খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন, ১৪৩১

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আওয়ামী লীগের নেতারা

হাসিনার পতনে দায়ী ‘গ্যাং অব ফোর’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
হাসিনার পতনে দায়ী ‘গ্যাং অব ফোর’

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

‌‌‘‘আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারবো না’’; ‘‘আমি আত্মগোপনে আছি, আপনার সাথে ফোনে কথা বলতে পারি’’; ‘‘আমি নিরাপদ কোনও স্থানে আপনার সাথে দেখা করার চেষ্টা করবো’’; ‘‘আপনার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে, যে কারণে আমি আপনার সাথে দেখা করতে পারবো কি না জানি না।’’

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও পূর্ববর্তী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট অ্যাকটিভিস্টদের কাছ থেকে এসব বার্তা পেয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। গত এক সপ্তাহ ধরে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিক শুভজিত রায় বাংলাদেশের অজ্ঞাত কিছু স্থানে তাদের কয়েকজনের সাথে দেখা করেছেন এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলগুলোর প্রতিশোধের ভয়ে আত্মগোপনে থাকা এসব ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন।

তাদের সবাই প্রায় একটি কথা বলেছেন, ‘‘হাসিনা দল ও জনগণকে ত্যাগ করেছেন।’’ আওয়ামী লীগের এক নেতা শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আপা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’’

নেতাকর্মীদের রেখে চলে যাওয়ার এই একই অনুভূতি আরও অনেকে শেয়ার করেছেন। যারা ৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে আগে কোনও আঁচই পাননি। সেই দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং তার বোন শেখ রেহানাসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বর্তমানে ভারতে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলেছে, শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার মন্ত্রিসভা, এমনকি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদেরও ‘‘একেবারে বিস্মিত’’ করেছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ‘‘আমরা তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে টেলিভিশন থেকে জানতে পেরেছি।’’

শেখ হাসিনার এভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের জীবনকে বিপদে ফেলেছে এবং বিক্ষুব্ধ জনতা—বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী এবং সুযোগসন্ধানীরা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং পার্টি অফিসগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তারা সেগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে, ভাঙচুর করছে, লুটপাট করছে।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, ‘‘আমরা ঠিক সময়েই আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে পেরেছিলাম, যখন সেনাপ্রধান বিকেল ৩টার দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন এবং লোকজন টিভি পর্দায় নজর রাখছিল।’’

আরেক নেতা, যিনি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি বলেন, ‘‘ধরা পড়লে আমার পরিবার ও আমাকে পিটিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হতো।’’

আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বিরোধীদলের নেতারা শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। তাদের জেলে ভরানো হয়েছে, মারধর, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পরিস্থিতি বদলে যায়।

সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় কেউ কেউ বিশেষ করে জুলাই মাসে ছাত্র ও বিক্ষোভকারীদের ওপর যখন গুলি চালানো হয় এবং তারপর ৩-৪ আগস্ট লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন, তখন দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা ৫ আগস্ট, যেদিন সরকার পতন হয়েছিল সেদিন কারফিউ ভাঙেন।

সরকারের পতনের ঘটনায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করে একজন নেতা বলেন, ‘‘তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের কথা শোনা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। নেতাদের একজন এই গোষ্ঠীকে ‘‘দ্য গ্যাং অব ফোর’’—বলে অভিহিত করেছেন। যারা তাকে (শেখ হাসিনা) মাঠের বাস্তব অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এই গ্যাং অব ফোর হলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, ‘‘এই গ্যাং অব ফোরই তার পতনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর এই চারজনের প্রতি শেখ হাসিনার অন্ধ বিশ্বাস ছিল এবং অতীতে তার যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল, তা তাদের কারণেই হারিয়েছেন।’’

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএনপিকে নির্বাচনে না আনাকে শেখ হাসিনার ‘‘বড় ভুল’’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। একাধিক সূত্র বলেছে, আওয়ামী লীগের কিছু নেতা লন্ডনে বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের সাথে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলেন।

একটি সূত্র বলেছে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে একটি ব্যাকচ্যানেলের মাধ্যমে প্রস্তাবও করা হয়েছিল। আমরা ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের এক বছর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তারেকের সাথে ওই চ্যানেলটি প্রতিষ্ঠা করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু শেখ হাসিনা এই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেননি।

আওয়ামী লীগের একজন নেতার মতে, বিএনপির প্রধানের ছেলের সাথে যোগাযোগ রক্ষার বিষয়টিতে অস্বীকৃতি জানানোই ছিল শেখ হাসিনার জন্য বড় ভুল। কেননা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপিকে প্রস্তুত করা হলে তা বিরোধীদের ক্ষোভ ও অভিযোগকে লাঘব করতো।

ওই নেতা বলেন, ‘‘আমরা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, পুলিশি নির্যাতনের কারণে জনগণের মাঝে তৈরি হওয়া ক্ষোভের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলাম… এবং নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে বোর্ডে আনা গেলে সেই ক্ষোভ থেমে যেত। সেটি করা হলে আমরা জিততে পারতাম এবং দলকে ক্ষমতায় রাখতে পারতাম।’’

তিনি বলেন, বিশেষ করে ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শেখ হাসিনা অনেক বেশি একগুঁয়ে হয়ে ওঠেন এবং কারও পরামর্শ কর্ণপাত করেননি বলে নেতাকর্মীরা মনে করেন। টানা চতুর্থ জয়ের পর তিনি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন এবং কোটা সংস্কার ঘিরে শুরু হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভে জনগণের ক্ষোভের মাত্রা বুঝতে ব্যর্থ হন তিনি।

সূত্রগুলো বলেছে, জুলাইয়ের শুরুতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে বসার জন্য কৌশলে কিছু নেতা শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার জুলাই মাসে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের তুলে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জোরপূর্বক আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা শেখ হাসিনার সরকারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়।

এই কৌশল হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায় এবং কীভাবে জোরপূর্বক আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছিল শিক্ষার্থীরা তা প্রকাশ করেন। এর পরপরই কিছু ঘটনা ঘটে, যার ফলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। প্রাণের ভয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী ও বুদ্ধিজীবী দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নেন।

এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ২৬ জন রাজনীতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৬২৬ জনকে সারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতারা ছাড়াও ৫ জন বিচারক, বেসামরিক প্রশাসনের ১৯ কর্মকর্তা, পুলিশের ২৮ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদের ৪৮৭ জন পুলিশ সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার ১২ জন এবং ৫১টি পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শেখ হাসিনা অনেক বেশি একগুঁয়ে হয়ে ওঠেন এবং কারও পরামর্শ কর্ণপাত করেননি

শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ কয়েকজন মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় সময় ধরা পড়েছেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বিদেশ যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন।

হাসিনা চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা আত্মগোপনে গেছেন এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলের নেতারা বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছর ধরে দেশ শাসন করা ৫০ বছর বয়সী দলটি এখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

দল গোছানোর বিষয়ে ভবিষ্যতের প্রথম পদক্ষেপ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ‘‘দল পুনর্গঠনের জন্য তার (হাসিনা) উচিত হবে তৃণমূলের লোকজনকে বাছাই করা, কিছু তরুণ আওয়ামী নেতা; যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, জনগণের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এবং অবশ্যই পরিবারের (শেখ হাসিনার) প্রতি আনুগত্য রয়েছে… এটি দীর্ঘ পথ হতে যাচ্ছে।’’

আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এখন যেসব মামলা ও অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে, এসব মামলার দীর্ঘ প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, অন্তত একজন সাধারণ সম্পাদক বা একজন পদাধিকারী নির্ধারণ করতে হবে; যিনি আওয়ামী লীগের ব্যানারে সরকারের কাছে পিটিশন লিখতে পারবেন। যদি গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের আইনগত অধিকার চাইতে হয়, তাহলে এটি করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে কাউকে এমন পদের জন্য মনোনীত করা হয়নি বলে জানান তিনি।

খালেদা জিয়া কারাগারে এবং তারেক রহমান লন্ডনে থাকাকালীন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বাধীন বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, ‘‘আমাদের একটি শক্তিশালী ভিত্তি এবং মানুষের নেটওয়ার্ক ছিল। অনেকে দলত্যাগ করেছেন, যেমন কিছু সুবিধাবাদীরা এটি করছেন। সমর্থকদেরও মাঝেও এমন লোকজন থাকবেই। তবে আমাদের অন্তত এমন কেউ একজন বা একদল লোক থাকা উচিত যারা অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে অংশগ্রহণ করতে পারে। এটি সময়ের প্রয়োজন।’’

রাজপথে জনসাধারণের মনোভাব শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিরোধী হলেও আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, হাসিনা পরিবার ও তার উত্তরাধিকারী সজীব ওয়াজেদ জয়ের ন্যূনতম বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, ‘‘লোকজন এখনও ক্ষুব্ধ…তাদের সময় দিতে হবে। ক্ষমতায় থাকা কয়েকটি বছর তা অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা বিএনপি বা জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ভবিষ্যৎ সরকার হোক না কেন, আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা আছে। কিন্তু আমাদের দীর্ঘমেয়াদে নিজেদের পুনর্গঠন ও সংগঠিত করার কথা ভাবতে হবে।’’

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল কারার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি’র হারেজ উদ্দিন ও আবু শাহীন সানি, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই রনি উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, এম ইদ্রিস আলী সাকিদার, বাদশা আলম, নুরুল আজাদ, হাফিজার রহমান কাজল, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুকুল, নাসির উদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, মাসফিকুর রহমান মামুন, ইবনে সাউদ, রেজাউল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল আরমান রাজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায় জিল্লুর রহমান, ইউনুস আলী হলুদ, শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহান পুটু প্রমুখ।

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

জেলা প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. ইউনুস নবি রাজিব নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো. ইউনুস নবি রাজিব নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুন্দলপুর গ্রামের সেরাজ মুন্সীর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।

জানা যায়, ২০২০ সালে ভাগ্য পরিবর্তনে ওমানে পাড়ি জমান মো. ইউনুস নবি রাজিব। সেখানে বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেলের সঙ্গে বিদ্যুতের কাজ করতেন তিনি। তিনি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে সিড়িতে পড়ে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের ভাই আইয়ুব নবী সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা চার ভাই তিন বোন। আমার বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেল ও মো. ইউনুস নবি রাজিব ওমানে বিদ্যুতের কাজ করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে আমার মা বিবি তাহেরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। শোকে তিনি পাগলের মতো কথা বলছেন।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ৪ বছর আগে ওমান পাড়ি দেয় মো. ইউনুস নবি রাজিব। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন। মরদেহ দেশে আনতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।

গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

গাজায় শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে এক রাতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। স্থানীয় লোকজন এবং গাজার প্রশাসনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চালানো হয়েছে এই হামলা এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ নিহত এবং আহতদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে, তাদের ভিত্তিতে এই হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ধ্বংসস্তূপ এবং বালিতে অনেকের দেহ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এবং উদ্ধারকর্মীরা বাকি হতাহতদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছেন।

আল-মাওয়াসির বাসিন্দা মামুদ আল নিমস সিএনএনকে বলেন, “রাতের বেলা আমরা ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে জেগে উঠলাম এবং তারপরই চারদিক থেকে গুলির শব্দ শুনলাম। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না যে শরণার্থী এলাকার ঠিক কোথায় হামলা হয়েছিল এবং যারা ধ্বংসস্তূপ ও বালির নিচে চাপা পড়েছে, তাদের অবস্থান কোথায়। পুরো এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।”

আল মাওয়াসি শরণার্থী এলাকাটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নিকটবর্তী। হামলার পর নিহত এবং আহতদের খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হতাহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিশু— সব ধরনের এবং সব বয়সের মানুষ রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আল মাওয়াসিতে হামাসের অন্তত তিন জন জ্যেষ্ঠ নেতা আত্মগোপন করে আছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো তাদের কাছে। এই তিন জন হলেন হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের ড্রোন বিভাগের প্রধান সামের ইসমাইল কাদের আবু দাক্কা, ব্রিগেডের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা তাবেশ এবং জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা আয়মান মাবহৌ। এই কারণেই সেখানে হামরা চালানো হয়েছে।

তবে যাদের লক্ষ্য করে এই হামলা পরিচালিত হয়েছিল, তারা নিহত হয়েছেন কি না— বিবৃতিতে তা নিশ্চিত করেনি আইডিএফ।

সূত্র :আলজাজিরা, সিএনএন

"> ">
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ায় মাছ ধরার ৭ ট্রলার ডুবি ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আজ শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ এর জানাযা সম্পূর্ণ শেরপুরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানীতে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ৪ জন নিহত বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ খুন ০২ জন এই নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা লঞ্চঘাটের বাস কাউন্টার দখল দ্বন্দ্বে মুখোমুখি বিএনপির দুই গ্রুপ ‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’ কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: ২৫ দেশের ১৩০ শহরে বিক্ষোভ সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকেছে চীনা সৈন্যরা তিস্তা চুক্তি : বন্ধুত্ব না স্বার্থের সংঘাত? গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩, প্রাণহানি ৪১ হাজার ছুঁই ছুঁই আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয় ভেঙে ইউএস ওপেনে সিনারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, নেই বয়সসীমা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহেল বাঁচতে চায় বৈষম্যের শিকার হরিজন সম্প্রদায় নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বিএনপির অন্তর্কোন্দল খানসামায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আহত চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু জানা গেল ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ হুন্দাই সিএনজি-চালিত প্রাইভেটকার আনল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে যাদেরর কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের ৫ অনুরোধ