বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ আ’লীগের ১৬৬ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬৬ জনের নামে বগুড়ায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ জনকে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি)) রাতে বগুড়া সদর থানায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে এ মামলা করেন। রফিকুল ইসলাম গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা এলাকার টুল্লু ফকিরের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি)) রাতে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুর রহমান দুলু, রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, মাহফুজুল ইসলাম রাজ, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছোহরাব হোসেন ছান্নু, আনোয়ার হোসেন রানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়, আল রাজি জুয়েল, মাশরাফি হিরো, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, সাবেক মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, চেয়ারম্যান আবু জাফর, সুইপার সোহেল, ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, নাছিমুল বারী নাছিম, জুলকার নাইন, ফিরোজ আহমেদ রিজু, বিউটি বেগম, আমিনুল ইসলাম দুদু, রেজ্জাকুল ইসলাম রিজু, হোসাইন শরিফ সঞ্চয়, এস এম রুপম, ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম শহিদ, বেলাল গোসেন, আব্দুল গফুর হাজী, ইউপি চেয়ারম্যান এসকেন্দার আলী শাহানা প্রমুখ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়,গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনাসহ ৫ নম্বর পর্যন্ত এবং ২৭-২৯ নম্বর আসামিদের হুকুম ও নির্দেশে ৬-৭ নং আসামির নেতৃত্বে বাকি আসামিরা আন্দোলনের উপর ককটেল নিক্ষেপ, গুলি বর্ষণ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে বাদীর ছেলের ডান পাশের কোমরে নিচের উরুতে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাদী তাঁর ছেলের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব করেছে বলেও উল্লেখ করেন। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, মামলার তথ্য যাচাই বাছাই করে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন