শেরপুরে প্রতারক চক্রের ০৫ সদস্য গ্রেপ্তার

বগুড়ার শেরপুরের নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড এর নাম ব্যবহার করে অনলাইন প্রতারনা, প্রতারক চক্রের মূল হোতা খালেক সরকার (যার বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা, ০৭ টি সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১৪ টি গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলতবী রহিয়াছে) সহ প্রতারক চেক্রর ০৫ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার, প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, একাধিক মোবাইল সীম ও এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনার সহিত জড়িত ট্রাক চালক ১। মোঃ আঃ সোবহান(৩২), পিতা মৃত শামসুল বিশ্বাস, সাং-গাংড়া উত্তরপাড়া, থানা- মনিরামপুর, জেলা যশোর, ট্রাকের হেলপার ২। মোঃ তুহিন হোসেন কাজল(২২), পিতা মোঃ মাহাবুর, সাং হুরের গাতী, থানা- মনিরামপুর, জেলা যশোর, ৩। মোঃ জাহিদুল ইসলাম(৪০), পিতা মোঃ আঃ কাশেম, সাং-মশিউর নগর, থানা চৌগাছা, জেলা যশোরদেরকে প্রতারনা কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, একাধিক এনআইডি কার্ড, একাধিক মোবাইল সীমসহ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০ অক্টোবর যশোর জেলার কোতয়ালী থানার পালবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনার মূল হোতা আসামী ৪। মোঃ খালেক সরকার(৩৫)(ছদ্মনাম আলহাজ্জ ছামিউল ইসলাম), পিতা ইসমাইল হোসেন সরকার, সাং-দোদারীয়া, থানা-চাটমোহড় পাবনাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আসামীর দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে পাবনা জেলার জেলার চাটমোহর থানার দোদারীয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনার সহিত জড়িত ৫। মোঃ খাইরুল ইসলাম(৪৫), পিতা ইসমাইল হোসেন সরকার, সাং-দোদারীয়া, থানা-চাটমোহড় পাবনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে মামলার বাদী মোছাঃ জাকিয়া সুলতানা বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় এজাহার দিয়ে জানান যে, তিনি সুলতানা এগ্রো ফার্ম নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফিডমিল আইটেমের ব্যবসা করেন। ব্যবসা করাকালীন জনৈক আলহজ্জ সামিউল(ছদ্মনাম) এর সাথে তার বগুড়া জেলার শেরপুর থানার স্যানাল পাড়াস্থ যমুনা ব্যাংকের নীচতলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং উক্ত জনৈক আলহজ্জ সামিউল তার নিকট হইতে সয়ামিল ক্রয় করে নিতে চায়।
দরদাম ঠিক হওয়ার পরে বাদী উক্ত জনৈক আলহজ্জ সামিউলকে মোট ১৫ টন ফ্রেস কোম্পানীর হাই প্রোটিন সয়ামিল দিতে রাজী হয় এবং শর্ত মোতাবেক উক্ত সয়ামিল উক্ত জনৈক আলহজ্জ সামিউল নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ, বসুন্দিয়া , যশোর হইতে ডেলিভারী পাওয়ার পর বাদীকে মালের দাম পরিশোধ করিবেন। শর্ত মোতাবেক ইং ০৯ সেপ্টেম্বর ভোর ০৪.০০ ঘঃ মেসার্স এনআর ট্রান্সপোর্ট এর মাধ্যমে জনৈক আঃ সোবহান(ট্রাক ড্রাইভার) এর রেজিঃ ঢাকা মেট্রো ট-২২-৩৭০৫ ট্রাকে উক্ত মালামাল লোড হয় এবং বাদী উক্ত ট্রাকের ভাড়া বাবদ বিকাশে ইং ১০সেপ্টেম্বর ১৫,৮০০/- টাকা প্রেরন করেন। মালামাল ডেলিভারী নেওয়ার পরে উক্ত জনৈক আলহজ্জ সামিউল ও জনৈক আঃ সোবহান(ট্রাক ড্রাইভার) টাকা দিতে তালাবাহানা করে।
এক পর্ষায়ে উক্ত জনৈক আলহজ্জ সামিউল একটি নিস্ত্রিয় চেক বাদীকে পাঠায়। পরবর্তীতে বাদী থানায় এজাহার দায়ের করিলে সূত্রোক্ত মামলা রুজু হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন