খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

দিবস কেন্দ্রিক নারী ও নারীর জন্য দিবস

ওয়ারেছা খানম প্রীতি প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
দিবস কেন্দ্রিক নারী ও নারীর জন্য দিবস

নারী একটা অবয়ব। সেই অবয়বকে নানাভাবে শেইপআপ করার প্রচেষ্টা চলে। যেহেতু সেই অবয়ব নিয়ে নানা মুনির নানা মত তাই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিশ্ব খুবই উদ্বিগ্ন। বিশ্ব আসলে কী? কারা প্রতিনিধিত্ব করে? পুরুষ জাতি তাইতো!

বিশ্ব নিজে আসলে পুরুষ। পুরুষতান্ত্রিক বিশ্বে বাস করা নারী খুবই অপ্রাসঙ্গিক অধিকার চর্চা করে থাকে। অর্থাৎ যেটুকু তাকে দেওয়া হয় সেটুকুই তার অধিকার। প্রতিবছরই নারী দিবসে ভিন্ন ভিন্ন থিমের মাধ্যমে নারীকে একধাপ ওপরে ওঠানোর প্রচেষ্টা করা হয়। যেহেতু সবাই খুবই উদ্বিগ্ন তাই তাদের প্রচেষ্টাকে বাহবাও দেওয়া যায়।

এভাবে বছর যায়, পরের বছর আরেকটা থিম আসে, এভাবেই থিমের ওপর থিম আসে। বিশ্বাস করতে চাই থিম বিষয়টার বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের দায়িত্ব নিশ্চয় কারো ওপরে আছে। অথবা হয়তো এটা শুধুই দিবসকেন্দ্রিক কার্যক্রম। পৃথিবীর চলমান ঔদ্ধত্যের সামনে নারীর অবস্থান স্বীকার করে নেওয়া ছাড়া আমাদের উপায়ও নেই।

২০২৪ সালের থিম ছিল নারীর ওপরে বিনিয়োগ করো। খুবই ওভাররেটেড থিম। তারপরেও ‘দিবস রজনী, আমি যেন কার    আশায় আশায় থাকি।’ আমি আসলে দিবসের আশাতেই থাকি। অন্তত ভালো কিছু বাক্য পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার মূল্য আসলে অনেক। আশা রাখি আরও কয়েক দশক পরে হলেও ইথারে বাক্যগুলো ভাসবে এবং যেটা ভবিষ্যৎ বিশ্ব তুড়ি মেরে উড়িয়ে না দিয়ে কিছুটা আদর আপ্যায়ন করবে।

একটু মনে করিয়ে দেই, এই যে ২০২৪ সালে নারী দিবসে সারা পৃথিবীকে জানানো হলো নারীর ওপরে বিনিয়োগ করো, তো সেটা কতখানি করা হলো! সব রকমের ব্যস্ততার রাশ টেনে আবার তো সেই নতুন বছর এসে গেল! সেইসাথে আবার নতুন করে সম্ভাবনাময় কিছু বাক্যরাশি।

সম্ভাবনার বিশ্বে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা অর্থাৎ সমাজের প্রতিটা স্তরে নারীর সম্মান ও অধিকার নিশ্চিত করা। কর্মস্থল ও সমাজে লিঙ্গসমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। নারীর ক্ষমতায়ন অর্থাৎ শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে নারীর স্বনির্ভরতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সেইসাথে কর্মসংস্থান, বেতন বৈষম্য ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য হ্রাস করা।

ভীষণ সোজাসাপ্টা শব্দাবলী অথচ শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে যাচ্ছে এই অংক মেলাতে। আমাদের পরিসংখ্যান খাত খুবই দুর্বল ন হয় মানুষ হিসেবে নারীর প্রতিদিনকার জার্নি যেটা মূলত বিশ্বের সব পুরুষের বিশ্বাস তাদের সহযোগিতা প্রবণতার কল্যাণেই নারী তার সব সুবিধা পাচ্ছে এবং খেয়ে পড়ে বেঁচে বর্তে আছে। তো প্রতিবছরের সেই প্রাপ্তির অগ্রগতি কিংবা অবনতির একটা পরিষ্কার চিত্র আমাদের কাছে থাকা উচিত ছিল। খুবই আফসোসের বিষয় তা আসলে নেই।

নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দুই দশকে বেড়েছে। সেইসাথে নারীর ক্যারিয়ার বিস্ময়করভাবে বহুমুখী হয়েছে। চাকরির পাশাপাশি নারী স্বাধীনভাবে ব্যবসা করছে। এটা ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন এবং নারীর অর্থনৈতিক অগ্রগতি।

তবে কিছুক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবর্তন এসেছে। হয়তো ক্রমাগত বৈশ্বিক চেষ্টার ফলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। আস্তে আস্তে পরিবার সচেতন হয়েছে, এরপর সমাজ। নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দুই দশকে বেড়েছে। সেইসাথে নারীর ক্যারিয়ার বিস্ময়করভাবে বহুমুখী হয়েছে। চাকরির পাশাপাশি নারী স্বাধীনভাবে ব্যবসা করছে। এটা ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন এবং নারীর অর্থনৈতিক অগ্রগতি।

আমরা শুনে শুনে এবং জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছি নারীর জন্য স্কোপ তৈরি করে দেওয়া হয়। নইলে নারীর জন্য কাজ করা সহজ না। যদি কখনো সুযোগ হয় একজন ক্যারিয়ারে সফল নারীর সাথে ৩০ মিনিট গল্প করবেন। ১০ মিনিটের মাথায় সেই নারীই আপনাকে জানাবে তার স্বামী অনেক সাপোর্টিভ। স্বামী তাকে কাজ করার স্বাধীনতা দিয়েছে বলে তিনি কাজ করে যেতে পারছেন। এই হলো অবস্থা!

সেই জায়গায় নারীরা এখন ব্যবসা করছে ভাবা যায়! এবং সেটা এক দুইজন না লাখে লাখে নারী! নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। ব্যবসায় লাভ লোকসান ডিল করছে। কিছুক্ষেত্রে যে পরিবারের হস্তক্ষেপ নেই সেটা অস্বীকার করা যাবে না তবে বেশিরভাগ নারীরা নিজেরাই নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছে।

কর্মসংস্থান কিংবা ক্ষমতায়নের জায়গা থেকে আমি নারীদের বিজনেস সেক্টরকে সমাদর করছি কারণ অনেক বেশি সম্ভাবনা এই সেক্টরে। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে এই সেক্টরে কমপিট করতে হয় না বলে প্রান্তিক নারীদের জন্য এটা সুখবর। তবে ব্যবসা পরিচালনা করতে বেসিক কিছু লজিস্টিকস সাপোর্ট দরকার হয় যেটা দেশের সরকার চাইলেই সেটেল করা সম্ভব। মোদ্দাকথা হলো এই বিশ্বায়নের যুগে নারীর জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি চাই করে করে গলা ফাটানোর দিন শেষ হলো বলা যায়। নারী যদি এসময়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হয় তবে সেটা তার নিজের ব্যর্থতা।

‘এক কাপ চা বানাই স্বামীর জন্য’ ভাইরাল একটা ভিডিও। অনেকেই শুনে থাকবেন যেহেতু ভাইরাল ভিডিও নিয়ে প্রচুর ট্রোল করা হয়। প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাসকারী এই নারী একজন টিকটকার কিংবা ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তার অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা সে নিজেই ব্যবস্থা করে নিয়েছে। তার প্রতিটা ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ। তার সম্পদ একটা মোবাইল, সেই মোবাইলে কয়েক জিবি ইন্টারনেট এবং ভান্ডারে যা আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো আউলাবাউলা কন্টেন্ট। যত ভিউ তত উপার্জন!

অর্থাৎ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কঠিন কিছু না। নারীর জন্য কঠিন জায়গা হলো তার প্রতি পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। এমন দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বহু ফ্যাক্টর দায়ী তবে কিছু ফ্যাক্টর এমনই কঠিন যে সেখানে হাত দেওয়া যায় না। যেহেতু হাত দেওয়া যায় না তাই নারী বঞ্চিত হওয়ার ইতিহাস, অবমাননার ইতিহাস, নিগৃহের ইতিহাস হাজার বছর ধরে চলমান।

কর্মসংস্থান কিংবা ক্ষমতায়নের জায়গা থেকে আমি নারীদের বিজনেস সেক্টরকে সমাদর করছি কারণ অনেক বেশি সম্ভাবনা এই সেক্টরে।

নারী দিবসকে সামনে রেখে নারীর সমঅধিকার নিয়ে যত কথাই বলি না কেন নারীর ঘর যদি সেই অধিকার নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে নারী দিবসের থিম চিবিয়ে খেয়েও সেই অধিকার নিশ্চিত হবে না। তো বাধাটা আসলে কোথায়? সেই বাধা কীভাবে অতিক্রম করা যায় সেখানে ফোকাস করতে হবে।

যতদিন নারীর অধিকার আরেকজন ঠিক করে দেবে, যতদিন নারীর লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতান্তর থাকবে ততদিন বাধাকে অতিক্রম করা যাবে না। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে নারীর জন্য ইউনিভার্সাল একটা ধারণা তৈরি হোক। নারীর সুদৃঢ় রাজনৈতিক অবস্থানই পারে নারীকে মুক্তি দিতে। যদিও বিগত সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমাদের অভিজ্ঞতা খারাপ।

রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ থাকলেও তখনো তাদের মূল্যায়ন ছিল না, এখনো নেই। সীমিত পরিসরে না, রাজনীতিতে নারীর সার্বিক অংশগ্রহণ দরকার। রাজনীতিতে নারীর জন্য প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণের পথ তৈরি হোক। আর সেই পথ ধরে নারীর প্রতি সব রকমের বিদ্বেষ, সহিংসতা, বঞ্চনা আর অবমাননার পথ রুদ্ধ হোক। নারী দিবসে এটাই প্রত্যাশা। ‘শুধু যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা’ অবস্থায় বছরের পর বছর পার না করে নারী দিবস এবার একটু সাবালিকা হোক।

ওয়ারেছা খানম প্রীতি ।। প্রেসিডেন্ট, হার ই-ট্রেড

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।