খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শখের পোষা বিড়াল এখন আয়ের উৎস

মোহাম্মদ মিলন, খুলনা প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ণ
শখের পোষা বিড়াল এখন আয়ের উৎস

পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বশে দুইটি পার্সিয়ান বিড়াল পুষতে শুরু করেন খুলনার কলেজছাত্রী খাদিজা আলম। গেল তিন বছরে সেই বিড়ালের সংখ্যা হয় ১৭টিতে। এর মধ্যে তিনটি বিড়াল বিক্রি করে এখন রয়েছে ১৪টি। প্রত্যেকের রয়েছে বাহারি রং আর ভিন্ন ভিন্ন নাম। নাম ধরে ডাকলে দৌড়ে খাদিজার কাছে ছুটে আসে তারা। পিছু পিছু ছুটে যায়। একসঙ্গে খাবার খায়, খেলনা দিলে খেলাধুলা করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই মিশে গেছে বিড়ালগুলোও। শখের বশে লালনপালন করা বিদেশি বিড়ালের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন খাদিজা আলম। বিদেশি বিড়াল বিক্রিতে লাভের মুখও দেখছেন তিনি।

খাদিজা আলম খুলনার আযম খান কমার্স কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী। থাকেন নগরীর গগণবাবু রোডে শ্বশুরবাড়িতে। তিনি উত্তরের কণ্ঠকে বলেন, অনেক আগে থেকেই পশুপাখি পালন করি। আমার খরগোশ, পাখি ও দেশি বিড়াল ছিল। তারপর ভাবলাম নতুন কিছু করবো। ২০২১ সালে শখের বশে বিদেশি বিড়াল পালন শুরু করি। প্রথমে আমি সাদা রঙের দুটি বিড়াল দিয়ে শুরু করি। বছরের মাঝামাঝি ভিন্ন রঙের আরেকটি বিড়াল কিনে পালন করি। তিনটি বিড়ালই ঢাকা থেকে কিনে আনি।

শখের বশে বিড়াল পালন করলেও বর্তমানে বিড়ালের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে বিড়ালের খামার গড়তে চান তিনি।

খাদিজা আলম বলেন, শুরুতে শখ থাকলেও দিন দিন বিড়ালের সংখ্যা বেড়েছে। শুরুতে তিনটি বিড়াল ছিল, এখন আমার ১৪টি বিড়াল রয়েছে। আর তিনটি বিক্রি করেছি।

তিনি আরও বলেন, বিড়াল পুষতে খুব ভালো লাগে। আমি যখন বাইরে থেকে আসি তখন দেখি বিড়ালগুলো অপেক্ষা করছে। আমাকে সম্বোধন জানাচ্ছে। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকছে। আমার পাশে এসে বসে। আমি যখন পড়াশোনা করি আমার কলম, ব্যাগ, খাতা নিয়ে খেলবে। আমি কোথাও গেলে পিছু পিছু আসে। যা খাচ্ছি তা দেখতে আগ্রহ নিয়ে আসে। যদি ভালো লাগে খাবে। পাশে এসে ঘুমায়, আমার ডাকে সাড়া দেয়। ডাকলে দৌড় দিয়ে চলে আসে। আমি খাবার বানিয়ে নিয়ে গেলে ওরা বুঝে এখন খাবারের সময় রুমে যেতে হবে। লাইট জ্বললে তারা ঘুমায় না। লাইট বন্ধ করলে বোঝে এখন ঘুমানোর সময় ঘুমাতে হবে। এরা খুব পোষ্য, বেশ বোঝে। এদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। আর প্রত্যেকেই প্রত্যেকের নাম জানে। প্রথম বিড়ালটির নাম লিও। এ ছাড়া আছে লুনা, এলফি, এলসা, ফাইলো, জ্যাবি, ব্রাফি ডুরা, ইউনা, এন্ডডি, বেলা। সবই বিদেশি নাম।

খাদিজা আলম বলেন, বিড়াল কিনতে ও দেখতে ক্রেতা এবং দর্শনার্থীরা আসেন। ফেসবুকে আমার একটি পেজ আছে সুইট লুনা নামে। সেখানে বিক্রিযোগ্য বিড়ালের জন্য পোস্ট করি। তখন বিড়াল কিনতে ও দেখতে লোকজন আসে।

তিনি আরও বলেন, এখন সবাই পার্সিয়ান বিড়াল পালন করছে। খুলনায় আগে কম ছিল, এখন অনেকেই পুষছে। ফলে চাহিদা কমে গেছে। আগে যে দাম পাওয়া যেত, এখন সেই দাম পাওয়া যায় না। আমি প্রথম বিড়ালটি ১৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, দ্বিতীয়টি ১৫ হাজার এবং সবশেষ বিড়ালটি ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এখন ১০ হাজার, ১২ হাজার ও ১৫ হাজার টাকায় বিড়াল পাওয়া যাচ্ছে।

বিদেশি বিড়াল পুষতে খরচ অনেক বেশি। তাদের যত্নও অনেক বেশি নিতে হয়। এরা মুরগি, মাছ, মাংস, কলিজা, ক্যাট ফুড খেতে অভ্যস্ত।

উত্তরের কণ্ঠকে খাদিজা আলম বলেন, বিড়াল যেহেতু বাড়ছে, তাই আমি ব্যবসায়িক পর্যায়ে যাচ্ছি। কারণ এত বিড়াল তো আর রাখা সম্ভব হবে না। আমার নিজের লেখাপড়া, স্বামী-সংসার এবং সামনে চাকরি করবো। সবকিছু মিলিয়ে আমি এত বিড়াল রাখতে পারছি না। এজন্য কিছু বিড়াল বিক্রি করি আর কিছু রেখে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বিড়ালের খামার পর্যায়ে গেলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। বিড়াল একসঙ্গে ৪ থেকে ৫টি বাচ্চা দেয়। অনেক সময় ২-৩টিও দেয়। ফলে বিড়ালের পরিমাণ বেশি থাকলে বাচ্চাও বেশি হবে। একবারে ৫ থেকে ৮টি বিড়ালের বাচ্চা বিক্রি করতে পারলে লাভ।

কলেজছাত্রী খাদিজা বলেন, বিড়ালের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বছরে একবার ভ্যাকসিন দিতে হয়। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন দিতে হয়। তিন মাস অন্তর বিড়ালকে কৃমির ওষুধ দিতে হয়। গরমে দুবার গোসল করাতে হয়, শ্যাম্পুসহ প্রয়োজনীয় জিনিস আলাদা পাওয়া যায়। শীতের সময় যথাসম্ভব গোসল না করানোই ভালো।

তিনি আরও বলেন, বিড়াল পুষতে ভালোই লাগে। কিন্তু সমস্যা এদের রেখে কোথাও যাওয়া যায় না। এদের দুই বেলা খাবার ও যত্ন নিতে হয়। আমার তেমন কোথাও যাওয়া হয় না। আমি কোথাও গেলে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি দেখভাল ও যত্ন নেন।

শুধু খাদিজা নয়, খুলনার অনেকেই এখন বিদেশি বিড়াল লালনপালন করছেন। খাদিজার কাছ থেকে কিনছেনও।

নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মেঘলা ব্যানার্জি উত্তরের কণ্ঠকে বলেন, আমি এখানে প্রায় আসি। আপুর কাছ থেকে সাদা রঙের একটি বিড়াল নিয়েছি। আপুর অনেকগুলো বিড়াল। দেখতেও অনেক সুন্দর। আমি আমার বিড়ালের জন্য পরামর্শ নিতে আসি কী করলে ভালো হবে, কী করলে রোগাক্রান্ত হবে না সুস্থ থাকবে। সম্প্রতি আমার বিড়াল বাচ্চা দিয়েছে, তাই পরামর্শ নিতে এসেছি। আগে একটি ছিল, এখন আমার পাঁচটি বিড়াল।

তিনি আরও বলেন, বিড়াল পালন করতে খুবই ভালো লাগে। শখের কারণেই বিড়াল নেওয়া। পার্সিয়ান বিড়াল খুবই আদরের। আর এরা মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে। এ জন্যই মূলত বিড়াল আমার নেওয়া।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।