‘আজ ঈদ হলে বাড়ি যাওয়া হতো না’

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের প্রথম চেকিং পেরিয়ে সন্তানকে কোলে নিয়ে দ্রুতগতিতে হাঁটছেন মোস্তফা আল ফারুকী। গন্তব্য ৩ নম্বর প্লাটফর্মে থাকা জামালপুর এক্সপ্রেসের দিকে। পেছন পেছন হাঁটছেন তার স্ত্রী। কথা প্রসঙ্গে ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, আজ যদি ঈদ হতো তাহলে বাড়ি যেতে পারতেন কিনা? উত্তরে তিনি মুখে এক চিলতে হাসি দিয়ে এক কথায় বলে দেন, কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ, বাড়ি যেতে পারছি পরিবার নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, আজ ঈদ না হওয়াতে মোট পাঁচ দিনের ছুটি পেয়েছি। এই ছুটি না পেলে বাড়িতে যাওয়া-আসাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যেত। এখন বাড়ি যেতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। না হলে ঢাকায় থেকে করতে হতো।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঘোষিত ঈদযাত্রা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)। সেদিন পর্যন্ত স্টেশনে ও ট্রেনে মানুষের ব্যাপক ভিড় ছিল। তবে আজকের যাত্রী চাপ স্বাভাবিক দিনের চেয়েও কম দেখা গেছে।
মূলত ঈদের দিন আন্তঃনগর ট্রেন বন্ধ থাকে। তাই চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তিন দিনের টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ ১১ এপ্রিল হওয়াতে ১০ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট মঙ্গলবার রাতে বিক্রি শুরু করেছিল রেলওয়ে।
রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা ব্লক থাকা টিকিট গতকাল রাত থেকে থেকে বিক্রি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ টিকিটি বিক্রি হয়ে গেছে। হয়তো কিছু সংখ্যক আসন খালি রয়েছে। ঈদের আগের দিন হওয়াতে এমন হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ৬৭টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরমধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে ৪২টি এবং লোকাল ও মেইল ট্রেন রয়েছে ২৫টি। আজ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ছাড়া সবক’টি ট্রেন ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন