খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

হকিতে বিশ্বকাপ, সর্বকনিষ্ঠ আইএম, সাগরের অলিম্পিক

আরাফাত জোবায়ের প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:০১ অপরাহ্ণ
হকিতে বিশ্বকাপ, সর্বকনিষ্ঠ আইএম, সাগরের অলিম্পিক

বেশিরভাগ সময় দেশের ফুটবল–ক্রিকেটই বছরজুড়ে আলোচনায় থাকে। এই দুই প্রধান খেলার বাইরে অন্য খেলাগুলোতেও থাকে অর্জন ও ব্যর্থতার গল্প। ২০২৪ সালে অন্য খেলা ও ফেডারেশনগুলোর নানা ঘটনা তুলে ধরেছেন সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের।

সরাসরি অলিম্পিকে আরচ্যার সাগরের 

অলিম্পিক গেমসে পদক জয় বাংলাদেশের জন্য এখনও অলীক ভাবনাই। বাংলাদেশ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসরে অংশগ্রহণ করে ওয়াইল্ড কার্ডে। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক থেকে একজন করে ক্রীড়াবিদ নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিকে খেলছেন। গলফার সিদ্দিকের পর ২০২০ সালে সরাসরি অলিম্পিক খেলেন আরচ্যার রোমান সানা। এবার তুরস্কের আনাতোলিয়ায় প্যারিস অলিম্পিকের শেষ কোটা প্লেস টুর্নামেন্টে আরচ্যার সাগর ইসলাম নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিক খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সাগর এখনও বিকেএসপির শিক্ষার্থী। সিদ্দিক ও রোমানের চেয়ে কম বয়সে সরাসরি অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বা সাফল্যে এটা তেমন বড় কোনো বিষয় না হলেও, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ।

প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশের পতাকা সাগরের হাতে

অলিম্পিকে অংশগ্রহণই ‘সান্ত্বনার’

বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হলেও বাংলাদেশ এখনও অলিম্পিকে পদক জিততে পারেনি। ১৯৮৪ সাল থেকে এখনও যেন অংশগ্রহণই শেষ কথা! ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে শ্যুটিং ও অ্যাথলেটিক্সে জাতীয় টাইমিং করতে পারেননি বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। উল্টো বাংলাদেশের দ্রুততম মানব তার দৌড় শেষে ইনজুরি নিয়েই অংশগ্রহণ এবং তিনি অংশ নিতে চাননি এমন বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন। অলিম্পিকে একটি পদক সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশের ক্রীড়া নীতিনির্ধারক এ নিয়ে তেমন ভাবেন না!

সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়

বাংলাদেশের দাবায় সম্ভাবনাময় নাম মনন রেজা নীড়। হাঙ্গেরিতে তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) নর্ম পূরণ করেছেন। মাত্র ১৪ বছর ৫ মাস বয়সে তিনি এই খেতাব পান। যা বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম। নিয়াজ মোর্শেদের সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়ার ৪৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দেন নীড়। আন্তর্জাতিক মাস্টারের পাশাপাশি এই বছর নীড় জাতীয় চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন। তবে সেখানে অবশ্য সর্বকনিষ্ঠ হতে পারেননি তিনি। এই রেকর্ড এখনও নিয়াজেরই দখলে।

ইউক্রেনের গ্র্যান্ডমাস্টারকে রুখলেন নীড়

আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান এই বছর একটি গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম পেয়েছেন। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর এই বছর একটি নর্ম অর্জন করেছেন তিনি। আরও দুটি নর্ম ও ২৫০০ রেটিং স্পর্শ করলে ফাহাদ গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পারবেন।

খেলতে খেলতে চলে গেলেন জিয়া

বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান জাতীয় দাবায় খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গত ৫ জুলাই। দাবা ফেডারেশন থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। জিয়ার মৃত্যু বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় ধাক্কা। মৃত্যুর আগেই অবশ্য জিয়া দাবা অলিম্পিয়াড নিশ্চিত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর সেই স্থানে যান ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। জিয়ার অকালে চলে যাওয়া দাবাঙ্গনের জন্য বড় শূন্যতা।

দাবা খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

স্থানীয় ক্রীড়া কমিটির বিলুপ্তি, ৪২ ফেডারেশনের সভাপতি অপসারণ

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া বাকি সব ফেডারেশনের সভাপতি সরকার মনোনীত। খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা অনেকেই রাজনৈতিক ও নানা প্রভাবে বিভিন্ন ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তাই সংস্কারের লক্ষ্যে ৫ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একযোগে ৪২ ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে একযোগে এত সভাপতি বাদ দেওয়ার ঘটনা রেকর্ডগড়া পদক্ষেপ। সভাপতি বাদ দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তাদের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারিকেও ফেডারেশনগুলো কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে। এনএসসি কর্মকর্তাদের কারও বদলি, কেউবা সাময়িক বরখাস্তও হয়েছেন।

পরবর্তীতে ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেলা-বিভাগীয় ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাও বিলুপ্ত করে। ফেডারেশন সভাপতিদের মতো স্থানীয় ক্রীড়া প্রশাসনেও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা দায়িত্বে ছিলেন। সেই ভাবনায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সকল জেলা-বিভাগের কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়। চার মাস পেরিয়ে গেলেও সেই কমিটি এখনও গঠন হয়নি। ফলে ক্রীড়াঙ্গনের তৃণমূল পর্যায়ে চলছে স্থবিরতা।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গত ২৯ আগস্ট ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করে। ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানাকে নিয়ে শুরুর দিকে কিছুটা সমালোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন বুলবুল বাফুফের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাকে শোকজ করে এবং পরবর্তীতে অব্যাহতি প্রদান করে বিকেএসপির ডিজিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে। প্রায় চার মাসের বেশি সময় কাজ করছে ওই কমিটি। কিন্তু এখনও দৃশ্যমান সংস্কার দেখা যায়নি। ১৪ নভেম্বর নয়টি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি প্রকাশ পেয়েছে। আরও কয়েকটি কমিটির সুপারিশ তারা করলেও সেটি এখনও প্রকাশিত হয়নি। এ ছাড়া ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করছে এই কমিটি।

ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে সাফল্য

২০২৩ সালে অ্যাথলেটিক্সে এশিয়ান পর্যায়ে প্রথম সাফল্য এনেছিলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। এই বছর এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে ইমরান সফল হননি। তিনি না পারলেও ইরান থেকে দুটি পদক এসেছে বাংলাদেশের। স্প্রিন্টার জহির রৌপ্য ও হাই-জাম্পার মাহফুজ ব্রোঞ্জ জেতেন। এর আগে স্বর্ণ জেতায় ফেডারেশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক পুরস্কার পেয়েছিলেন ইমরান। সেই তুলনায় জহির ও মাহফুজ তেমন পুরস্কার পাননি।

হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, ‘স্বপ্ন নয়–সত্যি ও বাস্তব’

হকিতে যুব বিশ্বকাপ

বছরের শেষ মাসে এসে হকির ইতিহাসে সেরা সুখবর এসেছে। ওমানে অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান অর্জন করে। এতে আগামী বছর ডিসেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। দেশের হকির ইতিহাসে কোনো পর্যায়ে এটাই প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। হকি খেলোয়াড়রা নানা সীমাবদ্ধতায় থাকেন। মাত্র ৪০০ টাকা দৈনিক ভাতা পেয়ে অনুশীলন করা খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছেন।

ব্যাডমিন্টনে অলিম্পিয়ান শাটলার

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনো ফেডারেশন দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেনি। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে ১৫টিরও বেশি দেশের শাটলাররা অংশগ্রহণ করেছে। এতে অংশ নিয়েছেন প্যারিস অলিম্পিকে খেলা ইউক্রেনিয়ান শাটলার পলিনা। তিনি মহিলা এককে চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন।

শ্যুটিংয়ে আতিক ও সাদিয়ার চলে যাওয়া

চলতি বছর শ্যুটিংয়ের জন্য অনেক বেদনার। কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী শ্যুটার আতিকুর রহমান জুলাই মাসে মৃত্যুবরণ করেন। অবশ্য দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বছরের শেষ দিকে এসএ গেমসে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শ্যুটার সাদিয়া সুলতানাও মৃত্যুবরণ করেন। তিনি অবশ্য অবসাদ ও নানা কারণে শ্যুটিং থেকে দূরে ছিলেন এক দশকেরও বেশি সময়।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।