খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বাংলাদেশকে বাস্তবতা দেখাল ‘জোড়াতালি’র দল

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশকে বাস্তবতা দেখাল ‘জোড়াতালি’র দল
  • ব্যাটিংয়ে সেই মুরগি খুঁজি তিতি তিতির গল্প
  • মুস্তাফিজের রূপবদল
  • বাংলাদেশের সামর্থ্যের রিয়েলিটি চেক
প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। শঙ্কা ছিল সিরিজ আয়োজন নিয়েও। তবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে নির্ধারিত দিনেই মাঠে গড়ায় প্রথম টি-টোয়েন্টি। প্রাকৃতিক ঝড় থামলেও লিটন-শান্তদের বিবর্ণ পারফরম্যান্সে লজ্জার হারে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

বাংলাদেশের টেস্ট পূর্ব যুগে আইসিসি ট্রফিতে দুই দলের সাক্ষাৎ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতকালই প্রথমবার মুখোমুখি হয় তারা। প্রথম দেখাতেই ঐতিহাসিক জয়ই তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। টি-টোয়েন্টির র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্য এই দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের চর্চার শুরুটা বহু আগে থেকে হলেও কখনোই ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। অভিবাসীদের হাত ধরে মার্কিন মুল্লুকে ক্রিকেটের যে নবযাত্রা, তারও খুব একটা প্রসার ঘটেনি। ক্রিকেটকে বিশ্বায়নের অংশ হিসেবে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে আমেরিকা।

যে কারণে বিশ্বকাপের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ভরাডুবিতে ৫ উইকেটে হারের পর বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে টাইগার ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে পুরোনো প্রশ্নটা আরও জোরালো হচ্ছে।

সেই ‘মুরগি খুঁজি তিতি তিতি’র গল্প

ব্যাটসম্যানরা ১৬০-১৭০ রান করবেন আর বোলাররা সে পুঁজি দিয়ে ম্যাচ জেতাবেন—বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি জয়ের ফর্মুলা অনেকটা এমনই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই এমন ফর্মুলা বড় ধাক্কা খেয়েছে। টপঅর্ডারের লিটন-শান্ত-সৌম্যদের ব্যর্থতার পর হৃদয়ের ফিফটিতে টেনেটুনে ১৫৩ রানের পুঁজি গড়েছিল বাংলাদেশ। যা ডিফেন্ড করতে পারেননি মুস্তাফিজ-সাকিবরা। ৩ বল বাকি থাকতেই টার্গেট পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

আর কবে রানে ফিরবেন লিটন দাসরা?

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিজ ও বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও ঘুরে ফিরে অস্বস্তি ছিল টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। টপ-অর্ডারের ব্যর্থতায় কোনো ম্যাচেই বড় স্কোর গড়তে পারেনি লিটন-শান্তরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও একই চিত্র। গতকাল (মঙ্গলবার) হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই ওপেনার লিটন দাস (১৪) ও সৌম্য সরকারকে (২০) হারায় বাংলাদেশ। দলের স্কোর পঞ্চাশ ছুঁতেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। প্রথম ১০ ওভারে রান ওঠে কেবল ৬৫।

হৃদয়ের ৪৭ বলে ৫৮ আর মাহমুদউল্লাহর ২২ বলে ৩১ রানের মান বাঁচানো ইনিংসে দেড়শো পেরোয় বাংলাদেশ। পুঁজিটা মোটেও ডিফেন্ড করার মতো ছিল না সেটি হাড়ে হাড়ে বুঝিয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। ২৮ বলে ৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে যুক্তরাষ্ট্রকে স্মরণীয় জয় এনে দেন হারমিত ও কোরি অ্যান্ডারসন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে টপ অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা।

মুস্তাফিজের রূপবদল

শেষ ৪ ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল তখনো ৫৫ রান। বাংলাদেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। তবে তিন ওভারেই ৪৬ রান দিয়ে ম্যাচ ছিটকে দেন মুস্তাফিজ ও শরিফুল। শেষ ওভারে ৯ রান ডিফেন্ড করতে সাকিবের কোটা বাকি থাকলেও শান্ত বল তুলে দিয়েছিলেন পার্টটাইমার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তিন বলেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে ঘুরে ফিরে আসছেন মুস্তাফিজ। দুটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ফিজ একাই খরচ করেছেন ৪১ রান। যা বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে খারাপ ইকোনমিক্যাল বোলিং।

সাম্প্রতিক সময়ে আইপিএলে সুনাম কুড়ানো এই পেসার রান খরচেও কার্পণ্য করছেন না। মুস্তাফিজ যে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করতে পারেননি সেটি ম্যাচশেষে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রের অবিস্মরণীয় জয়ের অন্যতম নায়ক হারমিত সিং। ফিজের বোলিং নিয়ে এই অলরাউন্ডার বলছিলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মুস্তাফিজ বাতাসের বিপরীতে বোলিং করবেন। কিন্তু যখন ওকে দেখেছি বাতাসের দিক থেকে বোলিং করতে, তখন ভেবেছি, অন্য প্রান্ত থেকে কোনো ওভারে ২০ রান নেওয়ার সুযোগ আছে আমাদের। হতে পারে তারা আমাদের গুরুত্ব দেয়নি, অথবা কী হতে পারে, এটা আমি জানি না। তবে মুস্তাফিজের ৪ ওভার শেষ করে দেওয়ায় আমরা শেষ ওভারে ২০ রানও নিতে পারব—এমন বিশ্বাস ছিল আমাদের।’

অবশ্য টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে পাশে পাচ্ছেন মুস্তাফিজ। তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে এমনটা হতেই পারে। আমরা আমাদের প্ল্যান কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা সবাই জানি মুস্তাফিজ কতটা ভালো। আমরা মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে চিন্তিত নই। আমাদের পরের ম্যাচে দল হিসেবে খেলতে হবে।’ বোলিংয়ের সময় মাঠে বাতাসের প্রভাবকেও দুষছেন শান্ত, ‘হ্যাঁ (বাতাস) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা যখন আসি তখনই দেখেছি বেশ বাতাস রয়েছে, যা ম্যাচে প্রভাব ফেলবে। আমরা সবাই তা দেখেছি। আমরা সবাই এটা জেনেই চেষ্টা করেছি প্ল্যান কাজে লাগানোর। স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছে। আমাদের পেসাররা শেষ দুই-তিন ওভারে পরিকল্পনা মতো বোলিং করতে পারেনি।’

অধিনায়কের স্বীকারোক্তি

অধিনায়কত্ব পেলেই যেন কি জানি হয়! সাকিব আল হাসানের জায়গায় তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর আস্থা রেখেছিল বিসিবি। তবে অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব পাবার পর থেকেই নিজের স্বাভাবিক ছন্দে নেই শান্ত। এ ছাড়া বাজে ফর্ম নিয়েও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া লিটন দাস যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন। এমন লজ্জার হারের জন্য ঘুরেফিরে নিজেদের ব্যাটিংকেই দুষছেন টাইগার অধিনায়ক। একইসঙ্গে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার জন্য তিনি ভালো উইকেটে খেলতে না পারার দায়ও দেখছেন।

আর ২০ রান বেশি হলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারতো বলেও মনে করেন শান্ত। বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো ব্যাট করিনি। মাঝের ওভারে বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি আমরা। যদিও দারুণ শুরু পেয়েছিলাম, তবে শেষটা ভালোভাবে করতে পারিনি। মাঝে উইকেট হারিয়ে না ফেললে আরও ২০ রান বেশি করতে পারতাম। তাহলে অন্যরকম হতে পারত ম্যাচটা।’

একইভাবে ভালো উইকেটে খেলতে না পারায় টপ অর্ডারদের পারফরম্যান্সে এমন দশা বলে মনে করছেন শান্ত, ‘আমি এটাকে ভুলের পুনরাবৃত্তি মনে করি না। আমার মনে হয় আমরা ভালো উইকেটে খেলছি না। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ভালো উইকেটে খেলিনি। তবে এটা মানসিক ব্যাপার। আশা করি ব্যাটসম্যানরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। (প্রবাসী বাংলাদেশিরা) হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন, তার কারণ আমরা ভালো খেলিনি। সামনের ম্যাচে চেষ্টা করব যেন একটা ভালো খেলতে পারি।’

সামর্থ্যের রিয়েলিটি চেক

টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপে কখনোই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারও টাইগারদের নিয়ে খুব একটা প্রত্যাশা দেখছেন না সমর্থকরা। দেশ ছাড়ার আগে বেশি আশা করতে নিষেধ করে গেছেন অধিনায়ক ও নির্বাচকরাও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এভাবে হেরে যাবে এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য ছিল। বাংলাদেশের হারের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে বাংলাদেশ কি করবে তারও একটা আভাস পাওয়া গেল।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।