টানা বৃষ্টিতে বীরগঞ্জে জনজীবনে বিপর্যস্ত

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রাতে থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে টানা কয়েক দিনের তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরম থেকেও মুক্তি মিলেছে।বীরগঞ্জ উপজেলায় স্বস্তির বৃষ্টিতে সাময়িক ভোগান্তিও পোহাতে হয়েছে অফিসগামী ও অন্যান্য কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মানুষদের।মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন (৩) নম্বর এবং নদীবন্দরে এক (১) নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবারও দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি ঝরতে পারে। দেশের আট বিভাগের কোথাও কোথাও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
সাগরে লঘুচাপের প্রভাব পড়েছে সারা দেশে। ভোর থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মুষলধারে নামে সকাল সাড়ে ৮টার পরই কিছুটা কমতে শুরু করলেও বেলা ওঠার সাথে সাথে বাড়তে থাকে বৃষ্টি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষ। ভারী বৃষ্টির কারণে যানবাহন সংকট, রিকশা ভাড়া বেশিসহ নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককেই। অনেককেই ভিজে ভিজে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেতে দেখা গেছে। কিন্তু বৃষ্টি দীর্ঘসময় হওয়ার করণে শহরে জনশূন্য হয়ে যায়।
সকালের ঝুম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে পানি জমেছে। কর্দমাক্ত পথে চলতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। সড়কে যানবাহন কম দেখা গেছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। এই সুযোগে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। বাধ্য হয়ে অনেককেই ভিজে ভিজে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
বীরগঞ্জ সুজালপুর ইউনিয়নের রিকশা চালক সুরেন্দ্র নাথ রায় জানান,দিনভর মুষলধারে বৃষ্টির কারণে যাত্রী নাই বলেই চলে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১২০ টাকা ভাড়া মেরেছি। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে কৃষকরা বলছেন আমন ধানের জন্য বৃষ্টি আশীর্বাদ বয়ে আসবে। উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কৃষক জালাল উদ্দীন জানান,দীর্ঘদিন থেকে অনাবৃষ্টিতে চাষআবাদে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। দু’দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে আমন ধানের উপকার হবে কিছুটা হলেও অর্থ সাশ্রয় হবে।
আপনার মতামত লিখুন