাহুত সুযোগ বুঝে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে টাকা তুলে বাড়তি আয় করেন। হাতি পুষতে হলে বনবিভাগের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনেকেরই সেই অনুমতি নেই।
ভুক্তভোগী পথচলা ও জনসাধারণরা জানান, হাতি শুঁড় উঁচিয়ে দিচ্ছে, ১০টাকা দিলে নিচ্ছে না। কমপক্ষে ২০টাকা দিতে হচ্ছে। অনেকে নিজের ইচ্ছায় টাকা দিচ্ছে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে হাতি শুঁড় উঁচু করে ও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ভয় দেখাচ্ছে।
উত্তরের কন্ঠ/এ, এস , বিকাশ ঘোষ