দিল্লি বিধানসভার ভোট গণনায় পিছিয়ে কেজরিওয়াল

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনা, পিছিয়ে কেজরিওয়াল ভারতের দিল্লি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণনা চলবে। ভোটগণনা শুরুর ৪০ মিনিট পরের পরিসংখ্যা বলছে, আপ ২০টি আসনে এগিয়ে, ২৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। চলছে পোস্টাল ব্যালটের গণনা। বিজ্ঞাপন শুরুতে পিছিয়ে রয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা। পিছিয়ে আছেন কংগ্রেসের মণীশ সিসৌদিয়াও। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। দীর্ঘ ২৭ বছর পর রাজধানী শাসনের আশা দেখছে কেন্দ্রে টানা তিন দফায় ক্ষমতায় থাকা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুথ ফেরত জরিপও (এক্সিট পোল) সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর এতে কপাল পুড়তে যাচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির (এএপি)। অন্তত আটটি বুথ ফেরত জরিপ বলছে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোট দেওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররাই জানিয়েছেন তারা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন।
৭০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলের প্রয়োজন ৩৬ আসন। সেক্ষেত্রে বেশ এগিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনেই এবার ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোর টক্কর বিজেপির। খাতায়কলমে লড়াইয়ে আছে কংগ্রেসও। তবে গোড়া থেকেই ধারে ও ভারে বেশ পিছিয়ে তারা। বিজ্ঞাপন ভোট গণনায় নয়াদিল্লি আসনে পিছিয়ে আছেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্দীপ দীক্ষিত। ওই আসনে লড়েছেন কেজরিওয়াল নিজে। কিন্তু পোস্টাল ব্যালটে তিনিও পিছিয়ে। নয়াদিল্লিতে এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মা। দিল্লিতে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আপ নেতা আতিশী।
শনিবার সকালে তিনি বলেন, এটা কোনো সাধারণ ভোট নয়। এটা শুভ এবং অশুভের লড়াই। আমি নিশ্চিত, দিল্লির মানুষ শুভর সঙ্গে থাকবেন। কেজরীওয়াল চতুর্থ বারের জয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। লোকসভা নির্বাচনের মতো দিল্লির ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চায়নি আপ। কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন, তার দল দিল্লির ভোটে একাই লড়বে। প্রথম থেকেই তাই রাজধানীর রাজনৈতিক লড়াইয়ে ধারে ও ভারে কিছুটা পিছিয়ে কংগ্রেস।
উত্তরের কন্ঠ এ,এস
আপনার মতামত লিখুন