খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫, ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে না শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার

আবু সালেহ রনি প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে না শেখ মুজিবসহ চার শতাধিক নেতার

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ বা এমপিএ) বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থাকছে না। তাদের পরিচয় হতে যাচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী এই নেতারা ১৯৭২ সালে গণপরিষদের সদস্য মনোনীত হন।

বিদ্যমান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধনের চূড়ান্ত খসড়ায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে। জামুকার ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ মার্চ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্রে (খসড়াসহ অন্যান্য বিষয়) স্বাক্ষর করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

আইন সংশোধনের খসড়া অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনীতিবিদই নন, আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। এই চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধারা হলেন– প্রথমত, যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। দ্বিতীয়ত, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তৃতীয়ত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক। এবং চতুর্থত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই খসড়া কার্যকর হলে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধার চূড়ান্ত তালিকার অন্তত ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় বদলে যাবে। তাদের পরিচয় হবে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী।

খসড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেন, “রাজনীতিবিদরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে থাকবেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবল তারাই থাকবেন, যারা রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। অন্য সবার পরিচয় হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। এখানে কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে না। সবার সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, বিষয়টি অনেকেই বুঝতে ভুল করছেন। মুক্তিযুদ্ধে যিনি যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি সেভাবেই স্বীকৃতি পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সংজ্ঞায় প্রথমদিকে বীরাঙ্গনা এবং সীমান্তবর্তী ভারতের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের চিকিৎসক ও নার্সদের নাম থাকলেও চূড়ান্ত খসড়ায় সেটি না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল থাকবে।’

উপদেষ্টা জানান, খসড়াটি চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের সত্যটা জানি। কোনো আইন বদল করে কারও অবদান বদলে দেওয়া যাবে না। এটি করার প্রয়োজন নেই। এগুলো অপ্রয়োজনীয় কাজ, অপচয়মূলক কাজ।’ তাঁর মতে, যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত, তাদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক না। কেউ যদি ভুয়া (অমুক্তিযোদ্ধা) হয়, তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার না করে বরং দেশের অর্থনীতির দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের তাকানো উচিত।

মানবাধিকার নেত্রী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ। এই যুদ্ধ শুধু একটি  কনভেনশনাল সামরিক যুদ্ধ ছিল না। একই সঙ্গে এর অন্যতম মূল অংশ ছিল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক।

সেই সময়কার সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অনুযায়ী সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ভুলত্রুটি সংশোধন অবশ্যই কাম্য। তবে ঢালাওভাবে মুক্তিযুদ্ধকালীন এমএনএ বা এমপিএ, গণপরিষদ সদস্যসহ সবার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় বাতিল করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।’

মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনীতিবিদ

১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ‘বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ, ১৯৭২’ জারি করেন। ওই বছরের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশবলে ১৯৭০ সালের ৭ ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত ৪৬৯-এর (জাতীয় পরিষদে ১৬৯, আর প্রাদেশিক পরিষদে ৩০০) মধ্যে ৪০৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় গণপরিষদ। ৪০৩ জনের মধ্যে ৪০০ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের, একজন ছিলেন ন্যাপের আর দু’জন নির্দলীয়। স্বাধীনতার পর প্রণীত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬১ জনকে  ‘লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা’ শ্রেণিতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ গণপরিষদের সদস্যও আছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় বর্তমানে ৩৬টি শ্রেণি রয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়া কার্যকর হলে গণপরিষদ সদস্যদের নিয়ে প্রণীত লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা, বিসিএস ধারণাগত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশ্বজনমত গঠনকারী প্রবাসী সংগঠক, মুজিবনগর, স্বাধীন বাংলা বেতার শিল্পী, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় বদলে যাবে। এর বাইরে বেসামরিক গেজেটে থাকা প্রায় দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধার মধ্য থেকেও কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় নিয়ে সংকট দেখা দেবে।

খসড়াটি অধ্যাদেশ হিসেবে প্রকাশের পর বেসামরিক গেজেটের তালিকা থেকে রণাঙ্গনে অংশ না নেওয়া অন্য শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই শুরু করবে মন্ত্রণালয়।

তালিকার পর তালিকা 

স্বাধীনতার পর ১৯৮৬ সালে প্রথম জাতীয় কমিটির তালিকার ভিত্তিতে এক লাখ দুই হাজার ৪৫৮ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম পাঁচটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। তবে এটির গেজেট হয়নি। ১৯৮৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার ৮৯২। পরে ১৯৯৪ সালে বিএনপির আমলে করা তৃতীয় তালিকায় ৮৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হন।

১৯৯৮ থেকে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে প্রকাশিত চতুর্থ তালিকায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫২ জনের নাম মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত হয়। ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের আমলে গেজেটে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৯-এ। ২০২৩ সালে বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ষষ্ঠ দফার চূড়ান্ত (সমন্বিত) তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৮ হাজার ৮৫১-তে। এর মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত, শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ১০ হাজার ৯৯৬ জন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৪ আগস্ট নতুন করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধা যাচাইয়ের কথা বলা হলেও পরে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা 

১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের সময় প্রণীত মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা বলতে যে কোনো ব্যক্তি, যিনি মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।’

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বের এক গেজেটের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা করা হলে এর পরিধি বিস্তৃত হয়। পরে তা জাতীয় সংসদেও পাস করে তৎকালীন সরকার। সংজ্ঞায় বলা হয়, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’

সংজ্ঞায় রণাঙ্গনের সশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল, স্বাধীন বাংলা বেতার কর্মী, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসে পেশাজীবী সংগঠক, ভারতে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যক্তি, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, পাকিস্তান বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা), মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে এবার সেই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা সংশোধনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়।

এ-সংক্রান্ত খসড়ায় পরিবর্তিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অর্থ যাহারা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামেগঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়াছেন, এই রূপ সকল বেসামরিক নাগরিক উক্ত সময়ে যাহাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে ছিল এবং সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিবাহিনী ও অন্যান্য স্বীকৃত বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্ট ( ইপিআর), নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স এবং আনসার সদস্য, তাহারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য হইবেন।’

খসড়ায় মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞাও পরিবর্তন করা হয়েছে। সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘‘‘মুক্তিযুদ্ধ’ অর্থ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষায় হানাদার ও পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ।’’

অথচ বিদ্যমান আইনের সংজ্ঞায় বলা রয়েছে, “‘মুক্তিযুদ্ধ’ অর্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া দখলদার ও হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম ও মুসলিম লীগ এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুজাহিদ বাহিনী ও পিস কমিটির বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ।”

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা মহল সচেষ্ট। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা সেটারই ধারাবাহিকতা। তাদের মনে রাখা উচিত, কয়েক দশকের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এটি ছিল পরিকল্পিত সংগ্রাম।
রাজনীতিবিদরাই জনগণকে পথ দেখিয়েছেন। তাদের নেতৃত্ব ও ভূমিকা সম্পর্কে জনগণ অবহিত। তাই এ নিয়ে বিতর্ক করা সমীচীন নয়।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, ‘বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝা দরকার।’ তিনি এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব বলেন, ‘আশা করব, বৃদ্ধ বয়সে মুক্তিযোদ্ধারা যেন আর নতুন করে হয়রানি না হন। মুক্তিযুদ্ধ জাতির ইতিহাসে মীমাংসিত সত্য। তাই এ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ নেই।’

 

সূত্র- সমকাল

চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ
চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি
“পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হতে অপসারিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অবস্থান অবহিতকরণ”
ক) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য অভিন্ন সার্ভিস কোড ও একীভূত করার বিষয়টি সরকার/রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত, এটি বিআরইবি বা সংস্থা প্রধানের এখতিয়ারভূক্ত নয়। এ বিষয়ে সরকারের যে কোন সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়টি কেন্দ্র করে সম্মানিত গ্রাহকদের জিম্মি করে অফিস শৃঙখলা পরিপন্থী কোন কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।
খ) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিভিন্ন সমাধানযোগ্য যৌক্তিক সুযোগ সুবিধাদী প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি মাসে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমিতিসমূহ পরিদর্শন করে প্রত্যেক সমিতির সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে আন্তরিকভাবে সকলের সাথে সাক্ষাতপূর্বক তাদের যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধাগুলো জ্ঞাত হয়ে তা দ্রুততম সময়ে মধ্যে সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এটি একটি সংস্কারমূলক ও ইতিবাচক চলমান প্রক্রিয়া।
গ)  গত ১৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. দেশব্যাপী ব্লাক-আউট করে সম্মানিত গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ফেলে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার করে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে তাঁরা স্বাধীনভাবে একই ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত হন যা ৩.৫ কোটি গ্রাহকের জন্য হুমকীস্বরুপ। উল্লেখ্য, তাদের ষড়যন্ত্রমূলক ব্ল্যাক-আউট কার্যকলাপের কারণে নেত্রকোনায় হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ০১ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন, যা ন্যক্কারজনক।
ঘ) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করণের লক্ষ্যে তাদের সাপ্তাহিক ছুটি ১দিনের পরিবর্তে ০২ দিন করা হয়েছে, ০১ জুলাই’২০২৩খ্রিঃ তারিখ হতে বিশেষ প্রণোদনা ৫% কার্যকর করা হয়েছে এবং পবিসসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রদানের সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঙ) পবিসের সাংগঠনিক কাঠামোভূক্ত ৪৭২৩ জন লাইনম্যান লেভেল-১ কে শূন্যপদের বিপরীতে নিয়মিত করা হয়েছে। ১৩০২ জন ‘কাজ নাই মজুরী নাই’ ভিভিত্তে নিয়োজিত বিলিং সহকারীকে অন-প্রবেশনে নিয়োগ করা হয়েছে। লাইন শ্রমিকদের চুক্তির মেয়াদ ৬ মাস/১ বছরের পরিবর্তে ২ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। মিটার রিডারদের চুক্তি ৩ বছর এবং এক জায়গায় ৪ মেয়াদে ১২ বছর অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা পূর্বে ৩ মেয়াদে ৯ বছর ছিল। এ ছাড়া ৬৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে তাদের আবেদন মোতাবেক পারস্পরিক বদলি করা হয়েছে। পবিসসমূহে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের স্বামী/স্ত্রী একই কিংবা নিকটবর্তী কর্মস্থলে বদলী/পদায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
চ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বদলিজনিত রদবদল করা হচ্ছে, যা একটি সংস্কারমূলক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
ছ) বিদ্যুৎ সেক্টরকে অস্থিতিশীল করে জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে চাঁদা আদায়, সভা-সমাবেশ আয়োজন ও অংশগ্রহণ, অপপ্রচার ছড়ানো “পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্মচারী চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত-২০১২)” মোতাবেক গুরুতর অসদাচরণ।
০২। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড হতে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে নিম্ন বর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছেঃ
ক) বাপবিবোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী ‘আমি’ বা ‘তারা’ নয় ‘আমরা’ হিসাবে কর্মসম্পাদন করাসহ গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকল্পে সততা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং চেইন অফ কমান্ড প্রতিপালন করার জন্য সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
খ) বিগত ০৪/০৯/২০২৪খ্রি. তারিখে কুমিল্লা পবিস-২ এর আওতাধীন বুড়িচং উপজেলায় ও ফেনী পবিস এর আওতাধীন পরশুরাম উপজেলায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে বাপবিবো ও পবিস এর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সমন্বয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়;
গ) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকুরীরত অবস্থায় কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তার দাফন/অন্তোষ্টিক্রিয়ার ব্যয়সহ পরিবারের সদস্যদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে;
ঘ) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিভিন্ন যৌক্তিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতি মাসে বাপবিবোর্ডে মত বিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে;
ঙ) পবিসের বিদ্যমান সকল অফিসের গ্রাহক সংখ্যা ও বিতরণ লাইন অনুপাতে লাইনম্যানের প্রাপ্যতা নির্ধারণ এবং লাইনম্যান টুলসহ অন্যান্য মালামালের চাহিদা সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
০৩। বিদ্যুৎ বিভাগ, বাপবিবোর্ড ও পবিসের উদ্যোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা ইতোমধ্যে প্রদান করা হলেও গ্রাহক সেবাকে বাধাগ্রস্ত করে সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যক্তিগত সুবিধা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের অযৌক্তিক কার্যক্রম প্রতিনিয়ত পরিচালনা করে আসছে। এতো সুযোগ সুবিধা প্রদানের পরেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুনরায় ২১ মে ২০২৫ “মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের জিম্মি করে অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পায়তারা করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মতো একটি সফল ও গ্রাহক সেবাদানকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
০৪। এ প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের ১৪ কোটি মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও চাকুরী বিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন পূর্বক পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে সফলতার সাথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।

নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৩:৪৭ অপরাহ্ণ
নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

দেশের অন্যতম প্রগতিশীল ও অরাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। আজ (১৮ মে) রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মো. রকিবুল ইসলাম (সোনাই) কে আহ্বায়ক এবং কাওছার আলী কে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

নবগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটিতে আরও কয়েকজন উদ্যমী ও সচেতন ছাত্র প্রতিনিধিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাঁরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন।

কমিটিতে যুগ্ম-সদস্যপদে জায়গায় করে নিয়েছেন, মো. আনিছুর রহমান। এছাড়াও সদস্য পদে রয়েছেন, মো. তানভীর ইসলাম স্বপ্নীল, মো. সাব্বির হোসেন, মো. সোহেল রানা, নাঈম শেখ, মো. রায়হান কবির, মো. আমিরুল ইসলাম, মো. মুরাদ সরকার, মো. আকাশ শেখ, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ, শ্রী কানাই চন্দ্র, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কমিটি ঘোষণার সময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের এগিয়ে নিয়ে যেতে নাগরিক ছাত্র ঐক্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সিরাজগঞ্জ জেলার নতুন নেতৃত্ব এ ধারাকে আরও বেগবান করবে।

কমিটি ঘোষণার পর কেন্দীয় কমিটির সদস্য ও নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার নব-গঠিত কমিটির আহ্বায়ক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মো. রকিবুল ইসলাম (সোনাই) বলেন,

“আমি নাগরিক ছাত্র ঐক্যের মত একটি আদর্শিক ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব পেয়ে কৃতজ্ঞ। আমাদের লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব এবং সাধারণ ছাত্রদের পাশে থাকব সবসময়।”

নবনির্বাচিত সদস্য সচিব কাওছার আলী বলেন, “নাগরিক ছাত্র ঐক্য কখনোই সুবিধাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা মাঠে-ঘাটে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে যাব। এই দায়িত্ব আমাদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ, আর আমরা তা সাফল্যের সাথে পালন করব বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।”

নবগঠিত এই কমিটি শীঘ্রই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংগঠনিক সফর শুরু করবে। এছাড়াও আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। ছাত্র অধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবিক সমাজ গঠন ও শিক্ষার মানোন্নয়ন—এই চারটি মূল ভিত্তিকে সামনে রেখে তারা কাজ চালিয়ে যাবে।

নাগরিক ছাত্র ঐক্য একটি গণতান্ত্রিক, অরাজনৈতিক এবং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছাত্রদের অধিকার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছে। সংগঠনটি একটি শক্তিশালী ছাত্র প্ল্যাটফর্ম গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার এই নতুন কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটি স্থানীয় পর্যায়ে আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের দিনাজপুর-পঞ্চগড় সড়কের বাবলু ফার্মের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দিনাজপুর ট্রেজারী অফিসের কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫) এবং মাইক্রোবাস চালক মানিক হোসেন (৩২) নিহত হন। আহতদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের আরও তিনযাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন।

বীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন সাব অফিসার মো. মসলেম উদ্দিন জানান, মাইক্রোবাস যোগে ঠাকুরগাঁও হতে রংপুর যাওয়ার পথে বাবলু ফার্মের সামনে বিপরীতমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ বাধে। এতে মাইক্রোবাসের চালক মানিক হোসেন এবং যাত্রী মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয় লোকজন আহতদের ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে।

দিনাজপুরের দশমাইল হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

সত্যতা স্বীকার করে একসঙ্গে কয়েকজন সরকারী অফিসারের মর্নান্তিক অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফুর।

"> ">
চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা। প্রবাসে কর্মসংস্থানে পিছিয়ে রংপুর, বাড়ছে দালালের দৌরাত্ম্য হজের সময় ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে হয় কেন? জনতার আবেগে ব্যবসা, দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকা ৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন দেশে ইসরায়েলের পণ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি পশ্চিমবঙ্গে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, ছাত্রদের পড়াবে কে? সাবিলা নূর কি তাহলে শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন না? স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তাল বায়তুল মোকাররম প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন একটি সেতুর জন্য চার জেলার লক্ষাধিক মানুষের হা হা কার