ভেনেজুয়েলায় সোনার খনিতে ধস, নিহত ২৩
![ভেনেজুয়েলায় সোনার খনিতে ধস, নিহত ২৩](https://uttarerkantho.com/wp-content/uploads/2024/02/venezuella_20240222_102610382.jpg)
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় সোনার খনিতে মারাত্মক ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির বলিভার প্রদেশের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত উন্মুক্ত ওই সোনার খনিতে মাটির দেয়াল ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ওই খনিটিতে অন্তত ২০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। খবর আল জাজিরার
ইওরগি আর্কিনিগা নামের এক স্থানীয় কর্মকর্তা বুধবার বলেন, বলিভার রাজ্যের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত একটি সোনার খনি থেকে ২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ‘বহু মানুষ মারা গেছে’। তবে, কতজন তা তিনি উল্লেখ করেননি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, সোনার খনিতে কর্মকরত শ্রমিকদের ওপর একটি মাটির প্রাচীর ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। তবে সেখান থেকে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন
বলিভার রাজ্যের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলটি লা প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা দূরত্বে এবং রাজধানী কারাকাসের ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
রেয়েস বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক, দমকল বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো ‘আকাশপথে ওই এলাকায় যাচ্ছে। অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য কারাকাস থেকে উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হচ্ছে।
দুর্ঘটনার খবরে খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের স্বজনেরা লা প্যারাগুয়া শহরের উপকূলে অপেক্ষা করছেন।
খনি শ্রমিকদের অনিরাপদ কাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা রবিনসন বসন্ত বলেন, এ দুর্ঘটনা ঘটার কথাই ছিল। খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের বেশিরভাগই চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ। রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এই অঞ্চলে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু উত্তোলনের বিকাশমান শিল্পও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন