
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সার্বিক সহযোগিতায় ৪০ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করে সফলতার মুখ দেখেছেন চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন ইউনিয়নের শাহীন।
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, চুলও সুন্দর হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এ জন্যই বাংলাদেশের কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে ফলটির উৎপাদন বৃদ্ধি ও ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
প্রচলিত অনেক প্রজাতির তরমুজের মধ্যে বারোমাসি ‘বেবি তরমুজ’ অন্যতম। তরমুজ সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ওঠে। এটাই তরমুজের প্রধান মৌসুম। কিন্তু সম্প্রতি এ দেশের বাজারে এ সময় ছাড়া অন্য সময়েও তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ তরমুজ বেশি পাওয়া যায়।
এ তরমুজকে অনেকে নাম দিয়েছেন ‘বারোমাসি তরমুজ অথবা বেবি তরমুজ ছোট, লম্বাটে, ডিম্বাকার, কালো খোসা, ভেতরে টকটকে লাল শাঁসের তরমুজগুলো অসময়ে ওঠার কারণে বাজারে চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। কোনো স্থানে হলুদ রঙের খোসার অমৌসুমী তরমুজেরও চাষ হচ্ছে। দিন দিন অমৌসুমে তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চারা রোপনের শুরু থেকে ফল পাকতে ৭০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
তরমুজ চাষি শাহীন বলেন,” ২৪ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিকূলতায় এ জাতের তরমুজের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা না থাকায় এই জাতের তরমুজ চাষ লাভজনক।