খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য?

বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, যে দলটি টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল— বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী জনতার আন্দোলনে গত আগস্ট থেকে তছনছ অবস্থায় আছে। দলের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন, দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের সবাই রয়েছেন আত্মগোপনে।

সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাস থেকে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা, কিন্তু বিক্ষোভ দমনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পুলিশ কঠোর ভূমিকা নেওয়ার এক পর্যায়ে তা রূপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে।

পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে সেই আন্দোলনও দমন করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনার ভারতে গমনের মধ্যে দিয়ে চুড়ান্ত পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। তবে তার আগে প্রায় দু’সপ্তাহে পুলিশের গুলিতে দেশজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ, আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর একটি অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস হয়েছেন সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গা-ঢাকা দেওয়ার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় জনতা। গত প্রায় দু’মাসে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা হয়েছে শতাধিক হত্যা মামলা।

এদিকে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও এই সরকারের সমর্থকদের আহ্বান দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত প্রায় দু’মাসে শেখ হাসিনা এবং তার অনুগত নেতা-কর্মী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে এবং আইসিটি সেগুলোর তদন্ত শুরু করেছে।

বর্তমানে ক্ষমতাসীন অন্তবর্তী সরকারের সমর্থকরা শেখ হাসিনার বিচারের যে দাবি তুলেছে, তাকে সমর্থন জানিয়েছে জার্মানির প্রথমসারির থিঙ্কট্যাংক সংস্থা জার্মান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির জ্যেষ্ঠ গবেষক জাসমিন লোর্চ।

দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের গত ১৫ বছরের গোটা সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘণ, বিচার-বহির্ভূত হত্যা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। তাই আমি মনে করি, মানবাধিকার লঙ্ঘণ বিষয়ক যেসব অভিযোগ বাংলাদেশের বিগত সরকারের বিরুদ্ধে আসছে, অবশ্যই সেগুলোর তদন্ত প্রায়োজন।

তিনি আরও বলেন, “এটা ঠিক যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তাতে ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে— এমন সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। তবে তাই বলে বিগত সরকারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগুলোর তদন্ত করা যাবে না কিংবা থেমে থাকবে— এমনটা হওয়া উচিত হবে না।”

বিগত জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ এবং বিগত সরকারের নেতাকর্মীদের হাতে যারা নিহত হয়েছেন, ইতোমধ্যে সেসব ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশন। সম্প্রতি ঢাকায় মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা সফরও করে গিয়েছেন।

জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের এই সফরকে স্বাগত জানিয়ে লোর্চ বলেন, “এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ। কারণ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে যদি তদন্ত পরিচালিত হয়, তাহলে তা নিরপেক্ষ হবে।”

“আমি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিচ্ছি আরও একটি কারণে। সেটি হলো ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হলে এসব তদন্তের ফলাফল তার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।”

শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর গত এক মাসে তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ও উচ্চপর্যায়ের নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, অল্প কয়েক জন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ ছেড়ে পালাতে সফল হয়েছেন আর বাকিদের সবাই বর্তমানে দেশের ভেতরেই গা-ঢাকা দিয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ডয়েচে ভেলে বাংলাদেশে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েক জন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু তাদের কেউই সাক্ষাৎকার দিতে চাননি। সাক্ষাৎকার দিতে না চাওয়ার প্রধান কারণ— তারা ভয় পাচ্ছেন যে এখন সাক্ষাৎকার দিলে বর্তমান সরকার তাদের অবস্থান জেনে যাবে।

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর পর ডয়েচে ভেলেকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সেই সাক্ষাৎকারে জয় বলেছিলেন, “এটা ঠিক যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, সেসবের অনেকগুলোই ভুল ছিল; কিন্তু এটাও সত্য যে আন্দোলনকারীরা সরকারকে লাগাতার উসকানি দিয়ে গেছে।”

“আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে, অনেকের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটি ব্যাপার হলো, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক সমর্থক প্রচার করে বেড়াচ্ছেন যে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ‍বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এখন চুপচাপ থাকলেও আওয়ামী লীগ মরে যায়নি, দুর্বলও হয়নি।”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে রাজনীতি এবং প্রশাসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এই সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়। ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো আলোচনা এখনও হয়নি। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে তারা যদি দেশের সংস্কার করতে চান, তাহলে সেটি অসম্ভব।”

বাংলাদেশের রাজনীতি বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান এ প্রসঙ্গে ডয়েচে ভেলেকে বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যে দল বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংস্কারকাজে তাদেরকেও যুক্ত করা হলে তা হবে পুরোপুরি হাস্যকর একটি ব্যাপার।”

“তবে এটাও সত্য যে আওয়ামী লীগকে কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়। তাই সামনের নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগকে অংশ না নিতে দেওয়া হয়, তাহলে অনেক প্রশ্নের জন্ম হবে।”

সেই সঙ্গে জাহেদুর রহমান আরও বলেন যে শেখ হাসিনা তার জীবদ্দশায় আওয়ামী লীগকে আবার জাগিয়ে তুলতে পারবেন— এমনটা তিনি এবং বাংলাদেশের অনেকেই বিশ্বাস করেন না।

“শেখ হাসিনা যদি দেশে ফিরেও আসেন, সেক্ষেত্রে ‘তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন’- এই দুর্নাম সর্বক্ষণ তাকে তাড়া করে ফিরবে। আমি এবং বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, ভারতে নির্বাসিত অবস্থাতেই জীবনাবসান ঘটবে তার।”

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।