খুঁজুন
শুক্রবার, ২০শে জুন, ২০২৫, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২

উপ-সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে ড. আহাদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

ইয়াহিয়া নয়ন প্রকাশিত: বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:৪৯ অপরাহ্ণ
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে ড. আহাদের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী

প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মাঝে ড.আহাদ

এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়তে চায়না। বিজ্ঞানে তাদের আগ্রহ কম। কিন্তু তাদেরকে যদি পদার্থ, রসায়ন,উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান বাড়ানো যায় তবে তা জাতীয় জীবনে অনেক কাজে লাগবে। পাশাপাশি তাদের প্রণিসম্পদ বিষয়ে সাধারন জ্ঞান দিতে পারলেও তা তারা নিজেদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবে। আর এই জ্ঞান ধারণা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পর্যায় থেকে। কিন্তু কিভাবে তাদের বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলা যায়।

এই চিন্তা থেকে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে সহজ পাঠ্য করেছেন একজন শিক্ষাগুরু। তিনি সহজ করে নিজেস্ব জ্ঞান ধারণা দিয়ে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে তৈরি করেছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে তা প্রয়োগের জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। ইতোমধ্যেই তিনি ১২৬ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলেছেন। তার পুরো কাজটাকে প্রশংসিত করেছেন দেশের বরেণ্য শিক্ষাগুরুরা। পদস্থ সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টিকে ইতিবাচক এবং ব্যপক সম্ভাবনাময় বলে মতামত দিয়েছেন।

প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদেরকে জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী ৯ম ও ১০ম শ্রেনির পাঠ্য পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীব বিজ্ঞান সমন্ধে পাঠদান করা হয়। এছাড়া ভেটেরিনারি সায়েন্স বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান দেওয়া হয়।

বেশ কয়েক বছর পূর্বে ড. আহাদ প্রথম অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন আমেরিকান একজন নাগরিক সালমান খানের মাধ্যমে। তার পূর্ব পুরুষ বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি আমেরিকায় ২০০৮ সালে “খান একাডেমি” নামক একটি স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করেন। এই একাডেমিটি একটি অলাভজনক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং এর মূলমন্ত্র ছিল “পৃথিবীর যেকোন স্থানে, যে কাউকে বিনা মূল্যে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করা”। সত্যিকার অর্থে এই বাক্যটি ড.আহাদকে হৃদয়ে মর্মে স্পর্শ করে। তিনি তখন চিন্তা করা শুরু করলেন, সালমান খানের মতো আমাদের দেশের জন্য কিছু করার। প্রাথমিক ভাবে তিনি তার নিজ গ্রাম থেকে কাজটি শুরু করার জন্য চিন্তা করলেন।

তিনি ভাবলেন, কিভাবে তাঁর গ্রামের লোকজন কে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা যায়। এর প্রথম ধাপ হিসেবে, তিনি অনুভব করলেন গ্রামের মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের মাধ্যমে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং জনসাধারণের নিকট আগ্রহ সৃষ্টি করা যায় কিনা তা পরীক্ষা করা।

ড.আহাদ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রবায়োলজি ও ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তার ২২ বছরের চেয়েও বেশি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মনে করলেন, যদি স্কুল শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা যায় এবং ঐ প্রশিক্ষিত শিক্ষক তার চাকুরির ২০-৩০ বছরের মধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর সম্মুখীন হবেন। যার ফলে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের মাধ্যমে পরবর্তী কিছুটা সুবিধাবঞ্চিত গ্রামের স্কুল ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা বিষয়ে উপকৃত হবে। তিনি সেই মোতাবেক কোন প্রকার সম্মানী ব্যাতিরকেই নবম – দশম শ্রেণির স্কুল শিক্ষকদের কে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন।

তিনি তার চিন্তা-ভাবনা আবু খালেদ মো. ছাইফ উল্লাহ কে অবহিত করেন। যিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অফিসে উপ-পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত। ড.আহাদ এবং আবু খালেদ মো. ছাইফ উল্লাহ একই এলাকাতে বসবাস করেন। যা বাংলাদেশের দক্ষিন প্রান্তের লক্ষীপুর জেলায় অবস্থিত। তার পক্ষে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে এলাকার স্কুল শিক্ষকের যোগাযোগ সহজতর ছিল। কারণ, তিনি সেই এলাকার একজন সম্মানিত ব্যাক্তি এবং স্থায়ী বাসিন্দা। জনাব আবু খালেদ মো. ছাইফ উল্লাহ প্রশিক্ষানার্থী শিক্ষকদের উৎসাহের জন্য কিছু আর্থিক সম্মানীর ব্যবস্থা করতে বললেন। তা না হয় হয়তো এই প্রশিক্ষণ তেমন ফলপ্রসূ হবে না। ড.আহাদ এতে কিছুটা হতাশাগ্রস্থ হলেন। কারণ তার পক্ষে নিজের অর্থে প্রশিক্ষণ দেয়াটা দূষ্কর ছিল। কিন্তু তিনি তার স্বপ্ন ভঙ্গ হতে দিলেন না। তিনি মনে করলেন একদিন হয়তো তার এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

তিনি তার এই চিন্তা ভাবনাটি তার কিছু সহকর্মী/বন্ধু/ আত্মীয়-স্বজন কে জানালেন। কিছু লোক তার ধারণাটিকে প্রশংসা করলেন এবং কেউ বললেন, এটি হয়তো সম্ভব হবে না। মনে হলো যেন নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো অবস্থা। ড.আহাদকে ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ২ বছরের মেয়াদের জন্য ডীনের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই সময় তিনি আন্তর্জাতিক ভেটেরিনারি মেডিকেল কাউন্সিল (আমেরিকান ভেটেরিনারি অঙ্গসংস্থার একটি প্রতিষ্ঠান) থেকে একটি প্রকল্পের আহবান পান। প্রকল্পের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল গ্রামে ভেটেরিনারি শিক্ষার প্রসার করা। লেখক এই সুযোগটিকে কাজে লাগালেন। তিনি তার চিন্তা ভাবনার সাথে ভেটেরিনারি শিক্ষা কে যোগ করে একটি প্রকল্প তৈরি করেন এবং যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট দাখিল করেন। দূর্ভাগ্য বশত তার সেই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়নি।

তিনি পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত ভাবে তার এক শিক্ষাগুরু অধ্যাপক মোহাম্মদ শওকত আনোয়ারকে অবহিত করলেন। তিনি আমেরিকার TUFTS Cummings School of Veterinary Medicine বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী-ডিন হিসেবে কর্মরত। আমেরিকার অধ্যাপকের নিকট ঘটনাটি অত্যান্ত হৃদয়গ্রাহী হল। তিনি ড.আহাদকে আশ্বাস দিলেন যে একটি পাইলট প্রকল্পের পরিচালনা করার জন্য অনুদান সংগ্রহ করে দিবেন।

২০২০ সালে কোভিড-১৯ (SARS-CoV2) ভাইরাসজনিত বিশ্ব মহামারীর কারণে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ দেশ আক্রান্ত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেকদিন যাবত বন্ধ ছিলো। লকডাউনের কারণে জনসাধারণকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছিলো। ড.আহাদ এই সুযোগটিকে কাজে লাগালেন। এই অপ্রত্যাশিত ছুটির দিনে তিনি নবম-দশম শ্রেণীর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং বোর্ডের অনুমোদিত জীববিজ্ঞান এবং রসায়ন বইটি ইংরেজী ভাষায় নতুনভাবে লিপিবদ্ধ করেন। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টি তিনি আরেকজন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করেন। এই বই দুটিতে তিনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে ছাত্রদের নিকট বিষয়টি সহজভাবে বোধগোম্য করার জন্য ইন্টারনেট থেকে অনেক ছবি ডাউনলোড করেন।

তিনি আন্তরিকভাবে ঐ সমস্ত জনসাধারণের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা তাদের বিষয়গুলো ইন্টারনেটে আপলোড করেছেন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন। ড.আহাদ জীববিজ্ঞান বইটি ইংরেজীতে লিপিবদ্ধ করার পর তিনি তার শ্রদ্ধেয় বড় ভাইকে বইটিকে বাংলায় অনুবাদ করতে অনুরোধ করেন। তার বড়ভাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগ-তত্ত্ব এবং বীজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত। এই বইটি দ্বারা নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবে, এবং স্কুলের শিক্ষকদের জন্যও পাঠদানে সহায়তা করবে।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ড.আহাদের কর্মসূচী সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এখন প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের কাজে লাগিয়ে এই কর্মসূচী সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন, এই অভিমত দেশের শিক্ষানুরাগীদের।

 

উত্তরের কণ্ঠ/পিআর/এসআর

বীরগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৪:৪২ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শালবন মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ভিক্টরি প্লাস বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং ভর্তি কোচিং এর আয়োজনে এইচএসসি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি নার্সিং কলেজে চান্সপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ডা: মো: শাহ আলম এর সভাপতিত্বে
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক মো: আব্দুল মতিন, বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ এর প্রভাষক মো:নজরুল ইসলাম খান, বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ এর বিভাগীয় প্রধান (হিসাব বিজ্ঞান) মো: রোকনুজ্জামান, জগদল উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো. সামিউল ইসলাম, ভিক্টরি প্লাস বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং ভর্তি কোচিং এর পরিচালক মো: সোহেল রানা, ভিক্টরি প্লাস বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং ভর্তি কোচিং এর শিক্ষক মো: এনামুল হক এনাম, প্রাণ কৃষ্ণ রায়, কুশিলব শীল, মো: রাকিবুল ইসলাম মিন্টু।

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভিক্টোরি প্লাস কোচিং থেকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি নার্সিং সহ মোট ১১৭ জন শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভিক্টরি প্লাস বিশ্ববিদ্যালয় ও নার্সিং ভর্তি কোচিং এর পরিচালক সোহেল রানা বলেন, শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় আরও মনোনিবেশ করার আহ্বান করেন এবং ভবিষ্যতে জাতির কর্ণধার হিসেবে গড়ে ওঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো জানান, বিগত ১৫ বছর ধরে বীরগঞ্জের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে ভিক্টোরি প্লাস। চান্সপ্রাপ্ত ১১৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা স্মারক ও বিদায়ী পরিক্ষার্থীদের ২২০জনকে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ভিক্টরি প্লাস কোচিংয়ের শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ সহ প্রায় ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

প্রদীপ রায় জিতু
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার তরুণ প্রজন্মের উপর। তারা শুধু স্বপ্ন দেখে না, গড়েও তোলে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশের তরুণদের চোখে স্বপ্নের দীপ্তি নেই, বুকেও নেই আশার আলো। হতাশা, বেকারত্ব, অনিশ্চয়তা এবং ভঙ্গুর নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভারে তারা দিশাহারা। প্রশ্ন একটাই এই দায় আসলে কার?

প্রথমেই কথা উঠতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে। এক সময়কার আদর্শিক, নৈতিক মূল্যবোধে গড়া শিক্ষাব্যবস্থা আজ রূপ নিয়েছে পরীক্ষা-নির্ভর, পুথিগত জ্ঞান আর অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাসের গন্ডিতে। যুগোপযোগী দক্ষতা, প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষা, কিংবা মানসিক বিকাশ এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় না বললেই চলে। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী যুবকও হতাশ হয়ে বলছে, ডিগ্রি দিয়ে পেট চলে না।

এই প্রজন্মের হতাশার আরেক বড় কারণ হলো ব্যাপক বেকারত্ব। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তরুণ উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরির বাজারে প্রবেশ করলেও, সেই তুলনায় চাকরির সংখ্যা যৎসামান্য। সরকারি চাকরি সীমিত, বেসরকারি চাকরিতে নেই চাকুরির নিশ্চয়তা। আবার যারা উদ্যোক্তা হতে চায়, তারা পাচ্ছে না সঠিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ কিংবা পুঁজি। ফলে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, আর বাকিরা থেকে যাচ্ছে হতাশায় জর্জরিত এক ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়ে।

তারপর আছে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়। তরুণদের মধ্যে যে রাজনৈতিক চেতনা একসময় জাতি গঠনের অনুপ্রেরণা জোগাত, আজ তা জায়গা করে নিয়েছে হিংসা, দলে দলে বিভাজন, এবং সস্তা লোভে চালিত কর্মসূচিতে। রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো আজ অনেক ক্ষেত্রে আদর্শচ্যুত, ক্ষমতাকেন্দ্রিক, আর গুণগত নেতৃত্ব তৈরিতে ব্যর্থ। একটি জাতি যদি তার তরুণদের নৈতিকভাবে গড়ে না তোলে, তাহলে তারা ভবিষ্যতের নয়, অন্ধকারের দায় হয়ে উঠবে।

একই সাথে নৈতিক অবক্ষয় এবং মূল্যবোধহীনতার বিষয়টিও গভীরভাবে লক্ষণীয়। সমাজে যখন দুর্নীতি পুরস্কৃত হয়, মেধা নয়; যখন সত্য বলার চেয়ে সুবিধাবাদীতায় লাভ বেশি তখন তরুণ সমাজও শিখে যায়, আদর্শে নয়, চালাকিতে টিকে থাকতে হয়। এতে স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়, আশা হারায়, দায়িত্ববোধ দুর্বল হয়।

বর্তমান সরকারসহ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো তরুণদের নিয়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। “ডিজিটাল বাংলাদেশ”, “উদ্যোক্তা উন্নয়ন”, “ই-লার্নিং” ইত্যাদি উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে অনেক তরুণই এর সুফল পায় না। বরং দেখা যায়, কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে এসব সুযোগ।

এমন এক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠছে, যেখানে তরুণদের কণ্ঠ রুদ্ধ, পথ সংকুচিত, স্বপ্ন অস্পষ্ট। তারা নিজের দেশ, সমাজ বা নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। কেউ কেউ অপরাধের দিকে ঝুঁকছে, কেউ মাদকের জালে আটকা পড়ছে, আবার কেউ বিদেশ গমনের দালালদের হাতে প্রতারিত হচ্ছে। যে বয়সে তারা উদ্ভাবন করবে, নেতৃত্ব দেবে সেই বয়সেই তারা হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের গহ্বরে।

তবে এই চিত্র পুরোপুরি নেতিবাচক নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও অনেক তরুণ স্বপ্ন দেখছে, নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে, প্রযুক্তিনির্ভর ক্যারিয়ার গড়ছে, স্বেচ্ছাসেবায় কাজ করছে, সামাজিক উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে পরিবারকে, সমাজকে, এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রকে।

তরুণদের হতাশার দায় কেবল তাদের নয়। এর দায় পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি, প্রশাসন সবাইকে ভাগ করে নিতে হবে। পরিবারে যদি শিশু দায়িত্ব নিতে না শেখে, শিক্ষা যদি চিন্তা করতে না শেখায়, সমাজ যদি উৎসাহ না দেয়, রাজনীতি যদি পথ দেখাতে না পারে তাহলে তরুণরাও হারিয়ে যাবে।

এখনো সময় আছে। তরুণদের সম্ভাবনা ফিরিয়ে আনতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে-

→ শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে হবে,

তরুণদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে,

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে হবে,

রাজনীতিতে আদর্শিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে,

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।

এই দেশের ভবিষ্যৎ এই তরুণদের হাতেই। তাদের চোখে স্বপ্ন ফিরিয়ে দিতে না পারলে, একসময় এই রাষ্ট্রই স্বপ্নহীন হয়ে পড়বে। তাই আজ প্রশ্ন নয়, আজ প্রয়োজন উত্তরদায়ী ভূমিকা।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, উত্তরের কণ্ঠ

নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সুখবরটি জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। প্রথম সন্তানের আগমনের খবরে দুই পরিবারেই বইছে আনন্দের বন্যা। 

তবে শোনা যায়, দেশের চিকিৎসকরা নাকি স্বাগতাকে সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাগতা চান নরমাল ডেলিভারি। আর সে জন্য থাইল্যান্ডে পারি জমিয়েছেন অভিনেত্রী। স্বাগতা জানান, দুই মাস ধরেই সেখানে অবস্থান করছেন তিনি।

স্বাগতার কথায়,‘আমি একটা মিশন নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছি। যদিও আমাকে বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছে  “তুমি ভুল করছ”। তবুও আমি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো যেন নরমাল ডেলিভারিতে আমার সন্তান পৃথিবীতে আসে।’

স্বাগতা আরও বলেন,‘আমি শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে সচেতন। কারণ, সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মায়েদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। প্রথমে যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সেখানে তা সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতাল বদল করেছি। এখন নতুন চিকিৎসকের অধীনে আছি এবং আশাবাদী।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ বিয়ের এক বছরের মাথায় মা হওয়ার খবর জানান স্বাগতা। স্বাগতার স্বামী দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও বন্ধু হাসান আজাদ একজন লন্ডন প্রবাসী। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানিয়েছিল, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের।

"> ">
বীরগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার? নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি ‘নাহিদ রানার মতো পেসার আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কার মধ্যে পুতিন-শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ট্রাম্প ইরানে ফোন করে জানছে সবাই: ‘আমিরাতের দুয়ার কবে খুলবে?’ ‘সম্ভাব্য যুদ্ধের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক ইরানের ভয়ে কাতার-বাহরাইন থেকে যুদ্ধবিমান-জাহাজ সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের সঙ্গে অবিশ্বাস্য অংশীদারিত্বের দাবি নেতানিয়াহুর তেহরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিতে ট্রাম্পের প্রতি স্টারমারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রকে ফের সতর্ক করলো রাশিয়া ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান ইরানের হামলায় হাজার হাজার ইসরায়েলি গৃহহীন স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে ডেকে গাছে বেঁধে মারধর বীরগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শেরপুরে দোকানের টিনের চালা কেটে নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষ টাকার পন্য চুরি। জুলাই অভ্যুত্থান আন্দোলনকারী এক নারীকে বিয়ের অভিযোগে শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার লাভের ৪দিন পরে ক্লোসড ওসি মতিউর বীরগঞ্জে দুর্নীতি নিরসনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সাবেক যুবদলের সেক্রেটারি সুলতান এর মাতার ইন্তেকাল চন্দনাইশে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন কাহারোলে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিল্ক ফিডিং বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি পূণঃবহাল করলেন- চেম্বার আদালত বীরগঞ্জে প্রকাশ্যে ধুমপান করায় ৩ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত  বীরগঞ্জে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপন ‘বিসিবিতে ক্রিকেট ছাড়া সব হচ্ছে, আগ্রহ কমছে মানুষের’ সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় : ১২ দলীয় জোট সব দলই চায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : এলডিপি মহাসচিব