খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিদ্যালয়ে সংঘর্ষ

ভয়ে ক্লাসে আসছে না শিক্ষার্থীরা

উপজেলা প্রতিবেদক, ওসমানী নগর প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
ভয়ে ক্লাসে আসছে না শিক্ষার্থীরা

বিদ্যালয়ের সীমানা নিয়ে সংঘর্ষের পর ওসমানীনগরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিলেও ভরসা পাচ্ছেন না অভিভাবকরা। বরং ভয় ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের।

জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা দখল করে একটি ডাস্টবিন নির্মাণ করে প্রতিবেশী মতিউর রহমান গংরা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে মতিউররা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এরপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে ক্লাস চলাকালিন সময়ে মতিউর গংরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করে যে যার মতো বাড়ি পৌঁছায়।

সংর্ঘষের সময় তড়িঘড়ি করে প্রধান শিক্ষক স্কুল ছুটি দিলে বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে আটকা পড়েন দুই শিক্ষিকা। ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন। ওইদিন রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মতিউর রহমানের ঘরের পাশ থেকে দেশীয় পাইপ গান, গুলি, রামদা, লোহার পাইপ ও চাপাতি উদ্ধার ও সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করে।

কিন্তু ঘটনার মূলহোতা মতিউর ধরা না পড়ায় আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন অভিভাবকরা। গতকাল দুপুরে হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পিনপতন নিরবতা লক্ষ্য করা যায়। বিদ্যালয়ের অফিসে বসে থাকা শিক্ষকদের চোখ-মুখে অজানা আতঙ্ক। শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছে ১জন মাত্র শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলাকালিন সময়ে বিদ্যালয়ের ভিতরে হামলার ঘটনায় ভয়ে বাচ্চারা স্কুলে আসছে না। অভিভাবকরা বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেন কি-না তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন।

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলায় গ্রামের ৪৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় বাচ্চাদের সারাক্ষণ নিজেদের কাছেই রাখছেন মায়েরা। বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসা ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তামিম মিয়া জানায়, স্কুলে মারামারি হওয়ার পর থেকে গত কদিন সে একাই ক্লাস করছে। স্যার বলেছেন-স্কুলে আসলে কিছু হবে না, তবুও ফাঁকা স্কুলে তার ভয় লাগে। গ্রামের সারওয়ার জাহান, ‘আজিজুর রহমান বলেন, স্কুলের জায়গা দখলের বিষয়টি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে লিখিতভাবে জানানোর কারণে দখলদার পক্ষ স্কুলের মধ্যে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কজন আহত হন।

এ ঘটনায় আতঙ্কে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এদিকে দখলদার পক্ষ আমাদের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও পঞ্চায়েতের ২৬ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন। স্কুলের জায়গা দখলের প্রতিবাদ করায় আজ আমরা আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুর রহমান শিবলু বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশে মতিউরের বাড়ি থাকায় আবারও যদি সে হামলা চালায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সে ভয় বিরাজ করছে। হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহ আহমদ বলেন, ‘করোনার পর আমাদের বিদ্যালয়ে এমনিতেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে।

বর্তমানে ৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। গড় উপস্থিতি ৮০/৮৫ ভাগ। কিন্তু জায়গা নিয়ে সংঘর্ষের পর বাচ্চারা বিদ্যালয়ে আসছে না। সে বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের অভয় দিয়ে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে প্রশাসন থেকে আমায় বলা হয়েছে। কিন্তু আমার আশ্বাসেও অভিভাবকরা ভরসা পাচ্ছেন না। গ্রামের সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি এলাকার সবাইকে নিয়ে সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীর অভিবাকদের আহব্বান করি আপনারা ভয় না পেয়ে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠান। সুষ্ঠু তদন্তো করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

ওসমানীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপময় দাশ চৌধুরী বলেন, ‘সংঘর্ষের পর থেকে হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনক ভাবে কমে গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভয় দূর করে বিদ্যালয়মুখি করতে আমরা চেষ্টা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা জানান, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি এলাকার সবাইকে নিয়ে সমাধান করা হবে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভয় না পেয়ে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠান। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।