খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন, ১৪৩১

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

চয়ন দেবনাথ মুন্না, নেত্রকোণা প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ণ
জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীন মনোভাবের কারণে সেই চিকিৎসা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট ও নানা অনিয়মে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। চিকিৎসা নিতে এসে, ডাক্তার সংকট, গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, পানি সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলছেন, হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা মানসম্মত সেবা দিতে পারছেন না। অপ্রতুল ডাক্তার ও  রোগ নির্ণয়ের ন্যূনতম সুবিধা না থাকার কারণে রোগীদের ময়মনসিংহে রেফার্ড করার প্রবণতা প্রচুর। হাসপাতালে সিজারিয়ান বিভাগ চালু থাকলেও নেই আলট্রাসনোগ্রাম করার সুযোগ। কারণ আলট্রাসনোগ্রাম করার লোক নেই। পাশাপাশি খালি রয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগও।

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সূত্র জানায়, কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ৩৪ জন ডাক্তারের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন। মেডিকেল অফিসার ১৩ জনের স্থলে ৪ জন, কনসালটেন্ট ১০ জনের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন। ২৫ জন নার্সের জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন ১৮ জন।

তবে নার্সিং বিভাগের লোকজন বলছেন, হাসপাতালে মিডওয়াইফ নার্সসহ মোট ৩৪টি পদ রয়েছে। তার বিপরীতে কাজ করছেন ২০ জন।

এছাড়াও ল্যাব টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট, স্টোর কিপার, অফিস সহকারী, ক্লিনারসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ একেবারে শূন্য রয়েছে। বেতন নিয়েও দায়িত্ব পালন করছেন না অ্যাম্বুলেন্স চালকের মতো পদের লোকজন। ফলে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে অফিসিয়াল কার্যকম। হাসপাতালে মঞ্জুরিকৃত ৫২ জন জনবলের পরিবর্তে কাজ করছেন ২৮ জন। যেখানে শূন্য পদ রয়ে গেছে ২৪টি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা  যায়, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক কান গলা), সহকারী সার্জন (অ্যানেস্থেসিয়া), মেডিকেল অফিসার (পিএমও), মেডিকেল অফিসার (ইউনানি), নার্সিং সুপারভাইজার, সহকারী নার্স, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোর কিপার, এমটি (ইপিআই), এমটি (ফিজিও থেরাপি) অফিস সহায়ক, মালি, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট পদ শূন্য রয়েছে।

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলছেন, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের বেশির ভাগই বাহির থেকে কিনতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে পাওয়া যায় না অ্যাম্বুলেন্স সেবাও।

হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগী মো. কাজল বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা যেমন-তেমন। একটা অ্যাম্বুলেন্স আছে, ড্রাইভার আছে, যিনি প্রতি মাসে বেতন নেন, কিন্তু ডিউটি করেন না। তাকে অ্যাম্বুলেন্সসহ কখনো পাওয়া যায় না। যার কারণে বাইরে থেকে রোগীদের তিন থেকে চার হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ময়মনসিংহ যেতে হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।

অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসা নাজমুল হক বলেন, আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে এলে তারা একটু ভালোভাবে পরীক্ষা না করেই ময়মনসিংহে প্রেরণ করে দেন। আর ওষুধের বিষয়ে যদি বলি, ওষুধ বেশিরভাগই বাইরে থেকে কিনতে বলেন তারা। হাসপাতালে শুধু অল্প দামের স্যালাইন ও অল্প কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। বাকি সব ওষুধ বাইরে থেকেই কিনতে হয়।

আরেক রোগী মাহাবুব আলম বলেন, আমি গতকাল ভর্তি হয়েছি। ভর্তি হওয়ার পর বেশিরভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। আমরা যারা সাধারণ জনগণ, আমরা চাই সরকারি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে। কিন্তু আমরা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ওষুধ পাই না। তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ চিকিৎসা কীভাবে করব?

বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসা আফিয়া আক্তার বলেন, যদি কোনো কারণে ভর্তি থাকা হয়, তাহলে হাসপাতালের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে একটা অস্বস্তি কাজ করে। ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় আমাদের জন্য। জরুরি বিভাগে প্রচুর ভিড় থাকার কারণে ডাক্তাররা আমাদের গুরুত্ব দিতে চান না। নিয়মিত ডাক্তার থাকলে এত রোগীর চাপ থাকতো না। এত করে ডাক্তাররাও রোগীদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে চিকিৎসা দিতে পারতেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স জানান, এই হাসপাতাল মোট ৩৪ জন নার্সের পদ রয়েছে। তার মধ্যে ২০ জন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দুয়া এলাকায় মারামারির ঘটনা একটু বেশি হয়। এখন সব স্বাভাবিক থাকলেও মাঝে মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আহত রোগী এসে হাজির হয়। তখন সামলানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এটা যেহেতু উপজেলা শহর, এখানে সব ওষুধ সব সময় থাকে না। অনেক সময় রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খারাপ আচরণ করে আমাদের সাথে।

অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে এই নার্স বলেন, লোকবল সংকটের মধ্যেও তুলনামূলক পরিষ্কার থাকে আমাদের এই হাসপাতাল। কিন্তু রোগীরা সচেতন না হওয়ার কারণে তারা কিছুক্ষণের মধ্যে আবার নোংরা হয়ে যায়। এমনকি হাসপাতালে অনেকে ধূমপান করেন, তাদের কিছু বলতে গেলে উল্টো বিভিন্ন কথা শুনিয়ে দেন।

জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন দায়িত্বরত ডাক্তাররা। কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট নাদিয়া মির্জা বলেন, আমাদের এখানে যে সকল সার্ভিস আছে তার মধ্যে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান সেকশন চালু আছে। সিজারিয়ান সেকশনের ক্ষেত্রে আমাদের ওটি বা ওষুধপত্র নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে আমরা কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বোধ করি একটি ব্লাড ব্যাংকের। যেমন আমাদের প্রায়ই প্রিভিয়াস সিজারিয়ান সেকশন করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে ক্লিনিক্যালি অথবা ইনভেস্টিগেশনের ওপরে নির্ভর করতে হয়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ব্লাড ডোনার রেডি রাখি। কিন্তু এখানে যদি একটা ব্লাড ব্যাংক থাকতো তাহলে আমরা নিশ্চিন্তে রোগীদের সেবা দিতে পারি। আমি অবশ্যই চাইবো এখানে যেন সিজারিয়ান সেকশনের সুবিধাটি অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি একটা ওটির আইডিয়াল এনভায়রনমেন্টের যে বিষয়টা সেটা যদি নিশ্চিত করা হয় তাহলে খুব ভালো হয়। যেমন ছোট পরিসরে একটি ব্লাড ব্যাংক ও ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মনে করে করি।

জনবল সংকটের ফলে চিকিৎসাসেবা ও দাফতরিক কাজসহ নানা রকম অসুবিধা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ বেডের একটি হাসপাতাল। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারের মতো পদ খালি পড়ে আছে। সব মিলিয়ে ৩৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছেন ১১ জন। ২৫ জন নার্সের মধ্যে রয়েছেন ১৮ জন। পাশাপাশি অন্যান্য লোকবল সংকটও রয়েছে। একটি অ্যাম্বুলেন্স আছে তার ড্রাইভার ডিউটিতে আসে না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো সে ডিউটিতে আসেনি।

তিনি আরও যোগ করে বলেন, আমাদের এখানে ওয়ার্ড বয় ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরও ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মকর্তাদের পদ খালি থাকায় ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের কার্যক্রম। ডাক্তারের সংকট থাকায় আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের এখানে এক্সরে, ইসিজি, রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম ও প্রস্রাব পরীক্ষার সুবিধা আছে। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম সুবিধা কিছু দিন যাবত বন্ধ আছে। জনবল সংকটের বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা সিভিল সার্জনকে ইতিমধ্যে অবহিত করেছি। তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

নেত্রকোণার সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দুয়া হাসপাতালসহ সকল হাসপাতালেই চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করি অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি সমাধান হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী ও অফিস স্টাফসহ আরও কিছু জনবলের ঘাটতি রয়েছে। আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান আছে, এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই জনবল সংকটের বিষয়টি সমাধান হবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি জেনেছি। তার বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বীরগঞ্জে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাদ ক্লিনিকের সামনে লাশ নিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পৌরসভার ফিসারী এলাকার জীবন ইসলাম নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে এনে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে মিছিল ও ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিহতের পরিবারসহ সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের বিভিন্ন স্লোগানে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মহাসড়ক অবরোধের সময় রেন্টু সাহা, নাইটগার্ড বাঘার বিরুদ্ধে এবং হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় দুই ঘণ্টা ব্যাপী মহাসড়কে উভয় পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপংকর বর্মন ও বীরগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাসে দেন এবং জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন সিল গালা করলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

উল্লেখ্য যে গতকাল রবিবার উপজেলার ফিসারী এলাকার রুস্তম আলী গাঠু’র ছেলে জীবন ইসলামকে ট্রাক্টরের ব্যাটারি চুরির সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে এনে জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন একটি গোডাউনে সংবদ্ধ একটি চক্র লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক প্রহারে জীবন ইসলামের মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করলেও হত্যাকান্ডে জড়িতদের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও গ্রেফতার না হওয়ায় প্রতিবাদ এবং রাস্তা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

এব্যাপারে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান,নিহতের পিতা রুস্তম আলী গাঠু বাদি হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যাহার মামলা নং – ১২,তারিখ ১৬/০৯/২০২৪ ইং, অবরোধ তুলে নিয়ে নিহতের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

ছোনকা হাইস্কুলের অফিস কক্ষে তালা, নিয়োগ বানিজ্যের টাকা উদ্ধারের আশ্বাসে তালা খুললেন ছাত্ররা

মোঃ নজরুল ইসলাম জাকি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
ছোনকা হাইস্কুলের অফিস কক্ষে তালা, নিয়োগ বানিজ্যের টাকা উদ্ধারের আশ্বাসে তালা খুললেন ছাত্ররা

বগুড়া শেরপুরের ছোনকা হাইস্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা দাবী আদায়ের লক্ষে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পরে প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসে তালা খুলে দিয়েছে ছাত্ররা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় ছাত্র/ছাত্রীরা অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে স্কুল গেইটের সব দোকান বন্ধ রাখার আহবান করেন। পরে সকাল সোয়া ১০ ঘটিকার সময় নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের আশ্বাসে ছাত্র/ছাত্রীরা আন্দোলন তুলে নিয়ে তালা খুলে ক্লাস করছেন।

জানা যায়, গত ৩০ জুন নিয়োগ পরিক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ফয়সাল আবিরের দরখাস্থের প্রেক্ষিতে পরিক্ষা স্থগিত করা হয়। সেদিন বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন প্রার্থী কে কত টাকা দিয়েছে তার ফিরিস্তি প্রকাশ করে।পরে ২৬ জুন জরুরী অবস্থার মধ্যে নিয়োগ পরিক্ষায় পত্রিকায় উল্লেখিত ৪ জন প্রার্থী চুড়ান্ত হয়। সে প্রেক্ষিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর  শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবরে স্কুলের ছাত্রদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র দেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্ররা বলেন,  স্কুলের নিয়োগের টাকার হিসাব সহ বারান্দার টিন মেরামতের হিসাব নিকাশ দেওয়ার  আশ্বাস দেন নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তখন স্কুলের ছাত্ররা আন্দোলন স্থগীত করে তালা খুলে ক্লাসে যান। সংবাদ সংগ্রহের সময় মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষক বাধা প্রদান করেন।

নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা স্কুলের হিসাব চেয়েছে আমি তাদের হিসাব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। ইউএনও সাহেবের দরখাস্থের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। নিয়োগে তিনি দুই লক্ষ টাকা দিয়েছেন এবং অন্য প্রার্থীদের ব্যাপারে তিনি জানেন না ।

ছোনকা হাইস্কুলের সাবেক সভাপতি মোঃ ফেরদৌস জামান মুকুল কে বারবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ সুমন জিহাদী জানান, ছাত্রদের নিকট থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল কারার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি’র হারেজ উদ্দিন ও আবু শাহীন সানি, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই রনি উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, এম ইদ্রিস আলী সাকিদার, বাদশা আলম, নুরুল আজাদ, হাফিজার রহমান কাজল, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুকুল, নাসির উদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, মাসফিকুর রহমান মামুন, ইবনে সাউদ, রেজাউল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল আরমান রাজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায় জিল্লুর রহমান, ইউনুস আলী হলুদ, শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহান পুটু প্রমুখ।

"> ">
বীরগঞ্জে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ছোনকা হাইস্কুলের অফিস কক্ষে তালা, নিয়োগ বানিজ্যের টাকা উদ্ধারের আশ্বাসে তালা খুললেন ছাত্ররা শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ায় মাছ ধরার ৭ ট্রলার ডুবি ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আজ শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ এর জানাযা সম্পূর্ণ শেরপুরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানীতে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ৪ জন নিহত বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ খুন ০২ জন এই নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা লঞ্চঘাটের বাস কাউন্টার দখল দ্বন্দ্বে মুখোমুখি বিএনপির দুই গ্রুপ ‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’ কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: ২৫ দেশের ১৩০ শহরে বিক্ষোভ সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকেছে চীনা সৈন্যরা তিস্তা চুক্তি : বন্ধুত্ব না স্বার্থের সংঘাত? গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩, প্রাণহানি ৪১ হাজার ছুঁই ছুঁই আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয় ভেঙে ইউএস ওপেনে সিনারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, নেই বয়সসীমা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহেল বাঁচতে চায় বৈষম্যের শিকার হরিজন সম্প্রদায় নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বিএনপির অন্তর্কোন্দল খানসামায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আহত চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু জানা গেল ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ হুন্দাই সিএনজি-চালিত প্রাইভেটকার আনল