খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

চয়ন দেবনাথ মুন্না, নেত্রকোণা প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ণ
জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীন মনোভাবের কারণে সেই চিকিৎসা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট ও নানা অনিয়মে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। চিকিৎসা নিতে এসে, ডাক্তার সংকট, গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, পানি সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলছেন, হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা মানসম্মত সেবা দিতে পারছেন না। অপ্রতুল ডাক্তার ও  রোগ নির্ণয়ের ন্যূনতম সুবিধা না থাকার কারণে রোগীদের ময়মনসিংহে রেফার্ড করার প্রবণতা প্রচুর। হাসপাতালে সিজারিয়ান বিভাগ চালু থাকলেও নেই আলট্রাসনোগ্রাম করার সুযোগ। কারণ আলট্রাসনোগ্রাম করার লোক নেই। পাশাপাশি খালি রয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগও।

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সূত্র জানায়, কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ৩৪ জন ডাক্তারের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন। মেডিকেল অফিসার ১৩ জনের স্থলে ৪ জন, কনসালটেন্ট ১০ জনের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন। ২৫ জন নার্সের জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন ১৮ জন।

তবে নার্সিং বিভাগের লোকজন বলছেন, হাসপাতালে মিডওয়াইফ নার্সসহ মোট ৩৪টি পদ রয়েছে। তার বিপরীতে কাজ করছেন ২০ জন।

এছাড়াও ল্যাব টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট, স্টোর কিপার, অফিস সহকারী, ক্লিনারসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ একেবারে শূন্য রয়েছে। বেতন নিয়েও দায়িত্ব পালন করছেন না অ্যাম্বুলেন্স চালকের মতো পদের লোকজন। ফলে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে অফিসিয়াল কার্যকম। হাসপাতালে মঞ্জুরিকৃত ৫২ জন জনবলের পরিবর্তে কাজ করছেন ২৮ জন। যেখানে শূন্য পদ রয়ে গেছে ২৪টি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা  যায়, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক কান গলা), সহকারী সার্জন (অ্যানেস্থেসিয়া), মেডিকেল অফিসার (পিএমও), মেডিকেল অফিসার (ইউনানি), নার্সিং সুপারভাইজার, সহকারী নার্স, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোর কিপার, এমটি (ইপিআই), এমটি (ফিজিও থেরাপি) অফিস সহায়ক, মালি, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট পদ শূন্য রয়েছে।

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলছেন, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের বেশির ভাগই বাহির থেকে কিনতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে পাওয়া যায় না অ্যাম্বুলেন্স সেবাও।

হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগী মো. কাজল বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা যেমন-তেমন। একটা অ্যাম্বুলেন্স আছে, ড্রাইভার আছে, যিনি প্রতি মাসে বেতন নেন, কিন্তু ডিউটি করেন না। তাকে অ্যাম্বুলেন্সসহ কখনো পাওয়া যায় না। যার কারণে বাইরে থেকে রোগীদের তিন থেকে চার হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ময়মনসিংহ যেতে হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।

অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসা নাজমুল হক বলেন, আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে এলে তারা একটু ভালোভাবে পরীক্ষা না করেই ময়মনসিংহে প্রেরণ করে দেন। আর ওষুধের বিষয়ে যদি বলি, ওষুধ বেশিরভাগই বাইরে থেকে কিনতে বলেন তারা। হাসপাতালে শুধু অল্প দামের স্যালাইন ও অল্প কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। বাকি সব ওষুধ বাইরে থেকেই কিনতে হয়।

আরেক রোগী মাহাবুব আলম বলেন, আমি গতকাল ভর্তি হয়েছি। ভর্তি হওয়ার পর বেশিরভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। আমরা যারা সাধারণ জনগণ, আমরা চাই সরকারি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে। কিন্তু আমরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ওষুধ পাই না। তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ চিকিৎসা কীভাবে করব?

বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসা আফিয়া আক্তার বলেন, যদি কোনো কারণে ভর্তি থাকা হয়, তাহলে হাসপাতালের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে একটা অস্বস্তি কাজ করে। ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় আমাদের জন্য। জরুরি বিভাগে প্রচুর ভিড় থাকার কারণে ডাক্তাররা আমাদের গুরুত্ব দিতে চান না। নিয়মিত ডাক্তার থাকলে এত রোগীর চাপ থাকতো না। এত করে ডাক্তাররাও রোগীদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে চিকিৎসা দিতে পারতেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স জানান, এই হাসপাতাল মোট ৩৪ জন নার্সের পদ রয়েছে। তার মধ্যে ২০ জন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দুয়া এলাকায় মারামারির ঘটনা একটু বেশি হয়। এখন সব স্বাভাবিক থাকলেও মাঝে মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আহত রোগী এসে হাজির হয়। তখন সামলানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এটা যেহেতু উপজেলা শহর, এখানে সব ওষুধ সব সময় থাকে না। অনেক সময় রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খারাপ আচরণ করে আমাদের সাথে।

অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে এই নার্স বলেন, লোকবল সংকটের মধ্যেও তুলনামূলক পরিষ্কার থাকে আমাদের এই হাসপাতাল। কিন্তু রোগীরা সচেতন না হওয়ার কারণে তারা কিছুক্ষণের মধ্যে আবার নোংরা হয়ে যায়। এমনকি হাসপাতালে অনেকে ধূমপান করেন, তাদের কিছু বলতে গেলে উল্টো বিভিন্ন কথা শুনিয়ে দেন।

জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন দায়িত্বরত ডাক্তাররা। কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট নাদিয়া মির্জা বলেন, আমাদের এখানে যে সকল সার্ভিস আছে তার মধ্যে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান সেকশন চালু আছে। সিজারিয়ান সেকশনের ক্ষেত্রে আমাদের ওটি বা ওষুধপত্র নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে আমরা কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বোধ করি একটি ব্লাড ব্যাংকের। যেমন আমাদের প্রায়ই প্রিভিয়াস সিজারিয়ান সেকশন করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে ক্লিনিক্যালি অথবা ইনভেস্টিগেশনের ওপরে নির্ভর করতে হয়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ব্লাড ডোনার রেডি রাখি। কিন্তু এখানে যদি একটা ব্লাড ব্যাংক থাকতো তাহলে আমরা নিশ্চিন্তে রোগীদের সেবা দিতে পারি। আমি অবশ্যই চাইবো এখানে যেন সিজারিয়ান সেকশনের সুবিধাটি অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি একটা ওটির আইডিয়াল এনভায়রনমেন্টের যে বিষয়টা সেটা যদি নিশ্চিত করা হয় তাহলে খুব ভালো হয়। যেমন ছোট পরিসরে একটি ব্লাড ব্যাংক ও ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মনে করে করি।

জনবল সংকটের ফলে চিকিৎসাসেবা ও দাফতরিক কাজসহ নানা রকম অসুবিধা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ বেডের একটি হাসপাতাল। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারের মতো পদ খালি পড়ে আছে। সব মিলিয়ে ৩৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছেন ১১ জন। ২৫ জন নার্সের মধ্যে রয়েছেন ১৮ জন। পাশাপাশি অন্যান্য লোকবল সংকটও রয়েছে। একটি অ্যাম্বুলেন্স আছে তার ড্রাইভার ডিউটিতে আসে না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো সে ডিউটিতে আসেনি।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, আমাদের এখানে ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরও ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মকর্তাদের পদ খালি থাকায় ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের কার্যক্রম। ডাক্তারের সংকট থাকায় আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের এখানে এক্সরে, ইসিজি, রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম ও প্রস্রাব পরীক্ষার সুবিধা আছে। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম সুবিধা কিছু দিন যাবত বন্ধ আছে। জনবল সংকটের বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা সিভিল সার্জনকে ইতিমধ্যে অবহিত করেছি। তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

নেত্রকোণার সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দুয়া হাসপাতালসহ সকল হাসপাতালেই চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করি অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি সমাধান হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী ও অফিস স্টাফসহ আরও কিছু জনবলের ঘাটতি রয়েছে। আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে, এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই জনবল সংকটের বিষয়টি সমাধান হবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি জেনেছি। তার বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।