পুরুষের সক্ষমতা কমে যে ৫ অভ্যাসে

দাম্পত্য জীবনে সুখী হলেও অনেক দম্পতি যৌনজীবনে সুখী হন না। কিন্তু এই ব্যাপারটি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ মুখ খুলতে চান না। যৌনজীবন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা লুকিয়েই রাখেন তারা।
চিকিৎসকদের মতে, রোজকার একাধিক অভ্যাসে পুরুষের যৌনক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু খোলামেলাভাবে এ ব্যাপারে কথা বলতে না পারার কারণে অনেকেই সে সম্পর্কে অবগত নন। যৌনজীবনে ভাটা পড়ে রোজকার কোন অভ্যাসগুলোর কারণে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মানসিক চাপকর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের নানা সমস্যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। অনেকসময় পারিবারিক নানা চাপও স্ট্রেসের কারণ হতে পারে। নানা সমস্যার কারণে মনের মধ্যে টানাপড়েন চলতে থাকে। মানসিক চাপ ডেকে আনে অনিদ্রা ও হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা। যার প্রভাব পড়ে যৌনজীবনেও। চিন্তামুক্ত থাকতে রোজ যোগাসন ও ধ্যান শুরু করতে পারেন। প্রয়োজনে পরামর্শ নিতে পারেন মনোবিদরাও।
ধূমপান ও মদ্যপান
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, ধূমপান শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি কমিয়ে দিতে পারে যৌনমিলনের ইচ্ছাও। হুট করে বোঝা না গেলেও, দীর্ঘ দিন ধরে যারা ধূমপান করে তাদের মধ্যে এই সমস্যা কম-বেশি দেখা দেয়। অন্যদিকে, অ্যালকোহল শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও মদ্যপান দেহের এমন কিছু স্থানে মেদসঞ্চয় করে, যা যৌনমিলনের সময়ে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করতে পারে।
খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম
অনেকেই খাদ্যতালিকায় রাখেন প্রক্রিয়াজাত মাংস, বাইরের খাবার, বেশি তেলে ভাজা খাবার। এসব খাবার কেবল দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না, ক্ষতি করে যৌনজীবনেরও। এসব খাবার স্থূলতার কারণ হতে পারে। আর অতিরিক্ত ওজন যৌনজীবনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
অনিদ্রা
প্রতিটি মানুষের নিয়মিত পরিমিত ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ডেকে আনে ক্লান্তি। এর পাশাপাশি, যথাযথ ঘুম না হলে জৈবিক ঘড়ির সময়রেখাও বিগড়ে যায়। নষ্ট করে দেয় হরমোনের ভারসাম্যও। কম ঘুম কমিয়ে দেয় পুরুষের সক্ষমতা।
পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। এই অভ্যাস ভালো নয়। কিছু ওষুধের কারণেও বন্ধ্যত্বের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ কেনার আগে সতর্ক হোন।
দৈনন্দিন জীবনের এসব অভ্যাস ছাড়ুন। তাহলেই যৌনজীবন সুন্দর হয়ে উঠবে।
উত্তরের কন্ঠ ,এ,এস
আপনার মতামত লিখুন