খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

গাড়ি বিক্রির পাঁয়তারা

এনায়েত উল্লাহর ব্যাংকে ১২৬ কোটি টাকা, ২৩৫ গাড়ির খোঁজ

এফ এম আবদুর রহমান মাসুম প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ণ
এনায়েত উল্লাহর ব্যাংকে ১২৬ কোটি টাকা, ২৩৫ গাড়ির খোঁজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ৪০টি ব্যাংক হিসাবে ১২৫ কোটি ৭২ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ টাকা জমা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে ২৩৫টি বাসের দালিলিক প্রমাণ মিলেছে। যেগুলো গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা গেছে।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন বিতর্কিত এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি পরিবহন খাতের মাফিয়া হিসেবে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি। ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। টানা ১৫ বছর দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক তার দখলে থাকলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রয়েছেন পলাতক। সড়কের একচ্ছত্র এ সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন বিতর্কিত এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি পরিবহন খাতের মাফিয়া হিসেবে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি। ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। টানা ১৫ বছর দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক তার দখলে থাকলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রয়েছেন পলাতক। সড়কের একচ্ছত্র এ সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে

এমন অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ৪০টি ব্যাংক হিসাবে ১২৫ কোটি ৭২ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ টাকা জমা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যার অধিকাংশই তার ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসাব বলে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।

dhakapost
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন বিতর্কিত এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ/ ফাইল ছবি

এ ছাড়া এনায়েত উল্লাহর নামে ৭০টি, স্ত্রী নার্গিস সামসাদের নামে ১০টি, মেয়ে চাশমে জাহান নিশির নামের তিনটি এবং এনা ট্রান্সপোর্ট নামের ১৫২টি পরিবহনসহ মোট ২৩৫টি বাসের মালিকানার দালিলিক প্রমাণ মিলেছে। যেগুলো আড়ালে থেকে বিক্রি করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলেও দুদকের গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে দুদকের হাতে বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য আসতে শুরু করে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত বর্তমানে দুদকের হাতে রয়েছে। ইতোমধ্যে পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি খাতায় তিনি পলাতক রয়েছেন।

‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, এনায়েত উল্লাহ গং তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন এবং তাদের মালিকানায় থাকা গাড়িগুলো বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ কারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দুদক থেকে হয়ত শিগগিরই তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা হবে।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘অনুসন্ধান যেহেতু শুরু হয়েছে, দুদক আইন ও বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুসন্ধান টিম কাজ করছে। তাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেব।’

আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, এনায়েত উল্লাহ গং তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন এবং তাদের মালিকানায় থাকা গাড়িগুলো বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ কারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দুদক থেকে হয়ত শিগগিরই তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা হবেদুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

দুদক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া এবং অর্থ পাচারের অভিযোগের বিপরীতে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি পার পেয়ে যান। যদিও দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা মেলে। যে কারণে ২০২১ সালের ১৪ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক।

dhakapost
এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মোট ২৩৫টি বাসের মালিকানার দালিলিক প্রমাণ মিলেছে। যেগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে / ফাইল ছবি

ওই বছরের অক্টোবরে সম্পদের হিসাব জমা দেন এনায়েত উল্লাহ। যেখানে তিনি ২১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পদ অর্জনের উৎস হিসেবে এনা ট্রান্সপোর্ট (প্রা.) লিমিটেড, সোলার এন্টারপ্রাইজ, এনা শিপিং, এনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির নাম উল্লেখ করেন। এবার দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দফা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যাংক হিসাবে যত টাকা

সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ৪০টি ব্যাংক হিসাবে ১২৫ কোটি ৭২ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ টাকা জমার তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বিএসএমএমইউ শাখায় তিন কোটি ৯২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ টাকা, সিটি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, একই ব্যাংকের পল্লবী শাখায় ১৪ লাখ সাত হাজার টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে ১০ কোটি ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা, একই হিসাবের বিপরীতে পাঁচ কোটি ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকার এফডিআর, ব্র্যাক ব্যাংকের তিন হিসাবে প্রায় ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকার এফডিআর, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে ৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার এফডিআর, সাউথইস্ট ব্যাংকে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং এনআরবিসি ব্যাংকে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা জমার তথ্য মিলেছে।

এ ছাড়া এনা মোটরস নামে ব্যাংক আল-ফালাহর ধানমন্ডি শাখায় ২১ কোটি ২৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, একই প্রতিষ্ঠানের নামে অপর হিসাবে ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, একই ব্যাংকের আরেক হিসাবে সাত কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা এবং এনা এন্টারপ্রাইজ নামে ব্যাংক আল ফালাহর ধানমন্ডি শাখায় দুই কোটি ৪৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা থাকার তথ্য মিলেছে।

এদিকে, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয় ও মেয়ে চাশমে জাহান নিশির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম এ আবেদন করেন।

অনুসন্ধান যেহেতু শুরু হয়েছে, দুদক আইন ও বিধি অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুসন্ধান টিম কাজ করছে। তাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেবমো. আক্তার হোসেন, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ), দুদক  

দুদকের আবেদনে বলা হয়, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে দৈনিক এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ ছাড়া তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ আয়ে কৃষিজমি, ফ্ল্যাট, প্লট ক্রয়সহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাদের নামে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলেও জানা গেছে। এখন তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

dhakapost
খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ৪০টি ব্যাংক হিসাবে ১২৫ কোটি ৭২ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ টাকা জমা হওয়ার তথ্য পেয়েছে দুদক / ফাইল ছবি

এনায়েত উল্লাহর যত সম্পদ

এর আগে দুদকে জমা দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে এনায়েত উল্লাহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব দেন। তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর মিরপুরে ৮.২৫ বিঘা জমিতে ছয়তলা বাড়ি, মিরপুরের মনিপুর পাড়ায় ৮ শতাংশ জমিতে ছয়তলা বাড়ি; ধানমন্ডির ১১ নম্বর রোডেরে ৬২ নম্বর বাড়ির ৪/এ নম্বরে তিন হাজার ৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, বসুন্ধরা সিটিতে ১৫১ বর্গফুটের একটি দোকান, দক্ষিণখানে দুই জায়গায় যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ ও ১০ শতাংশ জমি; কেরানীগঞ্জে ৪০ কাঠা ও রূপগঞ্জে ১০ কাঠা জমি। এ ছাড়া গাজীপুরের দনুয়ায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার জমি এবং ফেনীতে ১২ শতাংশ জমি থাকার তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।

২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া এবং অর্থ পাচারের অভিযোগের বিপরীতে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি পার পেয়ে যান। যদিও দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা মেলে। যে কারণে ২০২১ সালের ১৪ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় দুদক

জমা দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে এনায়েত উল্লাহ এনা ট্রান্সপোর্ট (প্রা.) লিমিটেডের নামে ৮০টি বাসের মালিকানার তথ্য দেন। তবে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর ও আশপাশে চলাচলকারী তানজিল পরিবহন, বসুমতি পরিবহন, সোলার এন্টারপ্রাইজ, এনা শিপিং ও এনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে বড় অঙ্কের শেয়ার রয়েছে তার।

dhakapost
দুদক বলছে, শিগগিরই এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা হবে / ফাইল ছবি

অন্যদিকে, স্ত্রী নার্গিস সামসাদের নামে রাজধানীর উত্তরায় তিন কাঠার প্লট, ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট, ছেলে রিদওয়ানুল আশিকের নামে রাজধানী গুলশানের ১২৯ নম্বর রোডের ২৪ নম্বর বাড়িতে তিন হাজার ২০০ বর্গফুটের ৪/এ নম্বর ফ্ল্যাট, মিরপুরের বেড়িবাঁধে ১০৯ শতাংশ জমি, উত্তরায় পাঁচ কাঠার একটি প্লটের তথ্য পাওয়া গেছে। মেয়ে চাশমে জাহানের নামে গুলশানের ১২৯ নম্বর রোডের ২৪ নম্বর বাড়িতে তিন হাজার ২০০ বর্গফুটের ৫/এ নম্বর ফ্ল্যাট এবং বাড্ডার কাঁঠালদিয়ায় পাঁচ কাঠা জমি রয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র- ঢাকা পোস্ট

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।