খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েছে বিএনপি

ইয়াহিয়া নয়ন প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েছে বিএনপি

২৮ নভেম্বর, একটা সংশয় ছিল এই দিনটি ঘিরে। বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু আমরা দেখলাম অশান্তি, আগুনে সন্ত্রাস। একজন পুলিশ সদস্য খুন হয়েছেন, অনেকে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। সাংবাদিক হত্যার চেষ্টা হয়েছে, অনেক সাংবাদিক জখম হয়েছেন। ইসরায়েল যেমন হাসপাতালকেও ছাড়েনি, তেমনি বিএনপি হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, এ্যম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়ি ও বিচারপতিদের কোয়ার্টারে হামলা করেছে, অডিট ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে, পুলিশ বক্স, পুলিশের গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। আর সবদোষ সরকারকে দিয়েছে, তারপর হরতালের ডাক দিয়েছে।

এক কথায়, রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েছে বিএনপি। সেটা হয়েছে এই সহিংস আচরণের জন্য। বরাবরের মতো আরও একবার আন্দোলন প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি নেতৃত্ব। অনেক উচ্চাশা তৈরি করে শেষ পর্যন্ত সহিংসতা করে, পুলিশ হত্যা করে, সাংবাদিক পিটিয়ে, গাড়িতে আগুন দিয়ে এবং হাসপাতাল পুড়িয়ে বিএনপি মূলত নিজেকে আরও কোণঠাসা করেছে। অথচ একইদিন একই সময় সহিংসতায় পারদর্শী জামায়াতে ইসলামীও সমাবেশ করেছে। কিন্তু সেই সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তাদের আচরণ ছিল অহিংস। বরং বলতে গেলে সেদিন বিএনপি রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

২০১৪ সালে পেট্রোলবোমা হামলার মধ্য দিয়ে এ দেশে প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারার যে নজির দলটি সৃষ্টি করেছিল, এবার সেদিকে নতুন করে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সাধারণত সাংবাদিকরা সরকারি দল, সরকারি কর্তৃপক্ষসহ প্রভাবশালীদের আক্রমণের শিকার হন, এবার হয়েছেন বিরোধীপক্ষ দ্বারা। যাদের সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিল, তারাই পিটিয়ে আহত করেছে, চেস্টা করেছে হত্যা করতে। একটা বড় কাজ হলো পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করা। এ কাজটি সেই সময়েও হয়েছে।

পুলিশের গাড়ি, পুলিশ বক্স সবই পুড়েছে হিংসার আগুনে। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সরকারি স্থাপনায় হামলা এ দেশে হয়েছে অতীতেও। কিন্তু কখনো হাসপাতালে হামলা দেখেনি এ দেশের মানুষ। চরম সহিংস পরিস্থিতিতেও অ্যাম্বুলেন্সকে ছাড় দেওয়ার সংস্কৃতি বহু পুরোনো। বিএনপি এবার অ্যাম্বুলেন্সও পুড়িয়েছে। এরশাদ জামানায় বা তারও আগে হরতালে সাংবাদিকদের গাড়ি আক্রমণের শিকার হয়েছে। কিন্তু একদম টার্গেট করে বিএনপিকর্মীরা যেভাবে সংবাদিকদের মেরেছে, সেটা অতীতে দেখা যায়নি। সাধারণত এসব ঝামেলা হয় সরকারি দলের সঙ্গে।

বিরোধী দলের কর্মসূচির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বিরোধী দলের হাতেই সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন। বিএনপিকর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা করেছে, হামলা করেছে বিচারপতিদের কোয়ার্টারেও। সারা জীবন শত শত মিছিল গেছে এ মন্ত্রীপাড়া দিয়ে, কখনো একটা ঢিলও কেউ ছোড়েনি। বিএনপি এবার সেটাও করেছে। বাসভবনের গেট ভেঙে বাড়ির কম্পাউন্ডেও দলের কর্মীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এসবই হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব করে কার লাভ হয়েছে?

জানুয়ারীতে নির্বাচন। বিএনপি এখন চূড়ান্ত আন্দোলন করছে। কিন্তু এটি যতটা না আন্দোলন, তার চেয়ে বেশি এক হিংসাশ্রয়ী লড়াই। সঙ্গে আছে আরও ৩০টি দল। আমরা বুঝতে পারছি যে, সামনের দিনগুলোতে আরও সংঘাত ও হিংসা অনিবার্য। দলমত নির্বিশেষে সবার উচিত গণতন্ত্রের আওয়াজ তোলা। কিন্তু সহিংসতার এমন নজির স্থাপন করে কি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়? তাদের বিদেশী মোড়লরা কি এসব কাজে খুশি হচ্ছে?

২৮ অক্টোবর ঘিরে যা কিছু হয়েছে, এর ফলাফল বিএনপির বিরুদ্ধে গেছে। বিএনপিকে আরও চেপে ধরার সুযোগ পেয়েছে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যেই কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে। রোববার বিএনপির ডাকা হরতালের দিন সকালেই গ্রেপ্তার হয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বাসায় তল্লাশি ও অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘোষণা অনুযায়ী রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে আওয়ামী লীগ। ২৮ তারিখের মতো ২৯ তারিখেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বিএনপি জেলা পর্যায়ে এবং ঢাকায় বড় বড় সমাবেশ করেছে। কিন্তু আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বলতে যা বোঝায় সেটা দেখাতে পারেনি।

এর একটা বড় কারণ প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারের করা অবকাঠামোগত সুবিধা পেয়ে মানুষের ভেতর একটা উন্নয়ন স্পৃহা সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয়ত ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আন্দোলনের যে সহিংস রূপ মানুষ দেখেছিল, সেটা তাদের কাছে বারবার ফিরে আসে। ফলে একাত্ম না হয়ে সরে যায় তারা। এ কথা সত্যি যে, নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়া, জিনিসপত্রের চড়া দামের কারণে জনমনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ আছে। কিন্তু মানুষ এটাও জানে যে, সেটার বিকল্প বিএনপি নয়। তাই সাধারণ জনগণ এ ধরনের আন্দোলনে সমর্থন প্রদানের পরিবর্তে সতর্ক অবস্থানে থাকছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফার দাবি নিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে। এই ২৮ অক্টোবর ছিল সে পথের সবচেয়ে আলোচিত কর্মসূচি। বিএনপিকে চাঙ্গা রেখেছিল মার্কিন ভিসা নীতি, ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের অতি সক্রিয়তা। পুলিশ হত্যাসহ সামগ্রিক সহিংসতা উল্টো বিএনপিকেই ভিসা নীতির আওতায় বড় করে নিয়ে এসেছে।

মার্কিন সমর্থন দলটিকে কতটা বিভ্রান্ত করেছে, সেটা প্রমাণ পাওয়া গেল এক ভুয়া মার্কিন নাগরিককে নিয়ে দলের নেতাদের সংবাদ সম্মেলন। দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিয়ান আরাফি নামে এক ব্যক্তি। তার পাশে দেখা যায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং সাবেক জেনারেল সোহরাওয়ার্দীকে।

অনেক বছর আগে এক হরতালের সময় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। তার সারা শরীরে রক্তমাখা ছিল এবং রক্ত ঝরছিল। এত রক্ত দেখে অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন, পরে জানা যায় তিনি সারা গায়ে গরুর রক্ত মেখেছিলেন। সেই সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা বলে মিয়ান আরাফি নামে একজনকে হাজির করেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সংবাদ সম্মেলনও করেন। কিন্তু মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়, এ লোক বাইডেনের উপদেষ্টা তো নয়ই, মার্কিন প্রশাসনেরও কেউ নন, তাকে কেউ চেনে না। পুরো বিষয়টি নিয়েই হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

দল হিসেবে বিএনপি হাসির খোরাক জুগিয়েছে। আরেকটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে যে, দলটির কর্মীদের মধ্যে প্রতিরোধের সাহস ও সক্ষমতা কম। পুলিশ মারমুখী হওয়ার পর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে তারা গুটিয়ে গেছে। এমন একটি ব্যর্থ আন্দোলনের পর বিএনপিকে নতুন করে ভাবতে হবে। সরকারকে চাপে ফেলার প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দাবির মুখে বর্তমান সরকার পদত্যাগ করবে, এ ভাবনাটা ছাড়তে হবে। সব ছেড়ে বসতে হবে সংলাপে, আসতে হবে আপোষে। এর কোনো বিকল্প নেই।

 

লেখক : সাংবাদিক।

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।