খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন, ১৪৩১

রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েছে বিএনপি

ইয়াহিয়া নয়ন প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ
রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েছে বিএনপি

২৮ নভেম্বর, একটা সংশয় ছিল এই দিনটি ঘিরে। বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু আমরা দেখলাম অশান্তি, আগুনে সন্ত্রাস। একজন পুলিশ সদস্য খুন হয়েছেন, অনেকে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। সাংবাদিক হত্যার চেষ্টা হয়েছে, অনেক সাংবাদিক জখম হয়েছেন। ইসরায়েল যেমন হাসপাতালকেও ছাড়েনি, তেমনি বিএনপি হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, এ্যম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়ি ও বিচারপতিদের কোয়ার্টারে হামলা করেছে, অডিট ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে, পুলিশ বক্স, পুলিশের গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। আর সবদোষ সরকারকে দিয়েছে, তারপর হরতালের ডাক দিয়েছে।

এক কথায়, রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়েছে বিএনপি। সেটা হয়েছে এই সহিংস আচরণের জন্য। বরাবরের মতো আরও একবার আন্দোলন প্রত্যাশিত ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি নেতৃত্ব। অনেক উচ্চাশা তৈরি করে শেষ পর্যন্ত সহিংসতা করে, পুলিশ হত্যা করে, সাংবাদিক পিটিয়ে, গাড়িতে আগুন দিয়ে এবং হাসপাতাল পুড়িয়ে বিএনপি মূলত নিজেকে আরও কোণঠাসা করেছে। অথচ একইদিন একই সময় সহিংসতায় পারদর্শী জামায়াতে ইসলামীও সমাবেশ করেছে। কিন্তু সেই সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তাদের আচরণ ছিল অহিংস। বরং বলতে গেলে সেদিন বিএনপি রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

২০১৪ সালে পেট্রোলবোমা হামলার মধ্য দিয়ে এ দেশে প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারার যে নজির দলটি সৃষ্টি করেছিল, এবার সেদিকে নতুন করে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সাধারণত সাংবাদিকরা সরকারি দল, সরকারি কর্তৃপক্ষসহ প্রভাবশালীদের আক্রমণের শিকার হন, এবার হয়েছেন বিরোধীপক্ষ দ্বারা। যাদের সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিল, তারাই পিটিয়ে আহত করেছে, চেস্টা করেছে হত্যা করতে। একটা বড় কাজ হলো পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করা। এ কাজটি সেই সময়েও হয়েছে।

পুলিশের গাড়ি, পুলিশ বক্স সবই পুড়েছে হিংসার আগুনে। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সরকারি স্থাপনায় হামলা এ দেশে হয়েছে অতীতেও। কিন্তু কখনো হাসপাতালে হামলা দেখেনি এ দেশের মানুষ। চরম সহিংস পরিস্থিতিতেও অ্যাম্বুলেন্সকে ছাড় দেওয়ার সংস্কৃতি বহু পুরোনো। বিএনপি এবার অ্যাম্বুলেন্সও পুড়িয়েছে। এরশাদ জামানায় বা তারও আগে হরতালে সাংবাদিকদের গাড়ি আক্রমণের শিকার হয়েছে। কিন্তু একদম টার্গেট করে বিএনপিকর্মীরা যেভাবে সংবাদিকদের মেরেছে, সেটা অতীতে দেখা যায়নি। সাধারণত এসব ঝামেলা হয় সরকারি দলের সঙ্গে।

বিরোধী দলের কর্মসূচির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বিরোধী দলের হাতেই সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন। বিএনপিকর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা করেছে, হামলা করেছে বিচারপতিদের কোয়ার্টারেও। সারা জীবন শত শত মিছিল গেছে এ মন্ত্রীপাড়া দিয়ে, কখনো একটা ঢিলও কেউ ছোড়েনি। বিএনপি এবার সেটাও করেছে। বাসভবনের গেট ভেঙে বাড়ির কম্পাউন্ডেও দলের কর্মীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এসবই হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব করে কার লাভ হয়েছে?

জানুয়ারীতে নির্বাচন। বিএনপি এখন চূড়ান্ত আন্দোলন করছে। কিন্তু এটি যতটা না আন্দোলন, তার চেয়ে বেশি এক হিংসাশ্রয়ী লড়াই। সঙ্গে আছে আরও ৩০টি দল। আমরা বুঝতে পারছি যে, সামনের দিনগুলোতে আরও সংঘাত ও হিংসা অনিবার্য। দলমত নির্বিশেষে সবার উচিত গণতন্ত্রের আওয়াজ তোলা। কিন্তু সহিংসতার এমন নজির স্থাপন করে কি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়? তাদের বিদেশী মোড়লরা কি এসব কাজে খুশি হচ্ছে?

২৮ অক্টোবর ঘিরে যা কিছু হয়েছে, এর ফলাফল বিএনপির বিরুদ্ধে গেছে। বিএনপিকে আরও চেপে ধরার সুযোগ পেয়েছে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যেই কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে। রোববার বিএনপির ডাকা হরতালের দিন সকালেই গ্রেপ্তার হয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বাসায় তল্লাশি ও অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘোষণা অনুযায়ী রাজপথ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে আওয়ামী লীগ। ২৮ তারিখের মতো ২৯ তারিখেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বিএনপি জেলা পর্যায়ে এবং ঢাকায় বড় বড় সমাবেশ করেছে। কিন্তু আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বলতে যা বোঝায় সেটা দেখাতে পারেনি।

এর একটা বড় কারণ প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারের করা অবকাঠামোগত সুবিধা পেয়ে মানুষের ভেতর একটা উন্নয়ন স্পৃহা সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয়ত ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আন্দোলনের যে সহিংস রূপ মানুষ দেখেছিল, সেটা তাদের কাছে বারবার ফিরে আসে। ফলে একাত্ম না হয়ে সরে যায় তারা। এ কথা সত্যি যে, নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়া, জিনিসপত্রের চড়া দামের কারণে জনমনে সরকারের প্রতি ক্ষোভ আছে। কিন্তু মানুষ এটাও জানে যে, সেটার বিকল্প বিএনপি নয়। তাই সাধারণ জনগণ এ ধরনের আন্দোলনে সমর্থন প্রদানের পরিবর্তে সতর্ক অবস্থানে থাকছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফার দাবি নিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে। এই ২৮ অক্টোবর ছিল সে পথের সবচেয়ে আলোচিত কর্মসূচি। বিএনপিকে চাঙ্গা রেখেছিল মার্কিন ভিসা নীতি, ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের অতি সক্রিয়তা। পুলিশ হত্যাসহ সামগ্রিক সহিংসতা উল্টো বিএনপিকেই ভিসা নীতির আওতায় বড় করে নিয়ে এসেছে।

মার্কিন সমর্থন দলটিকে কতটা বিভ্রান্ত করেছে, সেটা প্রমাণ পাওয়া গেল এক ভুয়া মার্কিন নাগরিককে নিয়ে দলের নেতাদের সংবাদ সম্মেলন। দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিয়ান আরাফি নামে এক ব্যক্তি। তার পাশে দেখা যায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং সাবেক জেনারেল সোহরাওয়ার্দীকে।

অনেক বছর আগে এক হরতালের সময় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। তার সারা শরীরে রক্তমাখা ছিল এবং রক্ত ঝরছিল। এত রক্ত দেখে অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন, পরে জানা যায় তিনি সারা গায়ে গরুর রক্ত মেখেছিলেন। সেই সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা বলে মিয়ান আরাফি নামে একজনকে হাজির করেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সংবাদ সম্মেলনও করেন। কিন্তু মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়, এ লোক বাইডেনের উপদেষ্টা তো নয়ই, মার্কিন প্রশাসনেরও কেউ নন, তাকে কেউ চেনে না। পুরো বিষয়টি নিয়েই হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

দল হিসেবে বিএনপি হাসির খোরাক জুগিয়েছে। আরেকটি বিষয় প্রমাণিত হয়েছে যে, দলটির কর্মীদের মধ্যে প্রতিরোধের সাহস ও সক্ষমতা কম। পুলিশ মারমুখী হওয়ার পর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে তারা গুটিয়ে গেছে। এমন একটি ব্যর্থ আন্দোলনের পর বিএনপিকে নতুন করে ভাবতে হবে। সরকারকে চাপে ফেলার প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দাবির মুখে বর্তমান সরকার পদত্যাগ করবে, এ ভাবনাটা ছাড়তে হবে। সব ছেড়ে বসতে হবে সংলাপে, আসতে হবে আপোষে। এর কোনো বিকল্প নেই।

 

লেখক : সাংবাদিক।

শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল কারার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি’র হারেজ উদ্দিন ও আবু শাহীন সানি, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই রনি উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, এম ইদ্রিস আলী সাকিদার, বাদশা আলম, নুরুল আজাদ, হাফিজার রহমান কাজল, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুকুল, নাসির উদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, মাসফিকুর রহমান মামুন, ইবনে সাউদ, রেজাউল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল আরমান রাজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায় জিল্লুর রহমান, ইউনুস আলী হলুদ, শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহান পুটু প্রমুখ।

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

জেলা প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. ইউনুস নবি রাজিব নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো. ইউনুস নবি রাজিব নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুন্দলপুর গ্রামের সেরাজ মুন্সীর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।

জানা যায়, ২০২০ সালে ভাগ্য পরিবর্তনে ওমানে পাড়ি জমান মো. ইউনুস নবি রাজিব। সেখানে বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেলের সঙ্গে বিদ্যুতের কাজ করতেন তিনি। তিনি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে সিড়িতে পড়ে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের ভাই আইয়ুব নবী সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা চার ভাই তিন বোন। আমার বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেল ও মো. ইউনুস নবি রাজিব ওমানে বিদ্যুতের কাজ করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে আমার মা বিবি তাহেরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। শোকে তিনি পাগলের মতো কথা বলছেন।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ৪ বছর আগে ওমান পাড়ি দেয় মো. ইউনুস নবি রাজিব। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন। মরদেহ দেশে আনতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।

গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

গাজায় শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে এক রাতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। স্থানীয় লোকজন এবং গাজার প্রশাসনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চালানো হয়েছে এই হামলা এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ নিহত এবং আহতদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে, তাদের ভিত্তিতে এই হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ধ্বংসস্তূপ এবং বালিতে অনেকের দেহ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এবং উদ্ধারকর্মীরা বাকি হতাহতদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছেন।

আল-মাওয়াসির বাসিন্দা মামুদ আল নিমস সিএনএনকে বলেন, “রাতের বেলা আমরা ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে জেগে উঠলাম এবং তারপরই চারদিক থেকে গুলির শব্দ শুনলাম। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না যে শরণার্থী এলাকার ঠিক কোথায় হামলা হয়েছিল এবং যারা ধ্বংসস্তূপ ও বালির নিচে চাপা পড়েছে, তাদের অবস্থান কোথায়। পুরো এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।”

আল মাওয়াসি শরণার্থী এলাকাটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নিকটবর্তী। হামলার পর নিহত এবং আহতদের খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হতাহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিশু— সব ধরনের এবং সব বয়সের মানুষ রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আল মাওয়াসিতে হামাসের অন্তত তিন জন জ্যেষ্ঠ নেতা আত্মগোপন করে আছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো তাদের কাছে। এই তিন জন হলেন হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের ড্রোন বিভাগের প্রধান সামের ইসমাইল কাদের আবু দাক্কা, ব্রিগেডের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা তাবেশ এবং জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা আয়মান মাবহৌ। এই কারণেই সেখানে হামরা চালানো হয়েছে।

তবে যাদের লক্ষ্য করে এই হামলা পরিচালিত হয়েছিল, তারা নিহত হয়েছেন কি না— বিবৃতিতে তা নিশ্চিত করেনি আইডিএফ।

সূত্র :আলজাজিরা, সিএনএন

"> ">
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ায় মাছ ধরার ৭ ট্রলার ডুবি ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আজ শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ এর জানাযা সম্পূর্ণ শেরপুরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানীতে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ৪ জন নিহত বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ খুন ০২ জন এই নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা লঞ্চঘাটের বাস কাউন্টার দখল দ্বন্দ্বে মুখোমুখি বিএনপির দুই গ্রুপ ‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’ কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: ২৫ দেশের ১৩০ শহরে বিক্ষোভ সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকেছে চীনা সৈন্যরা তিস্তা চুক্তি : বন্ধুত্ব না স্বার্থের সংঘাত? গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩, প্রাণহানি ৪১ হাজার ছুঁই ছুঁই আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয় ভেঙে ইউএস ওপেনে সিনারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, নেই বয়সসীমা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহেল বাঁচতে চায় বৈষম্যের শিকার হরিজন সম্প্রদায় নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বিএনপির অন্তর্কোন্দল খানসামায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আহত চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু জানা গেল ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ হুন্দাই সিএনজি-চালিত প্রাইভেটকার আনল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে যাদেরর কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের ৫ অনুরোধ