ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে যাদেরর কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম

বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাতায় যুক্ত হয়েছে নতুন ইতিহাস। গত দুই যোগে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। সেই শান্ত-সাকিবরা এবার পাকিস্তানের ঘরের মাটিতে ইতিহাস গড়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। আর এর মধ্যে দিয়ে ম্যান ইন গ্রিনরা দ্বিতীয়বারের মতো এমন লজ্জা পেল ঘরের মাঠে। বাংলাদেশের এমন অর্জনের জন্য অনেককে কৃতিত্ব দিচ্ছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ওপেনার তামিম ইকবাল।এছাড়া শান্ত-লিটনদের এমন সাফল্যের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক দুই পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ও অ্যালান ডোনাল্ডকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
সম্প্রতি ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটায় জানান তামিম। সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘বড় কোনও জয়ের পর অনেক সময় মানুষ ছোট বিষয়গুলো ভুলে যায়। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটাররা যখন বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত ছিল, তখন টেস্ট দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার টাইগার্সের অধীনে অনুশীলন করেছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে মুশফিক, মুমিনুল, মেহেদীরা ছিলো। এক থেকে দেড় মাসের এই ক্যাম্প হয়েছে স্থানীয় কোচদের তত্ত্বাবধানে। তাদেরও অনেক কৃতিত্ব আছে। এটা অনেক বড় ভূমিকা ছিল।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া জয়ে বোলিং বিভাগে আলাদা করে নজর কেরেছে পেস বোলাররা। যেখানে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সব কটি উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। পেসারদের এমন সাফল্যে সাবেক দুই পেস বোলিং কোচকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তামিম।
পেসারদে প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘রাওয়ালপিন্ডি এমন একটা উইকেট ছিল, যেখানে আগে অনেক রান উঠেছে। পাকিস্তানের পেসাররা যতটুকু সুবিধা আদায় করতে পেরেছে, তার চেয়ে বাংলাদেশের পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়েছে। এটা নিয়ে পেসারদের গর্ব করা উচিৎ। যারা আগে কোচ ছিলেন, তাদের কৃতিত্ব পাওয়া উচিৎ। এই পেস বোলিং ইউনিটকে এতো দূরে নিয়ে আসতে অ্যালান ডোনাল্ড ও ওটিস গিবসন কঠোর পরিশ্রম করেছেন।’
ফাস্ট বোলারদের সাফল্য নিয়ে তামিম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের জন্য এটা অনেক বড় কিছু। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বলে আসছি, পেসাররা ভালো করছে। তাসকিন উইকেট পায়নি, তবে ওর কিন্তু লাইন লেংথ নিখুঁত ছিল। প্রথম টেস্টের পর আমি আসলে নিশ্চিত ছিলাম না, নাহিদ রানা খেলবে কি খেলবে না। শরীফুল চোটে না পড়লে হয়তো আমরা দ্বিতীয় টেস্টে নাহিদ রানাকে দেখতে পেতাম না। ওর নির্ভেজাল গতি পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলেছে। অন্যদিকে হাসান নিজের সীমাবদ্ধতা জানত। ও অন্য কিছু চেষ্টা করেনি, লাইন টু লাইন বোলিং করেছে, তাতে ফলও পেয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন