বীরগঞ্জে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ, শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আব্দুল বারিক ও মনিরুজ্জামান চৌধুরী উভয় পক্ষের জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদে বিজ্ঞ আদালতে মামলা ও আদালতের স্থিতিবস্থার আদেশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
বীরগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মৃত নুরুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিরোধপূর্ণ জমিতে নির্মাণকাজ শুরু করার সংবাদ পেয়ে সোমবার (২১ আগষ্ট -২০২৩) দুপুরে জমির মালিকানা দাবিদার মো.আব্দুল বারিক বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেন বাবু সাময়িকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে শ্রমিকদের স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন।
আব্দুল বারিক আরোও অভিযোগ করে জানান, বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর মৌজায় অবস্থিত নালিশী জমির এস,এ খতিয়ান নং২৩,দাগ নং১২১৮,শ্রেণী লা: জঙ্গল,২.৬৭ একর সম্পত্তির এস,এ রেকর্ড মালিক তমিজউদদীন পিতা:বাকাতুল্যার নিজ নামে চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত ও প্রচলিত আছে। এস, এ রেকর্ডীয় মালিক তমিজউদদীন গত ১০/৯/১৯৬৯ইং তারিখে সম্পাদিত ১১১৫৩নং দলিলমূলে নালিশী এস,এ ১২১৮ নং দাগে ০,৫০ একর জমি বরদা নন্দীর নিকট, এছাড়া নালিশী এস,এ ১২১৮ নং দাগে ০.৩৩ একর জমি নবিরুল হক চৌধুরী এর নিকট হস্তান্তর করেন।
এস,এ রেকর্ডীয় মালিক তমিজউদদীন মৃত্যুকালে দুই স্ত্রী সাহেলা বেওয়া (১ম)এবং মোছা:মোমেনা খাতুন (২য়)এর গর্ভের পাঁচজন সন্তান ওয়ারিশ হিসেবে রেখে যান। উল্লেখ্য যে,নাবালকের পক্ষে জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের শরণাপন্ন না হয়ে, অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে মো.আব্দুল বারিক ওরফে তোরাব আলী এর প্রাপ্য জমি বিমাতা সাহেলা বেওয়া ও বিমাতা বা সৎ ভাই লাল মোহাম্মদ নাবালকের পক্ষে জমি বিক্রয় করায় আদালতের দারগ্রস্ত হয়ে ৩০/২০১৩ নং বাটোয়ারা মামলা আনয়ন করা হয়।
অন্যদিকে মনিরুজ্জামান বিজ্ঞ আদালতে আপিল করলে তা খারিজ হয়ে যায়।পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেন নালিশী জমিতে বাদী-বিবাদী উভয়ই ভোগদখলে আছেন এবং মনিরুজ্জামান চৌধুরী দিং এর নামীয় নামজারি ৩ টি বাতিল হওয়ার কারনে নালিশী এস এ ১২১৮ নং দাগের জমি পূর্বের খতিয়ানে রেকর্ডের জন্য সুজালপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে আদেশ দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: কামাল হোসেন। অপরদিকে বিবাদীরা জমি থেকে দখলচ্যুত করার চেষ্টা করলে তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নালিশী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে উভয় পক্ষে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থিতিবস্থার আদেশ দেন আদালত।
কিন্তু গত ২১ আগষ্ট থেকে মনিরুজ্জামান আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে পেশিশক্তি ও অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে নির্মাণ কাজ চালালে বাঁধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকিসহ নানান ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে চলেছে। এ অবস্থায় আদালতের আদেশ মেনে এ জমিতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান আব্দুল বারিক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিবাদী মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আর আদালতের মামলা চলমান ও স্থিতিবস্থা রয়েছে সেই জমিতে আমি নির্মাণ কাজ করছি না।
আপনার মতামত লিখুন