গণমাধ্যমে প্রতিদিন হাজারও খবর পাঠক-দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু সব খবরই যে পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়, তা নয়। আবার সব গণমাধ্যমও যে সেই হৃদয়ছোঁয়া সংবাদ পরিবেশন করতে পারে, সেটিও সত্য নয়। হাতে গোনা কিছু সংবাদমাধ্যম এবং হাতে গোনা কিছু সংবাদই দিনশেষে মানুষের মনে দাগ কাটে।
বিভিন্ন মুদ্রিত পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের ভিড়ে পাঠকের ভালোবাসা অর্জন করা যেমন কঠিন, তেমনি তা ধরে রাখাও আরও কঠিন। সেই কঠিন চ্যালেঞ্জেই নিজেকে প্রমাণ করেছে ‘উত্তরের কণ্ঠ’।
অনেক প্রতিষ্ঠান অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু সফলতার শিখরে পৌঁছাতে পারে কজন? শীর্ষে যেতে সময় লাগে, সাধনা লাগে, মানুষের আস্থা অর্জন করতে হয়। সেই পথ পাড়ি দিয়ে উত্তরের কণ্ঠ এখন হয়ে উঠেছে পাঠকের নির্ভরতার প্রতীক।
আগামী (১৪ আগষ্ট) উত্তরের কণ্ঠের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। শুরু থেকেই সাহস, সততা, দায়িত্ববোধ এবং নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে প্রতিটি দিন পার করেছে এই পোর্টালটি। নতুন নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে, প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে গেছে তারা।
উত্তরের কণ্ঠ-এর প্রাণ হচ্ছে এর একঝাঁক তরুণ, সৃজনশীল ও উদ্যমী সংবাদকর্মী, যারা প্রতিদিন সবার আগে সত্য তুলে ধরতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এসব সাংবাদিকের চোখ, কলম, ক্যামেরা ও কণ্ঠে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত জনপদের বাস্তবতা।
গত দুই বছরে উত্তরের কণ্ঠের অর্জনের ঝুলিতে জমা হয়েছে অনেক কিছু। প্রতিটি রিপোর্ট, ফিচার, অনুসন্ধান, কিংবা সরল মানবিক গল্প—সব কিছুই এই প্রতিষ্ঠানের পথচলাকে করেছে আরও বর্ণময়, আরও মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। এই সব অর্জনের পেছনে রয়েছে যাদের ত্যাগ, ঘাম আর বিশ্বাস—তাদের সবার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।
উত্তরের কণ্ঠের অর্জন
আনুষ্ঠানিক যাত্রার ছয় মাসের মধ্যেই চমক দেখাতে শুরু করে উত্তরের কণ্ঠ। দুর্নীতি-ভোগান্তিসহ নানা খবরের পেছনের খবর তুলে ধরে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছায় গণমাধ্যমটি। গত কয়েক মাস ধরে অ্যালেক্সা র্যাংকিংয়ে দেশে উত্তরের কণ্ঠের অবস্থান পনের নম্বরে। এখনও অবস্থানটি ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৮৪তম অবস্থানে রয়েছে উত্তরের কণ্ঠ।
সারাদেশব্যাপী প্রতিনিধি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা: বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা ও অধিকাংশ উপজেলায় নিবেদিত সংবাদকর্মী নিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী মাঠপর্যায়ের কাঠামো তৈরি।
বস্তুনিষ্ঠ ও যাচাইকৃত সংবাদ পরিবেশনের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা: সংবাদের গতি নয়, বিশ্বাসযোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পাঠকের আস্থা অর্জন।
স্থানীয় সংকট ও মানবিক গল্প জাতীয় পরিসরে তুলে আনা: প্রান্তিক মানুষের কথা, সমস্যাবলি ও সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে গণসচেতনতা সৃষ্টি।
কনটেন্টের বিষয়বৈচিত্র্য ও গভীরতা: রাজনীতি, উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও মানবিক ফিচারে বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপন।
তরুণ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও কর্ম-অভিজ্ঞতা: অনলাইন সাংবাদিকতায় আগ্রহী তরুণদের জন্য একটি গঠনমূলক ও ব্যবহারিক প্ল্যাটফর্ম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শক্তিশালী উপস্থিতি: ফেসবুকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে লাখো পাঠকের নিকট খবর ও ফিচার পৌঁছানো।
বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে পরিচিতি অর্জন: উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশে “উত্তরের কণ্ঠ” এখন নির্ভরযোগ্যতার একটি পরিচিত নাম।
মানবিক সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন: সহযোগিতা প্রয়োজন এমন ব্যক্তির খবর তুলে ধরে প্রশাসন ও সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ, ফলে তাৎক্ষণিক সাড়া ও সহায়তা মিলেছে।
নিজস্ব পরিচিতি ও ব্র্যান্ড ভ্যালু গড়ে তোলা: ‘উত্তরবঙ্গের আত্মার আত্মীয়’ শুধু স্লোগান নয়—এটি পাঠকের অনুভব ও সম্মানজনক। পরিচয়।
আপনার মতামত লিখুন