খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বইমেলায় ‘খলনায়ক’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:২৪ অপরাহ্ণ
বইমেলায় ‘খলনায়ক’

অমর একুশে বইমেলায় এসেছে সমকালীন লেখক আহমেদ আল আমীনের উপন্যাস খলনায়ক। উপন্যাসের বিস্তৃত জমিন গড়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী একটি বাড়িকে কেন্দ্র করে। দুটি বর্ণনারীতিতে বর্ণিত গল্প শূন্যলতার মতো এগিয়েছে, যার জট খোলা দুরূহ। গল্প বলার প্রয়োজনে শূন্যলতা এসেছে, প্রাসঙ্গিকভাবে থেকে গেছে।

একটি কিশোর ২৩ বছর পর পারিবারিক কবরস্থানে ছুটে যায় রাতের অন্ধকারে। সারারাত সেখানে থাকে। কৈশরে সে দাদির দাফন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেও কবরে মাটি দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিল।

এই প্রথম সাহিত্যের পাতায় উঠে এসেছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়করাজ রাজ্জাকের কথা। আছে ঢালিউড সুপারস্টার ইলিয়াস কাঞ্চন ও মান্না এবং বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরের প্রসঙ্গও। কেন, এই গল্পে তাদের প্রাসঙ্গিকতা কী? এই উপন্যাসে নায়ক মান্নাকে একটি বিশেষ উপাধি দেওয়া হয়েছে।

রুশদা প্রকাশ থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। পাঠকের অপেক্ষায় খলনায়ক রয়েছে একুশে বইমেলায় রুশদা প্রকাশের ২৪, খুলনা বইমেলায় ৫১ ও চট্টগ্রাম বইমেলায় ১৩৯ নম্বর স্টলে এবং অনলাইন বুকশপ রকমারি ডটকমে।

বইটির ফ্ল্যাপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হাজার বছরের চিরচেনা গল্প; প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলে এসেছে। কিন্তু, এভাবে কখনো লেখা হয়নি। অসংখ্য মানুষের বুকে লেখা, হৃদয়ের আর্তনাদ দীর্ঘশ্বাস হয়ে বাজে প্রতিদিন। অলিখিত সেই গল্পের লেখ্য ও কল্পিত চিত্ররূপ এবার বইয়ের পাতায়।

দারিদ্র্যপীড়িত জীবন; লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও অপমান। পুষে রাখা ক্ষোভ। জিদ। বিশ্বাস, ভালোবাসায় বাঁধা ঘর। হঠাৎ স্বপ্নভঙ্গ। বিশ্বাসঘাতকতা। সন্দেহের তিরে বিদ্ধ প্রেমিক হৃদয়। অভিমান। প্রতিশোধ। বাংলা সিনেমার নায়কের মতো প্রতিশোধ। নিজের হাতে ঘর বানিয়ে নিজের হাতেই অগ্নিসংযোগ। দাউ দাউ করে জ্বলছে একটি ঘর, একটি হৃদয়। উপন্যাস পড়তে গিয়ে মনে হবে সিনেমা দেখছি। কখনো মনে হবে, এ তো মঞ্চ নাটক!

উত্তরের কন্ঠ /এ,এস

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেই বাঁচতে চায় মুরসালিম

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেই বাঁচতে চায় মুরসালিম

জন্ম থেকেই বুকের ভেতর এক ক্ষত নিয়ে বেড়ে উঠছে মুরসালিম শিকদার। তবুও তার স্বপ্ন একদিন ডাক্তার হয়ে সেবা করবে মানুষের। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বিলকুল গ্রামের আলকাস শিকদার ও নীরু বেগম দম্পতির ছোট ছেলে মুরসালিমের বয়স এখন ১৬ বছর এবং সে দৈবজ্ঞহাটি বিশ্বসর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু এক কঠিন রোগ তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

জন্মের মাত্র চার মাস পর পরিবার জানতে পারে মুরসালিমের বুকের হার্টে দুইটি ছিদ্র রয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চিকিৎসা করাতে করাতে এই পরিবার আজ প্রায় নিঃস্ব। এখন প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের, যার জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। এই অসহায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন, যাতে মুরসালিম স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

আলকাস শিকদার ও নীরু বেগম দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের সন্তানদের মুখ দেখেছিলেন। বিয়ের চার বছর পর প্রথম কন্যা এবং আরও ১৩ বছর পর তাদের কোলে আসে ছেলে মুরসালিম। কিন্তু জন্মের পর থেকেই মুরসালিম এক কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই করছে। স্থানীয় একটি বেকারিতে দিনমজুরের কাজ করা বাবা আলকাস শিকদার জানান, ছেলের মুখের দিকে তাকালে পৃথিবী তার কাছে অসহায় মনে হয়।

২০১৭ সাল থেকে পরিবারটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং খুলনার বিভিন্ন শীর্ষ হাসপাতালে নিয়মিত মুরসালিমকে দেখিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়ছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অস্ত্রোপচার করালে মুরসালিম স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। কিন্তু ৫ লাখ টাকার বিশাল অঙ্কের কথা শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নীরু বেগম। কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে দীর্ঘ ষোল বছর যাবৎ অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে। আমাদের আর কিছু নেই যা দিয়ে ওর চিকিৎসা করাব। আমার সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন আপনারা। সারা জীবন আল্লাহর কাছে দোয়া করব আপনাদের জন্য।

মুরসালিমের বড় চাচি রহিমা বেগম বলেন, মাঝে মাঝেই মুরসালিমের বুকে প্রচণ্ড ব্যথা ওঠে, মনে হয় যেন এখনই মারা যাবে। এখন আর আমাদের তেমন কোনো সম্পদ নেই যা দিয়ে ওকে চিকিৎসা করাব। ডাক্তার বলেছে, এখন যদি অপারেশন করানো যায় তাহলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।

প্রতিবেশী আব্দুল খালেক বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দেখছি এই পরিবারটা কিভাবে ধুঁকছে। মুরসালিম খুব ভালো ছেলে, পড়াশোনায়ও মেধাবী। সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে, ছেলেটা একটা নতুন জীবন ফিরে পাবে।

আরেক প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকে ছেলেটাকে কষ্ট পেতে দেখছি। ওর স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। আমরা সবাই মিলে যতটুকু পেরেছি সাহায্য করেছি, কিন্তু এখন বড় অঙ্কের টাকা দরকার। আমরা আশা করি, সমাজের দয়ালু মানুষরা এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন

মুরসালিমের বাবা আলকাস শিকদার বলেন, আমার ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে আপনাদের সাহায্য চাই। জন্ম থেকে অসুস্থ, আমার সন্তানের জীবন এখন চরম ঝুঁকিতে। ডাক্তার বলেছেন জরুরি অপারেশন করাতে, যার জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। দিনমজুরের সামান্য আয়ে সংসার চালানোই দায়, চিকিৎসা তো দূরের কথা।

ছেলের মা সারাদিন শুধু ওর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে। আমরা আর কিছু চাই না, শুধু চাই ও যেন বেঁচে থাকে। সমাজের দয়ালু মানুষদের কাছে আমার আকুল আবেদন, আপনাদের একটু সাহায্যই আমার ছেলেকে নতুন জীবন দিতে পারে, ফিরিয়ে দিতে পারে ওর মুখে হাসি, চোখে স্বপ্ন। আজই পাশে দাঁড়ান, একটি শিশুর ভবিষ্যৎ বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।

মুরসালিম বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাঝে মাঝে এমন যন্ত্রণা ওঠে, মনে হয় আর বুঝি বাঁচব না। চিকিৎসার জন্য বাবা-মা সবকিছু নিঃশেষ করেছেন। আমার জন্যই মা-বাবা তাদের সব সম্পদ খরচ করেছেন। কিন্তু তাদের স্বপ্ন ছিল আমাকে কোরআনের হাফেজ বানাবে। সেটা আমি পারিনি, মাদরাসা ছাড়তে হয়েছে। মাদরাসা থেকে ফিরে এক বছর পর ভর্তি হই স্কুলে। সেখান থেকেই জীবনের নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু। এখন আমার একটাই স্বপ্ন আমি ডাক্তার হব। আমি চাই, যেন একদিন আমার মতো যাদের কষ্ট আছে তাদের আমি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলতে পারি।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, মুরসালিমের হার্টে ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (হার্টে ছিদ্র) ধরা পড়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করালে সে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। তার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।

এবার প্রকৃতির তাণ্ডব কাশ্মিরে, তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল ৫৭ বছরের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
এবার প্রকৃতির তাণ্ডব কাশ্মিরে, তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল ৫৭ বছরের

গত এক মাস ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে জম্মু ও কাশ্মিরে। ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ২২ মে (বৃহস্পতিবার) উপত্যকায় দেখা গেল গত ৫৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেখানকার আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগেও ৩০ ডিগ্রির ঘর পার করেছিল কাশ্মিরের তাপমাত্রা। ১৯৬৮ সালে ২৪ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ১৯৫৬ সালের ৩১ মে ৩৫ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল উপত্যকার তাপমাত্রা। আর এবার ২০২৫ এর ২২ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো ৩৪. ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে দক্ষিণ কাশ্মিরের কোকেরনাগ এলাকায় রেকর্ড তাপমাত্রা পার করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০০১ সালের ১৫ মে সর্বোচ্চ ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল এই এলাকায়। তাপমাত্রা বাড়তেই সেখানকার স্কুলের সময়ে পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গরুর মাংসে আগুন-মাছেও অস্বস্তি, মুরগিতে ঝুঁকছেন ক্রেতারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
গরুর মাংসে আগুন-মাছেও অস্বস্তি, মুরগিতে ঝুঁকছেন ক্রেতারা

রাজধানীর বাজারগুলোতে গরু ও খাসির মাংসের দাম অনেকটাই আকাশছোঁয়া। এদিকে মাছের বাজারেও দামের উত্থান-পতনে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণিতে একমাত্র স্বস্তির জায়গা হয়ে উঠেছে মুরগির বাজার। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান বাজারে ব্রয়লার, সোনালি কিংবা দেশি সব ধরনের মুরগির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকায় ভোক্তাদের বড় অংশ এখন মুরগিতেই নির্ভর করছেন। কেউ কেউ আবার বেশি করে কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণও করছেন।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে রাজধানীর বনশ্রী, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকার বাজার ঘুরে এবং বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজকের বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস মিলছে ১,২৫০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ১,১০০ টাকা কেজি। এসব দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে বাজারে এসে গরুর মাংসের দোকান ঘুরে শেষ পর্যন্ত ফিরে যাচ্ছেন মুরগির দিকে।

আজকের বাজারে একটু স্বস্তিজনক অবস্থা বিরাজ করছে মুরগির মাংসে। আজকের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি ২৫০–২৬০ টাকা, সাদা ও লাল লেয়ার ২৫০–২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০–৬০০ টাকা এবং হাঁস প্রতি পিস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আজকের বাজারে মাছের দামে কিছুটা বৈচিত্র্য দেখা গেছে। কিছু মাছের দাম পূর্বের ন্যায় স্থিতিশীল থাকলেও কিছু মাছের দামে উত্থান-পতন রয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেলাপিয়া আর পাঙাশ ছাড়া অধিকাংশ মাছের দাম এখনও উচ্চ। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০-৪৫০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা এবং কোরাল মাছ ৭৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও আজকের বাজারে প্রতি কেজি বোয়াল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পোয়া ৪০০ টাকা, আইড় ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা ও দেশি শিং ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারে বাজার করতে আসা হাসিবুর রহমান নামক এক ক্রেতা বলেন, ছেলে-মেয়েরা রুই মাছ খুব পছন্দ করে, কিন্তু এখন তো রুইও ৩৫০ টাকা! তেলাপিয়াতেই ফিরতি পথ খুঁজে নিতে হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতারাই দেখবেন কমদামি মাছের দোকানগুলোতেই ভিড় বেশি। এছাড়া তো কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মাছে-ভাতে বড় হয়েছি, এখন মাছ কিনতে গেলে মাসের বাজেট উল্টে যায়। দেশে মাছের উৎপাদন বাড়লেও দাম কমছে না, বরং দিনে দিনে আরও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন কথা হলো,দেশে এত মাছ চাষ হয়, তাও দাম কমে না কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?

পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা চাকরিজীবী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, খুচরা বিক্রেতারা একসময় কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করলেও এখন ‘সিন্ডিকেটের চাপে’ পেছিয়ে গেছেন। আর খুচরা বিক্রেতারা দায় দিচ্ছেন পাইকারদের কাঁধে।

তিনি বলেন, এক কেজি গরুর মাংস নিয়েছি ৮০০ টাকায়। দাম কিছুটা বেশিই মনে হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নেই। কিছুদিন পরই ঈদ আসছে, জানি না দাম এখানেই থাকে, নাকি আরও বেড়ে যায়।

রফিকুল ইসলাম নামক আরেক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে মুরগির দাম এখনও সহনীয়। গরুর মাংসের দিকে তাকাতেও পারি না। তাই একটু বেশি করে মুরগির মাংস কিনে নিয়েছি। আমার মতো আরও অনেকেই নিচ্ছে। বলা তো যায় না, ঈদ উপলক্ষ্যে হয়ত আবারও দাম বেড়ে যাবে।

এদিকে খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়া-কমার পেছনে তাদের কোনো অবদান নেই। পাইকারি বাজার থেকে কমে কিনতে পারলে কমেই বিক্রি সম্ভব, যার প্রমাণ ব্রয়লার মুরগি।

মোহাম্মদ আলী নামক এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, মুরগির মাংস এখন ভরসার জায়গা। দামও কম, তাই চাহিদা বেশি। মাসখানেক আগেও ব্রয়লার ২০০ টাকার বেশি বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১৭০ টাকাতে। কেজিতে দাম ৩০/৪০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। প্রতি মুরগিতে কোন রকম খরচটা উঠতেছে।

গরুর মাংসের বেশি দাম প্রসঙ্গে মাংস বিক্রেতা আজাহার আলী বলেন, আমরা নিজেরা তো দাম বাড়াই না। পাইকারি বাজার থেকে যদি কমে আসতো, আমরাও কমিয়ে দিতাম। মানুষ ভাবে আমরাই দাম বাড়াই এটা ভুল ধারণা।

মাছ বিক্রেতা জসিম উদ্দিন জানান, মাছের বাজারে খুব বেশি পার্থক্য নেই। কিছু মাছের দাম কিছুটা কমেছে, আবার ইলিশসহ আরও কিছু মাছের দাম বেড়েছে। তবে সবমিলিয়ে ভালোই বিক্রি হচ্ছে।

"> ">
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেই বাঁচতে চায় মুরসালিম এবার প্রকৃতির তাণ্ডব কাশ্মিরে, তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল ৫৭ বছরের গরুর মাংসে আগুন-মাছেও অস্বস্তি, মুরগিতে ঝুঁকছেন ক্রেতারা কানের উদ্দেশে রওনা দিলেন আলিয়া বাজারে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক