বইমেলায় পুলিশের রক্তদান কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া

‘রক্তে মোরা বাঁধন গড়ি, রক্ত দেব জীবন ভরি’ শিরোনামে মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংক নামে একটি স্টল খুলেছে পুলিশ। সেখানে চলছে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। শুরুর দিন থেকেই ব্যাপক সাড়া মিলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭০০ ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্টলটিতে দেখা যায়, রক্ত দিতে যারা আসছেন তারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিচ্ছেন। যারা রক্ত দিচ্ছেন তাদেরকে রক্তদান শেষে একটি জুসের প্যাকেট দিচ্ছেন স্টলে থাকা ব্যক্তিরা।
এই স্টলে যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে যাচ্ছেন তাদের সকল তথ্য রাখছেন সংশ্লিষ্টরা, যাতে পরবর্তীতে তার কাছ থেকে তারা রক্ত সংগ্রহ করা যায় এবং তিনিও তাদের ব্লাড ব্যাংকের সাথে যুক্ত থাকেন।
পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ এসআই একেএম সিদ্দিকুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমাদের টার্গেট প্রায় দেড় হাজার। আশা করা যাচ্ছে এটা পূরণ হবে। আজই আমাদের টার্গেট প্রায় দেড়শত ব্যাগ কালেকশন করা। যেহেতু বন্ধের দিন, দর্শনার্থীরা আসছে। আশা করা হচ্ছে শেষেদিন পর্যন্ত করা টার্গেট পূরণ হবে।
এসআই একেএম সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, উঠতি যুবকরাই বেশি রক্ত দিচ্ছে। যারা রক্ত দিচ্ছে তাদের বেশির ভাগই ২৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী। তাদের অনেকেই আগে রক্ত দিয়েছেন। এসব রক্ত সংগ্রহের পরপরই চলে যাচ্ছে পুলিশের কেন্দ্রীয় হাসপাতালে। এরপর তা ব্লাড ব্যাংকের রক্ত হিসেবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখান থেকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে প্রতিদিনই এই রক্তের চাহিদা বাড়ছে।
স্টলটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান, ঢাকা, বরিশাল ও নিকটবর্তী জেলাগুলো থেকে তাদের কাছে রক্তের বেশি চাহিদা আসছে। সেই চাহিদা অনুযায়ী তারা প্রতিদিন রক্ত সংগ্রহ করছেন এবং রক্ত সরবরাহ করছেন। এ কাজে তাদের বেশি সহায়তা করছেন মেলায় আসা লোকজন।
তারা আরও জানান, তাদের ব্লাড ব্যাংকে এসে যে কেউ রক্ত দিতে পারবেন। মূলত মেলায় আগত ব্যক্তিদের রক্ত দিতে উৎসাহী করতেই এমন উদ্যোগ। এই ব্লাড ব্যাংকে সাধারণ মানুষ ছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত রক্ত দিয়ে থাকেন।
প্রতি বছর ডিএমপির পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তারই অংশ হিসেবে এবারও একুশের বই মেলায় পুলিশ ব্লাড ব্যাংক নামে একটি স্টল খোলা হয়েছে, যা মেলার শেষ দিন পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পুলিশের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছিলেন, পুলিশ সদস্যরা ব্লাড ব্যাংকে নিজের রক্ত দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় বদ্ধপরিকর। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও এ সেবা অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ ব্লাড ব্যাংকে ১ হাজার ৩০০ পুলিশ সদস্য নিয়মিত ডোনার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, করোনা মহামারির সময় পুলিশ ব্লাড ব্যাংক রেকর্ড পরিমাণ ৫ হাজার ১০০ ব্যাগ প্লাজমা দিয়েছে, যা সারা পৃথিবীতে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ
উত্তরের কন্ঠ /এ,এস
আপনার মতামত লিখুন