খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর, বাংলাদেশ যা পাবে

ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর, বাংলাদেশ যা পাবে

১ এপ্রিল নিজ জেলা ঠাকুরগাঁতে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চীন সফর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটা বড় সফলতা।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করে বলেন যে বিগত সরকারের সময়ে একটি দলের সাথে চীনের সরকারের সম্পর্কের বিচারে বর্তমান এই সম্পর্ক দুই দেশের সরকারের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ এনে দিয়েছে।

যেহেতু চীন একটি বড় অর্থনীতির দেশ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির বিচারে মার্কিন অর্থনীতির পরের অবস্থানেই রয়েছে চীনের অর্থনীতি, এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আরও বড় চীনা বিনিয়োগের একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে এর মধ্য দিয়ে। এটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মূল্যায়ন।

এ বিষয়ের অবতারণা এ কারণে করা হলো যে, এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায় সরকার প্রধানের যেকোনো বিদেশ সফরের সময় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং এর সাথে জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি যথার্থভাবে মূল্যায়ন করা জরুরি। এ বিচারে স্বাভাবিকভাবেই বলা যেতে পারে যে, দেশের অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর দিক থেকে যেহেতু এই সফর নিয়ে কোনো ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হয়নি, সেহেতু প্রধান উপদেষ্টার প্রথম এই দ্বিপাক্ষিক সফরটি যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।

সরল দৃষ্টিতে দেখলে এই সফরের মধ্য দিয়ে চীনের কাছ থেকে ২.১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ, বিনিয়োগ এবং অনুদানের আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা নিঃসন্দেহে আমাদের বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি বড় ধরনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে।

এই সফরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চীন সরকারের যে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক এবং ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে এর আলোকে বিশ্লেষণ করলে দুই দেশের মধ্যে এক দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের একটি ভিত্তি রচিত হয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে।

চীনের বিশ্ববিখ্যাত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে, যা তিনি তথা আমাদের দেশের জয় একটা বড় সম্মান এবং বাংলাদেশি রোগীদের চীনের হাসপাতালগুলোয় উন্নত এবং স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার আশ্বাস একটি বড় সুযোগ—এসবকিছুই সাধারণের বোধগম্যতার মধ্যে একটি চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যেমন নির্দেশ করে। এর বাইরেও এই সফর দীর্ঘমেয়াদে দুই দেশের মধ্যে পারষ্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দিকগুলো আরও শাণিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

এই সফরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চীন সরকারের যে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক এবং ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে এর আলোকে বিশ্লেষণ করলে দুই দেশের মধ্যে এক দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের একটি ভিত্তি রচিত হয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের অভিজ্ঞতার আলোকে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আগামী ৫০ বছরের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান আহ্বান করা হয়েছে।

এছাড়া মংলা বন্দরের আধুনিকায়নের বিষয়েও দুই দেশ একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছে, যা আগে ভারত এবং চীনের এক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা ছিল এবং আগামী দিনগুলোয় চীন এককভাবে কাজ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর বাইরেও বিশেষভাবে তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্রে চীনের অংশগ্রহণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং এক্ষেত্রেও চীনের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশি রোগীদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে সবচেয়ে বড় এবং নির্ভরশীল গন্তব্য ছিল ভারত। বর্তমানে চীন সরকার এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আগ্রহ প্রকাশ করার পর যাতায়াত এবং চিকিৎসা খরচের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে চীনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সহনীয় পর্যায়ে রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে ত্বরিত পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং এর চারটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম থেকে কুনমিং পর্যন্ত চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো নিঃসন্দেহে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ককে নির্দেশ করে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চীনের দিক থেকে ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শিত হয়েছে, আর সেটা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা। মিয়ানমারের অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চীনের সম্পৃক্ততা এবং জান্তা সরকারের সাথে চীন সরকারের সুসম্পর্ক থাকার কারণে ধারণা করা যায় যে, ভবিষ্যতের দিনগুলোয় বাংলাদেশে আরও ব্যাপক হারে চীনের বিনিয়োগকে মসৃণ রাখার স্বার্থে তারা এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রত্যাশাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে।

মিয়ানমারের অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চীনের সম্পৃক্ততা এবং জান্তা সরকারের সাথে চীন সরকারের সুসম্পর্ক থাকার কারণে ধারণা করা যায় যে, ভবিষ্যতের দিনগুলোয় বাংলাদেশে আরও ব্যাপক হারে চীনের বিনিয়োগকে মসৃণ রাখার স্বার্থে তারা এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রত্যাশাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে।

কয়েকবছর আগেও এনিয়ে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট কূটনৈতিক তৎপরতা দৃশ্যমান না হবার কারণে চীনের দিক থেকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে এনিয়ে খুব একটা কাজ করার সুযোগ ঘটেনি।

তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। একে এবারের সফরে দিয়ে পূণর্ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে চীন সরকারের ‘এক চীন নীতি’তে বাংলাদেশের অবস্থান নতুন করে দেশটিকে আশ্বস্ত করল এবং এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে চীনের দিক থেকে কোনো রকমের দ্বিধা থাকার কথা নয়।

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে চীনের দরকার নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত সহযোগী। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে যে পরিমাণ চীনা বিনিয়োগ ঘটেছে এবং তারা যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যাচ্ছে, এর ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে চীনের কোম্পানিগুলোর আরও বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা তার সফরের শুরু করেন বোয়াও সামিট ফর এশিয়ায় যোগদানের মধ্য দিয়ে, যেখানে তিনি বিশেষভাবে কয়েকশ চীনের বিনিয়োগকারীর সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশকে কেন বিনিয়োগকারীরা তাদের গন্তব্য হিসেবে বেছে নেবেন—এ বিষয়ে তার যুক্তি তুলে ধরেন, যা অনেক বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে উৎসাহিত করে।

ধারণা করা যায়, আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চীনের বিনিয়োগ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এবছর বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এর প্রাক্কালে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও একটু ঝালাই করার বাইরেও এটি কীভাবে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা চীনের দিক থেকেও অন্যতম প্রত্যাশা। আর তাই চীনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বিশেষ বিমান পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সেখানে নেওয়া হয়েছে, যা একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

ইতিপূর্বে চীনের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তারা ব্যক্তি ড. ইউনুসের অনেক পরামর্শকে সাদরে গ্রহণ করেছে। সেই ড. ইউনুস এখন বাংলাদেশের সরকার প্রধান এবং একজন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ। চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কীভাবে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবেন, এ বিষয়ে দুই দেশ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

ড. ফরিদুল আলম ।। অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।