খানসামায় গাজা চাষ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উপজেলা রোডস্থ বীরগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের বিএনপির কর্মী মো. নুর ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী। দীর্ঘ ১৯৯৪ সাল থেকে ৮নং ভোগনগর ইউনিয়ন কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু সত্যেরপথে লড়াই সহ বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক পেইজ/আইডি থেকে আমার নামে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমার মান-সম্মানহানি ঘটাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নজরে আসে বাংলাদেশ লেবার শ্রমিক লীগ/ফেডারেশন এর পেডে কবিরাজহাট এলাকার দোকানপাট, গোডাউন ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে এবং যানবাহনে মালামাল লোড-আনলোডের কার্যে কর্মরত সদস্য শ্রমিকদের দেখাশুনা করার জন্য কবিরাজহাট উপ-কার্যালয়ের উপ-কমিটির সভাপতি পদে আমাকে দেখানো হয়েছে। যেখানে আমার স্বাক্ষর সহ কারো অনুমোদিত স্বাক্ষর নেই। স্ব-জ্ঞানে ও সুস্থ্য মস্তিকে আমি বলছি, কোনদিন এই কমিটির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ মানুষের বিপদে সর্বদাই পাশে দাড়িয়েছি, যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে। শুধু আমি নই বরং আমার দলের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা আমার মনে হয় এটি একটি কু-চক্রিমহলের কাজ। এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানায় আইনানুকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতে ভারত যে পরাজয় বরণ করেছে তা দেশটি কখনোই ভুলতে পারবে না। এমনই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে প্রচলিত যুদ্ধ সক্ষমতায় পাকিস্তান পিছিয়ে নেই। এছাড়া একদিন কাশ্মির পাকিস্তানেরই অংশ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শেহবাজ।
শুক্রবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট ভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দেন। এই পদ দেশের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক মর্যাদা।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, তারা আজ সম্মান জানাতে একত্র হয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও সেইসব বীর সেনাদের, যারা ভারতের উসকানিমূলক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, “পুরো জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত।”
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করছি এবং সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসেবে তার হাতে ব্যাটন তুলে দিচ্ছি।”
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই পদোন্নতি উপলক্ষ্যে বলেন, “আজ পাকিস্তানের জন্য এক গর্বময় ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত”। তিনি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিক এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফকে শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “আপনারা আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন এক বিজয়ের দিকে, যেখানে এক অহংকারী ও আত্মতুষ্ট শত্রু তাদেরই গড়ে তোলা জালে আটকা পড়েছে।”
তার ভাষায়, “আমাদের সেনাবাহিনী শুধু সীমান্ত রক্ষা করেনি, বরং শত্রুর ভেতরেই হামলা চালিয়েছে এবং খুব অল্প সময়েই আগ্রাসনকারীকে পরাজিত করে শিক্ষা দিয়েছে।”
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে শহীদদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “এই যুদ্ধ ভারতের জন্য এমন এক পরাজয়, যা তারা কখনোই ভুলবে না।”
তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করতেন পাকিস্তান প্রচলিত যুদ্ধক্ষমতায় পিছিয়ে, কিন্তু এই যুদ্ধ তা ভুল প্রমাণ করেছে।
শেহবাজ আরও বলেন, “আমাদের ঐক্য, সাহস ও ঈমানই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে… ইনশাআল্লাহ, এমন এক দিন আসবে যখন কাশ্মির হবে পাকিস্তানেরই অংশ।”
ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের মালিকানাধীন লন্ডনের দুটি সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ পেয়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।
অর্থাৎ এখন এগুলো বিক্রি বা স্থানান্তর করা যাবে না। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের (এফটি) এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এসব সম্পদ অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল।
শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও তহবিল আত্মসাতের অভিযোগের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জব্দ হওয়া দুটি সম্পদের মালিক আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, যিনি বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের ছেলে। আর সালমান এফ রহমান শেখ হাসিনার বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন।
জব্দকৃত সম্পদের একটি হচ্ছে লন্ডনের অভিজাত এলাকা ১৭ গ্রসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, যা ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। অপরটি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসে অবস্থিত একটি বাড়ি, যা ২০১১ সালে ১.২ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়।
যুক্তরাজ্যের ইলেক্টোরাল রোলের তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা—যিনি যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের মা—কখনও কখনও গ্রেশাম গার্ডেনসের ওই বাড়িতে থাকতেন। তবে এখনো তিনি সেখানে থাকেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে: “আমরা নিশ্চিত করছি, লন্ডনের ১৭ গ্রসভেনর স্কয়ার এবং গ্রেশাম গার্ডেনসের দুটি সম্পদের ওপর ফ্রিজিং অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এটি একটি চলমান তদন্তের অংশ।”
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মো. আবদুল মোমেনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, সালমান এফ রহমান ও তার ছেলে আহমেদ রহমান দুজনেই দুর্নীতির তদন্তে সন্দেহভাজন।
আহমেদ রহমানের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন: “আমাদের মক্কেল দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করছেন যে তিনি কোনও বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যুক্তরাজ্যে যদি কোনও তদন্ত হয়, তিনি তাতে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।”
এতে আরও বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে এবং শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমরা আশা করি যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।”
এছাড়া শেখ রেহানা ও সালমান এফ রহমান — এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত — কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফিনান্সিয়াল টাইমস।
আপনার মতামত লিখুন