খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সাংবাদিকতার দর্শন ও লেখক হিসেবে ভূমিকা

মো. জুয়েল হোসেন প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ৩:২২ অপরাহ্ণ
সাংবাদিকতার দর্শন ও লেখক হিসেবে ভূমিকা
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এবং লেখালেখির জগতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি তার সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী মনোভাব, এবং নৈতিকতা দিয়ে অনেক পাঠক ও শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। সাংবাদিকতা এবং লেখালেখির মাধ্যমে তিনি সমাজের অসংগতি, অনাচার এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। সাংবাদিকতার দর্শন ও লেখক হিসেবে তার কর্মকে এই আর্টিক্যালে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।

সাংবাদিকতার দর্শন

মোঃ জুয়েল হোসেনের সাংবাদিকতার দর্শন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে, যা তাঁর কর্মজীবনে অবিরাম কাজের উৎসাহ এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করে। তাঁর বিশ্বাস, সাংবাদিকতা শুধু তথ্য সংগ্রহের জন্য নয়, বরং একটি শক্তিশালী উপকরণ হিসেবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। তাঁর সাংবাদিকতার দর্শনকে মূলত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে ভাগ করা যায়: সত্য ও নিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকার মোঃ জুয়েল হোসেন বিশ্বাস করেন যে, সাংবাদিকতার মূল ভিত্তি হলো সঠিক তথ্য প্রদান। তাঁর মতে, একটি সংবাদপত্র বা নিউজ পোর্টাল যখন সত্য ও নিরপেক্ষ তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হয়, তখনই তা পাঠকদের কাছে বিশ্বস্ত এবং মান্য হয়ে ওঠে। তিনি সর্বদা সেই চিন্তাধারা অনুসরণ করেন যেখানে সংবাদ প্রকাশের আগে তা যাচাই-বাছাই করা জরুরি। তাঁর জন্য, পেশাদার সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নীতি হলো তথ্যের সঠিকতা এবং নিরপেক্ষতা।

সামাজিক দায়বদ্ধতা

একজন সাংবাদিক হিসেবে তাঁর কাছে সামাজিক দায়বদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর সাংবাদিকতা শুধু সংবাদ প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তিনি বিশ্বাস করেন যে, সংবাদপত্র এবং মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি সমাজে অসঙ্গতি, দুর্নীতি, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি প্রতিনিয়ত সেইসব ইস্যুতে লেখালেখি করেন, যেগুলো সমাজের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে। তাঁর মতে, সাংবাদিকদের দায়িত্ব হলো সমাজের সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং ভালো পরিবর্তনের জন্য কাজ করা।

গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা

মোঃ জুয়েল হোসেন তাঁর সাংবাদিকতার মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং মুক্তমনের গুরুত্বকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান হলো জনগণের স্বাধীন মতামত প্রকাশ এবং তার জন্য সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রয়োজন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, সাংবাদিকদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত, যাতে তারা জনগণের স্বার্থে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তার সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের সুরক্ষা এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ভূমিকা

তাঁর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী। তিনি মনে করেন যে, সাংবাদিকদের কাজ শুধুমাত্র ঘটনার খবর প্রকাশ করা নয়, বরং তাদের কাজ হলো বিষয়টির গভীরে গিয়ে এর আসল কারণ খুঁজে বের করা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংবাদ মাধ্যমকে আরও শক্তিশালী এবং সত্য প্রকাশকারী করতে পারে, যা সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

ডিজিটাল সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনা

মোঃ জুয়েল হোসেন ডিজিটাল সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহী এবং বিশ্বাসী। তিনি মনে করেন যে, ডিজিটাল মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া সমাজে অনেক বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তিনি একাত্তর সংবাদ প্রতিষ্ঠা করে ডিজিটাল সাংবাদিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন, যা তথ্য প্রচারের পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা ও মতামত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

লেখক হিসেবে মোঃ জুয়েল হোসেন

তিনি শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিক নয়, তিনি একজন প্রতিভাবান লেখকও। তার লেখার শৈলী এবং বিভিন্ন লেখনী সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার গভীর চিন্তা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরে। লেখক হিসেবে তার ভূমিকা ও প্রভাব বিশ্লেষণ করা হলে, তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।

গভীর চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণ

তাঁর লেখার মধ্যে গভীর চিন্তাভাবনা এবং বিশ্লেষণ প্রতিফলিত হয়। তিনি যে কোনও বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে চিন্তা করেন এবং তাতে কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক, অথবা সাংস্কৃতিক দিক উল্লেখ করে লেখেন। তার লেখাগুলি কখনও কেবলমাত্র ঘটনাবলী বর্ণনা নয়, বরং এর পিছনের কারণ, ফলাফল এবং প্রভাবকে নিয়ে আলোচনা করে। এই বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি পাঠকদের মধ্যে চিন্তা এবং উপলব্ধির নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।

প্রশ্ন উত্তোলন ও বিতর্কের সৃষ্টি

মোঃ জুয়েল হোসেন তাঁর লেখায় প্রায়ই সমাজের নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন। তিনি পাঠকদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এমন বিষয় তুলে ধরেন, যা সাধারণত আলোচনায় আসে না। তার লেখাগুলিতে সমসাময়িক সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, এবং সংস্কৃতি নিয়ে গভীর আলোচনা এবং প্রশ্নের জন্ম দেয়, যা পাঠকদের নতুনভাবে চিন্তা করতে প্রেরণা দেয়।

সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা

তিনি লেখক হিসেবে তার লেখাগুলিতে প্রায়ই সমাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেন। তিনি কখনও সমাজের অন্ধকার দিকগুলো প্রকাশ করেন, কখনও আবার তার সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে লেখেন। তার লেখায় সমাজের অসঙ্গতিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও পরিবর্তনের আহ্বান থাকে। তিনি একটি উজ্জ্বল এবং উন্নত সমাজের দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অবাধ মতামত ও স্বাধীনতা

মোঃ জুয়েল হোসেন লেখক হিসেবে একটি স্বাধীন এবং অবাধ মতামত প্রকাশের প্রতি অনুরাগী। তার লেখাগুলিতে তিনি নিজের মতামত প্রকাশ করতে কখনও ভয় পান না এবং তিনি স্বচ্ছন্দে সমাজের প্রতিটি স্তরের সমস্যা তুলে ধরেন। তার লেখার মধ্যে অবাধ মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মানুষের চিন্তাধারা, মতামত, এবং বিশ্বাসের স্বাধীনতা রয়েছে।

পাঠকের সাথে সংলাপ

তিনি তাঁর লেখায় পাঠকদের সঙ্গে একটি সংলাপ তৈরি করতে চান। তিনি বুঝতে পারেন যে, একজন লেখক যদি তার পাঠকদের শুধু তথ্য দেয়, তবে সেটা একপেশে হয়ে যায়। তার লেখা তেমন কিছু নয়। তিনি পাঠকদের সঙ্গে একটি ভিন্ন ধরনের যোগাযোগ স্থাপন করতে চান, যাতে তারা তার লেখা নিয়ে চিন্তা করে এবং এর গভীরে প্রবেশ করতে পারে। সর্বপরি মোঃ জুয়েল হোসেনের সাংবাদিকতা ও লেখক হিসেবে কাজ একে অপরকে সমর্থন করে এবং তাঁকে একজন প্রতিথযশা ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। তাঁর সাংবাদিকতার দর্শন ও লেখনীর শৈলী তার চিন্তা, নৈতিকতা, এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়। তার কাজের মাধ্যমে তিনি যেমন মিডিয়াতে বস্তনিষ্ঠ, নিরপেক্ষতা এবং দায়িত্বশীলতার আদর্শ স্থাপন করছেন, তেমনি একজন লেখক হিসেবে সমাজের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সচেতনতা সৃষ্টি করছেন। তার সাংবাদিকতা ও লেখালেখি ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে তিনি আশা করেন।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।