খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

একুশে পদক

এতদিন মনে হতো মানুষের ভালোবাসা আছে কিন্তু ঝোলাটা খালি: ফেরদৌস আরা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
এতদিন মনে হতো মানুষের ভালোবাসা আছে কিন্তু ঝোলাটা খালি: ফেরদৌস আরা
সংগীতে বিশেষ অবদানস্বরূপ একুশে পদক ২০২৪ পাচ্ছেন জনপ্রিয় নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা। সুসংবাদটি ছড়িয়ে পড়তেই  উত্তরের কণ্ঠের কাছে মনের আগল খোলেন নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী।

একুশে পদক পাচ্ছেন। খবরটি শুনে কেমন লাগছে? 

এরকম খবর পেলে সবারই ভালো লাগে। আমিও তাদের থেকে ব্যতিক্রম নই। এমন অবস্থায় সবাই বলেন দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। অবশ্যই বেড়ে যায়। করণীয়ও অনেক কিছু থাকে। যেগুলো নিয়ে এতকাল শুধু ভেবেছি। করতে পারব কিনা জানতাম না। এখন আত্মবিশ্বাস, সাহস বেড়ে গেছে।

ferdous-ara-lead-2021

আগে থেকে আঁচ পেয়েছিলেন? 

কিছু দিন ধরে শুনছিলাম। এ খবর দিত। ও খবর দিত। পরে আবার বলত, ‘আপা হবে না, লোক বদলে গেছে।’ আবার কেউ বলত, ‘আপনার তো পাওয়া উচিত ছিল।’ এরকম কয়েক বছর ধরেই হচ্ছে। দেখতে দেখতে বিশ্বাস এতই কমে গিয়েছিল যে ভাবতাম, শুনব-ই শুধু ভাগ্যে আর জুটবে না। অথচ এমন দিনে সংবাদটি এলো— আজ আমার বরের জন্মদিন। আমার মেয়ে এসেছে কানাডা থেকে। এই যে সংযোগ এটা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা। আমার ছেলে ফোন করে বলছে, ‘মা তুমি কখন বাসায় আসবে।’

প্রথম কার থেকে শুনতে পেলেন? 

সাংবাদিক যাযাবর মিন্টু প্রথমে ফোন করে বলল, ‘আপা একটা প্রতিক্রিয়া জানান।’ বললাম, ‘কীসের!’ আমি তখনও জানি না। তবে বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা হচ্ছে। অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই এরকম শুনি। তাই আমলে নিচ্ছিলাম না। কিন্তু যখন জানতে চাইলাম কীসের রিয়্যাকশন দেব তখন বলল, ‘আপনি তো একুশে পদক পাচ্ছেন।’ কিন্তু বিশ্বাস তো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বললাম, ‘দাঁড়াও আসলেই পেয়েছি কি না দেখি। নাকি তুমি কি কারও থেকে শুনে বলছ?’ সে বলল, ‘না, আসলেই।’ এরমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে গুণী বাঁশিবাদক আজিজুল হক ফোন দিলেন। উনি বললেন,‘আপনাকে কংগ্রাচুলেশনস।’ বললাম, ‘আমাকে একজন বলেছে কিন্তু আমি নিশ্চিত নই।’ উনি তখন বললেন, ‘আপনি নিশ্চিত থাকুন।’ তার মুখেই প্রথম শুনি।

WhatsApp_Image_2024-10-13_at_7_59_18_PM

শুনে প্রথম কার কথা মনে পড়েছিল?

ছেলে-মেয়ে, স্বামী, পরিবারের কথা। গানের ক্ষেত্রে প্রতিমুহূর্তে সহায়তা করেছেন আমার বাবা। যত্ন পেয়েছি মায়ের থেকে। প্রথমে বাবার চেহারাটা ভেসে উঠেছে, মায়ের যত্নের কথা মনে পড়েছে। আমার স্বামী সঙ্গেই ছিলেন।

মায়ের এই প্রাপ্তিলাভের সংবাদে সন্তানদের অনুভূতি কী? 

আমার ছেলেকে ওর বন্ধুবান্ধব বলত, ‘তোমার মা এত জনপ্রিয় কিন্তু অ্যাওয়ার্ড পাননি। ওনার তো পাওয়ার কথা ছিল।’ ওর চোখ ছলছল করে উঠত। ও আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলত, ‘মা তুমি অনেক ইয়ং। তোমার এখনও সময় আছে। মেয়ে বলত, ‘তুমি পাবেই পাবে।’ অনেক সময় চোখ ছলছল করে ওর দিকে তাকিয়ে বলতাম, মাগো, তোমাদের আশা যেন এভাবেই থাকে। না পেলেও ভেঙো না।’

rBABCmFEfUGAJJHtAAAAAAAAAAA021.1012x670

রাষ্ট্রীয় সম্মাননাকে অনেকে পূর্ণতালাভের সঙ্গে তুলনা করেন। আপনি কীভাবে দেখেন?

যখন থেকে গান শুরু করেছি তখন থেকে আজ পর্যন্ত সকল শ্রেণির মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। যখন দেখি কেউ বলেন আমার মা, কেউ বলেন স্ত্রী, কেউ বলেন দাদি আপনার গান পছন্দ করেন, নতুন প্রজন্মের অনেকে প্রণাম করে বলে, আমি আপনার ফ্যান— তখন মনে হয় এটাই বোধহয় বড় প্রাপ্তি। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে একটু হলেও ধরতে পেরেছি। ওরা যেভাবে আমাকে সম্মান করে সেটা অনেক বড় পাওয়া। একটি ঘটনা বলি। ত্রিশালের দরিরামপুরের ঘটনা। এখনও মনে আছে ওখানকার ডিসি একবার পাগলের মতো আমার বাসায় ছুটে এসেছিলেন। বলছিলেন, ‘আমি এত রাতে আপনার বাসায় এসেছি। আমাকে বাঁচান।’ আমি বললাম, ‘মানে কী!’ তিনি বললেন, ‘লোকজন আমাকে এসে বলছে, তিন দিনের প্রোগ্রামে একদিন শুধু ফেরদৌস আরার গান রাখতে হবে। নইলে আপনার প্যান্ডেল ভেঙে দেব।’ আমি উনাকে বললাম, ‘অবশ্যই যাব।’ গিয়ে দেখলাম নিরাপত্তার জন্য তিন সারি করে র‍্যাব দাঁড়ানো। গ্রামের বৃদ্ধ নারীরা কান্নাকাটি করছেন। এত রাতে কিন্তু গ্রামের নারীরা গান-বাজনা শুনতে বের হন না। অনেকে আমার দিকে ছুটে আসছিলেন।  র‍্যাবের সদস্যরা বাধা দিচ্ছিলেন আর আমাকে বলছিলেন, ‘আপা তাড়াতাড়ি দোতালায় উঠুন। মানুষের ঢল ছুটলে চ্যাপ্টা হয়ে যাবেন।’ দেখলাম, সবাই আমার দিকে ছুটে আসছেন। দৌড়ে কোনোরকম ওপরের তলায় উঠলাম। দৌলতপুর নার্গিস আসার খানমের বাড়ি। সেখানেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকে মনে হতো, মানুষের ভালোবাসা আছে কিন্তু আমার ঝোলাটা খালি। আর পুরস্কার লাভের পর মনে হয় সাধারণ মানুষের ওই ভালোবাসা হাজার কোটি টাকা দিয়েও জোগাড় করা সম্ভব না।

ferdous-ara-24

আপনি পাচ্ছেন শুনে বলছে, সঠিক মানুষের হাতে যাচ্ছে পদক। এর আগে অনুপযুক্তদের হাতে একুশে পদক যাওয়ার অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? 

একেকজনের ক্ষেত্রে একেকটা হয়। কারও ক্ষেত্রে অনেক দিনের চাওয়া থাকে। তিনি পেলে সবাই বলে সঠিক মানুষটি পেল। আবার কেউ মানুষের চাওয়ায় তৈরি হওয়ার আগেই পেয়ে গেছেন। সেক্ষেত্রে ওইসব কথা আসে।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।