ডাকঘরকে ব্যাংকিং সেবার সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শতাব্দী প্রাচীন ডাক আইন পরিবর্তনসহ ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো, সুবিস্তীর্ণ জনপদ ও জনবলকে কাজে লাগাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ শুরু হয়েছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অব পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত ডাকসেবার পাশাপাশি দেশের দুর্গম এলাকাসহ প্রতিটি গ্রামের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। এর ফলে একদিকে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস পাবে, অন্য দিকে গ্রামে বসেই ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবা, ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সেবা পাবে। এই লক্ষ্যে সরকার দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর জাতিতে পরিণত হয়েছি। অগ্রগতির অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিতে আমরা পরিণত হবই।
তিনি ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি থেকে সার্ভিস ডেলিভারিতে রূপান্তরের এই পথচলাকে সহজ করতে ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেকোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল সামসুল আলম, উত্তরাঞ্চল রাজশাহীর পোস্ট মাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুজ্জামান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ও পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী স্মার্ট প্লাটফর্মে চারটি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অব পোস্ট অফিসের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
সূত্র : বাসস
আপনার মতামত লিখুন