মরুর প্রাণী দুম্বার খামার এখন দিনাজপুরে

দিনাজপুরে শখের বশে মরুভূমির প্রাণি দুম্বা পালন করে বাণিজ্যিক খামার গড়ে তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আব্দুল হান্নান।
২০১৮ সালে ভারতের রাজস্থান থেকে ছয়টি দুম্বা এনে লালন-পালন করা শুরু করেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সৌখিন খামারি ও চালকল ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান। এখন তার খামারে প্রায় ৩৫টি দুম্বা রয়েছে। পরম যত্নে প্রাণিগুলোকে লালন-পালন করছেন আব্দুল হান্নান। খামারটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। কেউ চাইলে কোরবানির জন্যেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
মরু অঞ্চলের দুম্বা দেখাতে আসা তানভীর খান তনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এই প্রথম নিজ চোখে দুম্বা দেখলাম। অনেক আনন্দ লাগছে। খামারে কাছে এসে দেখে মনে হয়েছে দুম্বাগুলি অনেক শান্ত প্রাণী। দুম্বাগুলি কাউকে আক্রমণ করে না। দুম্বা দেখে নিজেও দুম্বার খামার করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
খামার শ্রমিকরা ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা প্রতিদিন দুম্বাগুলোকে নেপিয়ান ঘাস, গমের ভুষি, বুটের ছোলা খাবারে দিয়ে থাকি। প্রতিদিন দুম্বাগুলোকে গোসল করে দিয়ে থাকি।
দুম্বা খামারি আব্দুল হান্নান ঢাকা মেইলকে বলেন, শখের বশেই আমার এই সৌখিন দুম্বার খামার গড়ে তোলা। তবে প্রতি বছর কোরবানির সময় দুম্বাগুলো প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। কেউ নিতে চাইলে নিতে পারেন, গত কোরবানিতেও বিক্রয় করা হয়েছিল। আশা করছি, প্রতিটি দুম্বার ১ লাখ টাকা দাম পাবো।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ (ডিএলও) কর্মকর্তা ডা. আশিকা আকবর ত্রিশা বলেন, এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৬টি। প্রস্তুত রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০টি। চাহিদা পূরণ করেও অবশিষ্ট থাকবে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৩টি কোরবানির পশু। জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের চাহিদাতেও অংশগ্রহণ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর এই জেলায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পশুর খামার। বর্তমান বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি মরু অঞ্চলের প্রাণি দুম্বার খামার গড়ে উঠেছে। এটা একটা ভাল উদ্যোগ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ এলাকার সকল খামারিদের সুপরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছেন।
আপনার মতামত লিখুন