বীরগঞ্জে বৃদ্ধ হেমরম এর পাশে দাড়ালেন ইউ,এন,ও ফজলে এলাহি

উত্তরের হিমালয় পর্বতের কনকনে শীতে ছিন্ন চাদর গায়ে পেচিয়ে বয়সের ভাড় কে পিছু ঠেলে অভাবের তাড়নায় শাক কুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করছিলেন বীরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং পাল্টাপুর ইউনিয়নের কাজল গ্রামের (ক্ষুদ্র নৃ-ত্বাত্তিক গোষ্ঠীর)বাসিন্দা মৃত পালু মুরমুর স্ত্রী হেমরম।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহি এর দৃষ্টি গোচর হয়। এবং তাৎক্ষণিক অসহায় বৃদ্ধ হেমরম এর খোঁজ খবর নেন এবং নিজেই তার বাসায় গিয়ে তার খোঁজ খবর নেন ও শীত নিবারনের জন্য নিজ হাতে শীতবস্ত্র ও ঘর মেরামতের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি আরোও জানান পরবর্তী সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তার এই মানবিকতা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।খোজ নিয়ে জানা যায়। ৬ বছর আগে বৃদ্ধ স্বামী মারা গেছেন, অভাবের তাড়নায় আর বয়সের ভাড় লোকলজ্জার পিছু ঠেলে শাকপাতা কুড়ানোকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। সহায় সম্পদ বলতে ছিন্ন কুটির বসত ভিটা আর কিছুই নাই। পরিবারে এক ছেলে ও চার মেয়ে, মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে বুদু মুরমুর সাথেই থাকেন।
তিনি এই সবুজ শাক পাতা পুকুর পাড়, জমির ডাড়া, কৃষি জমি হতে সংগ্রহ করে কোন সময় পায়ে হেটে কখনো ভ্যানে চেপে ৪ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে বীরগঞ্জ পৌরবাজারে এসে শাক বিক্রি করেই চলে সংসারের খরচ।
প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত তার সংগ্রহ করা শাক পাতা বিকেলে বীরগঞ্জ বাজারে বিক্রি করে। কিন্তু টানা কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়া প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে শাক বিক্রি করছে ও সরকারি বয়স্ক ভাতা পাই তা দিয়ে নিজের চাহিদা পুরণ করে।
উত্তরের কন্ঠ /এ,এস
আপনার মতামত লিখুন