খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

উপ-সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে ড. আহাদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

ইয়াহিয়া নয়ন প্রকাশিত: বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:৪৯ অপরাহ্ণ
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে ড. আহাদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মাঝে ড.আহাদ

এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়তে চায়না। বিজ্ঞানে তাদের আগ্রহ কম। কিন্তু তাদেরকে যদি পদার্থ, রসায়ন,উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান বাড়ানো যায় তবে তা জাতীয় জীবনে অনেক কাজে লাগবে। পাশাপাশি তাদের প্রণিসম্পদ বিষয়ে সাধারন জ্ঞান দিতে পারলেও তা তারা নিজেদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবে। আর এই জ্ঞান ধারণা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পর্যায় থেকে। কিন্তু কিভাবে তাদের বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলা যায়।

এই চিন্তা থেকে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে সহজ পাঠ্য করেছেন একজন শিক্ষাগুরু। তিনি সহজ করে নিজেস্ব জ্ঞান ধারণা দিয়ে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে তৈরি করেছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে তা প্রয়োগের জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। ইতোমধ্যেই তিনি ১২৬ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলেছেন। তার পুরো কাজটাকে প্রশংসিত করেছেন দেশের বরেণ্য শিক্ষাগুরুরা। পদস্থ সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টিকে ইতিবাচক এবং ব্যপক সম্ভাবনাময় বলে মতামত দিয়েছেন।

প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদেরকে জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী ৯ম ও ১০ম শ্রেনির পাঠ্য পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীব বিজ্ঞান সমন্ধে পাঠদান করা হয়। এছাড়া ভেটেরিনারি সায়েন্স বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান দেওয়া হয়।

বেশ কয়েক বছর পূর্বে ড. আহাদ প্রথম অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন আমেরিকান একজন নাগরিক সালমান খানের মাধ্যমে। তার পূর্ব পুরুষ বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি আমেরিকায় ২০০৮ সালে “খান একাডেমি” নামক একটি স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করেন। এই একাডেমিটি একটি অলাভজনক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং এর মূলমন্ত্র ছিল “পৃথিবীর যেকোন স্থানে, যে কাউকে বিনা মূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করা”। সত্যিকার অর্থে এই বাক্যটি ড.আহাদকে হৃদয়ে মর্মে স্পর্শ করে। তিনি তখন চিন্তা করা শুরু করলেন, সালমান খানের মতো আমাদের দেশের জন্য কিছু করার। প্রাথমিক ভাবে তিনি তার নিজ গ্রাম থেকে কাজটি শুরু করার জন্য চিন্তা করলেন।

তিনি ভাবলেন, কিভাবে তাঁর গ্রামের লোকজন কে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা যায়। এর প্রথম ধাপ হিসেবে, তিনি অনুভব করলেন গ্রামের মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের মাধ্যমে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং জনসাধারণের নিকট আগ্রহ সৃষ্টি করা যায় কিনা তা পরীক্ষা করা।

ড.আহাদ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রবায়োলজি ও ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তার ২২ বছরের চেয়েও বেশি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মনে করলেন, যদি স্কুল শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা যায় এবং ঐ প্রশিক্ষিত শিক্ষক তার চাকুরির ২০-৩০ বছরের মধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর সম্মুখীন হবেন। যার ফলে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের মাধ্যমে পরবর্তী কিছুটা সুবিধাবঞ্চিত গ্রামের স্কুল ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা বিষয়ে উপকৃত হবে। তিনি সেই মোতাবেক কোন প্রকার সম্মানী ব্যাতিরকেই নবম – দশম শ্রেণির স্কুল শিক্ষকদের কে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন।

তিনি তার চিন্তা-ভাবনা আবু খালেদ মো. ছাইফ উল্লাহ কে অবহিত করেন। যিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অফিসে উপ-পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত। ড.আহাদ এবং আবু খালেদ মো. ছাইফ উল্লাহ একই এলাকাতে বসবাস করেন। যা বাংলাদেশের দক্ষিন প্রান্তের লক্ষীপুর জেলায় অবস্থিত। তার পক্ষে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে এলাকার স্কুল শিক্ষকের যোগাযোগ সহজতর ছিল। কারণ, তিনি সেই এলাকার একজন সম্মানিত ব্যাক্তি এবং স্থায়ী বাসিন্দা। জনাব আবু খালেদ মো. ছাইফ উল্লাহ প্রশিক্ষানার্থী শিক্ষকদের উৎসাহের জন্য কিছু আর্থিক সম্মানীর ব্যবস্থা করতে বললেন। তা না হয় হয়তো এই প্রশিক্ষণ তেমন ফলপ্রসূ হবে না। ড.আহাদ এতে কিছুটা হতাশাগ্রস্থ হলেন। কারণ তার পক্ষে নিজের অর্থে প্রশিক্ষণ দেয়াটা দূষ্কর ছিল। কিন্তু তিনি তার স্বপ্ন ভঙ্গ হতে দিলেন না। তিনি মনে করলেন একদিন হয়তো তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

তিনি তার এই চিন্তা ভাবনাটি তার কিছু সহকর্মী/বন্ধু/ আত্মীয়-স্বজন কে জানালেন। কিছু লোক তার ধারণাটিকে প্রশংসা করলেন এবং কেউ বললেন, এটি হয়তো সম্ভব হবে না। মনে হলো যেন নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো অবস্থা। ড.আহাদকে ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ২ বছরের মেয়াদের জন্য ডীনের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই সময় তিনি আন্তর্জাতিক ভেটেরিনারি মেডিকেল কাউন্সিল (আমেরিকান ভেটেরিনারি অঙ্গসংস্থার একটি প্রতিষ্ঠান) থেকে একটি প্রকল্পের আহবান পান। প্রকল্পের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল গ্রামে ভেটেরিনারি শিক্ষার প্রসার করা। লেখক এই সুযোগটিকে কাজে লাগালেন। তিনি তার চিন্তা ভাবনার সাথে ভেটেরিনারি শিক্ষা কে যোগ করে একটি প্রকল্প তৈরি করেন এবং যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট দাখিল করেন। দূর্ভাগ্য বশত তার সেই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়নি।

তিনি পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত ভাবে তার এক শিক্ষাগুরু অধ্যাপক মোহাম্মদ শওকত আনোয়ারকে অবহিত করলেন। তিনি আমেরিকার TUFTS Cummings School of Veterinary Medicine বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী-ডিন হিসেবে কর্মরত। আমেরিকার অধ্যাপকের নিকট ঘটনাটি অত্যান্ত হৃদয়গ্রাহী হল। তিনি ড.আহাদকে আশ্বাস দিলেন যে একটি পাইলট প্রকল্পের পরিচালনা করার জন্য অনুদান সংগ্রহ করে দিবেন।

২০২০ সালে কোভিড-১৯ (SARS-CoV2) ভাইরাসজনিত বিশ্ব মহামারীর কারণে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ দেশ আক্রান্ত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেকদিন যাবত বন্ধ ছিলো। লকডাউনের কারণে জনসাধারণকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছিলো। ড.আহাদ এই সুযোগটিকে কাজে লাগালেন। এই অপ্রত্যাশিত ছুটির দিনে তিনি নবম-দশম শ্রেণীর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং বোর্ডের অনুমোদিত জীববিজ্ঞান এবং রসায়ন বইটি ইংরেজী ভাষায় নতুনভাবে লিপিবদ্ধ করেন। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টি তিনি আরেকজন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করেন। এই বই দুটিতে তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে ছাত্রদের নিকট বিষয়টি সহজভাবে বোধগোম্য করার জন্য ইন্টারনেট থেকে অনেক ছবি ডাউনলোড করেন।

তিনি আন্তরিকভাবে ঐ সমস্ত জনসাধারণের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা তাদের বিষয়গুলো ইন্টারনেটে আপলোড করেছেন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন। ড.আহাদ জীববিজ্ঞান বইটি ইংরেজীতে লিপিবদ্ধ করার পর তিনি তার শ্রদ্ধেয় বড় ভাইকে বইটিকে বাংলায় অনুবাদ করতে অনুরোধ করেন। তার বড়ভাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগ-তত্ত্ব এবং বীজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত। এই বইটি দ্বারা নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবে, এবং স্কুলের শিক্ষকদের জন্যও পাঠদানে সহায়তা করবে।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ড.আহাদের কর্মসূচী সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এখন প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের কাজে লাগিয়ে এই কর্মসূচী সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন, এই অভিমত দেশের শিক্ষানুরাগীদের।

 

উত্তরের কণ্ঠ/পিআর/এসআর

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।