খুঁজুন
শুক্রবার, ২০শে জুন, ২০২৫, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২

মনোনয়ন দৌড়ে আছেন ২ ডজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩, ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
মনোনয়ন দৌড়ে আছেন ২ ডজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান অন্তত দুই ডজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক এসপি রয়েছেন। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় নেতাদের পাশ কাটিয়ে একই আসনে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী সাবেক দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, যেসব সরকারি কর্মকর্তা চাকরি থেকে কমপক্ষে তিন বছর আগে অবসরে গেছেন, কেবল তারাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এবার এই তিন বছরের বিধানও কমানোর চেষ্টা করেছিলেন একদল সরকারি কর্মকর্তা। যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হননি তারা।

তিন বছর আগে অবসরে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকে যেমন মনোনয়নের প্রত্যাশা করছেন, তেমনি তারও আগে অবসর নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারাও রয়েছেন সেই দৌড়ে। তাদের মধ্যে বর্তমান এমপি ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ ও সাবেক এসপি হাবিবুর রহমানও আছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া পুলিশের ৮৮ কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর গণভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তারা। তাদের মধ্যে ছিলেন ১৫ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ১৯ অতিরিক্ত আইজিপি, ২৪ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৩ অতিরিক্ত ডিআইজি, ১১ অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) এবং ১৫ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি)। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

শরীয়তপুর থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক আইজিপি শহীদুল

এ কে এম শহীদুল হকের জন্ম শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নরকলিকাতা গ্রামে। ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন তিনি। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অন্যতম প্রবর্তক শহীদুল হক। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে যোগদান করে ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকদের একজন তিনি।

তিনি বলেন, আমি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। নেত্রী যদি চান আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামব। রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে মনোনয়ন আদায় করেন, আমি তো সেটা পারি না। তবে শরীয়তপুরের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছেন। তারা আমাকে চান, বলেন চেষ্টা করেন। আমি চেষ্টা করছি। বাকিটা নেত্রীর ওপর।

তিনি বলেন, আমার এলাকায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন মানুষ আমাকে কীভাবে চাচ্ছেন। সেখানে অনেক গ্রুপিং আছে। আমি শরীয়তপুর-১ থেকে আগ্রহী। আমি এলাকার জন্য চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ কিছু করার। আমি মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। এটি ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগ থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে।

কিশোরগঞ্জ এমপি নূর মোহাম্মদের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কাহার আকন্দ

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন বর্তমান এমপি ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কাহার আকন্দ। নির্বাচনী প্রচারণা, এলাকায় জন-সম্পৃক্ততায় গিয়ে হামলার শিকারও হয়েছেন তিনি।

আবদুল কাহার আকন্দ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি)। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আলোচিত তিনি।

তিনি বলেন, আমার মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। এলাকায় খবর নেবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী নূর মোহাম্মদেরও খবর নেবেন। দলের সবাই জানে, যোগাযোগও আছে। আমি নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেই মাঠে নেমেছি। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে মাঠ চষে বেড়াচ্ছি। মাঠ গুছিয়েও এনেছি। এখন নেত্রীর চূড়ান্ত মনোনয়নের অপেক্ষায় আছি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া পুলিশের ৮৮ কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর গণভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তারা। তাদের মধ্যে ছিলেন ১৫ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ১৯ অতিরিক্ত আইজিপি, ২৪ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৩ অতিরিক্ত ডিআইজি, ১১ অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) এবং ১৫ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি)। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

অন্যদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এবং সাবেক সচিব নূর মোহাম্মদ কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ইতোমধ্যে সংসদে গেছেন। এবারও মনোনয়ন পেতে চান তিনি।

নূর মোহাম্মদ বলেন, আমার খবর পাবেন এলাকার মানুষের কাছ থেকে। আমার কথা আমি বললে তো ভালোই বলব। নিজের কথা কেউ খারাপ বলে না। দল চায় কি না সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে আমি আমার মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

জামালপুর থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ আসনে (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ)। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান।

২০১৯ সালের ৫ মে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক(প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান অবসরোত্তর ছুটিতে যান। মোখলেসুর রহমান ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস) ছাড়াও অপরাধ তদন্ত শাখার (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

dhakapost

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে ঘন ঘন যাতায়াত করছেন। গণসংযোগ করছেন এ দুই উপজেলাতেই। বর্তমান সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়।

জোটের কারণে গত নির্বাচনে বঞ্চিত সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আবদুর রহিমও মনোনয়ন দৌড়ে

বিএনপির আমলে চাকরি হারানো মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় কর্মরত সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুর রহিমও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

১৯৬৯ সালে গ্রাজুয়েশন লাভের পর আব্দুর রহিম নিজ এলাকা আঠারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরে এ কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জোটের কারণে গত নির্বাচনে বঞ্চিত সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আবদুর রহিম বলেন, গত নির্বাচনে আমি জনপ্রিয়তার জরিপে প্রথম ছিলাম। এরপরও জোটের কারণে বঞ্চিত হয়েছি। জোটের কারণে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও আমি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল থেকে এখনো কিছু জানায়নি। ৪-৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও এবার আমার পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রচার-প্রচারণায় আনুষ্ঠানিকভাবে নামিনি। মনোনয়ন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

এবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী বগুড়া আসনের তিনবারের এমপি সাবেক এসপি হাবিবর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির আমলে চাকরি হারানো সাবেক এসপি মো. হাবিবর রহমান। হাবিবর রহমান রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।

তিনি বলেন, চতুর্থ বারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশী। এলাকায় আমার অবস্থান ভালো। নতুন নতুন ভাবনা সৃষ্টি করে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে তৃণমূল থেকে কাজ শুরু করেছি। এবার মনোনয়ন পেলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারব।

প্রত্যাশা করলেও যেচে মনোনয়ন চাইবেন না সাবেক আইজিপি মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও গোদাগাড়ীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও না পেয়ে অভিমানী মতিউর রহমানের মন্তব্য, যেচে দলের মনোনয়ন চাই না। নেত্রী চাইলে নির্বাচন করব।

জানা গেছে, মতিউর রহমান স্কুল জীবনেই রাজনীতিতে আসেন। সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার সময় পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ছিলেন মতিউর রহমান। মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় বিএনপি সরকার। পরের বছরেই আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।

নির্বাচনে গেলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক আইজিপি এম  কাইয়ুম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের জন্য বিএনপির ফরম তুলে আলোচনায় আসেন আবদুল কাইয়ুম। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পুলিশের আইজির দায়িত্ব পালন করা এম এ কাইয়ুম ১৯৪৮ সালে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার পাখিমারা গ্রামে জন্ম নেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন কাইয়ুম। তিনি পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক, উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ডিএমপির কমিশনার এবং সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

এবারও তিনি নির্বাচনী আওয়াজে আছেন। জামালপুর-২ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনবেন। তবে আওয়ামী লীগ থেকে নয়, বিএনপি থেকে। যদি বিএনপি নির্বাচনে যায় তবেই।

সাতক্ষীরা আসন থেকে মনোনয়ন চান সাবেক এএসপি শেখ আতাউর রহমান

বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশের সাবেক সিনিয়র এএসপি শেখ আতাউর রহমান সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ ও ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা তিনি। চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বর্তমান সংসদ সদস্য জগলুল হায়দারের সঙ্গে।

dhakapost

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় কোন্দলে হেরে যাওয়া শেখ আতাউর রহমান বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এজন্য আমাকে বিএনপি আমলে জোরপূর্বক অবসরে পাঠানো হয়। বাংলা ভাইকে ধরার ক্ষেত্রে আমি ছিলাম। আমি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। উপজেলা নির্বাচনে কোন্দলের কারণে পারিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার কান্ডারি হতে চাই।

বরিশালে নৌকায় মনোনয়ন প্রত্যাশী মুজীবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার দেওয়া মাহবুব উদ্দিন

বরিশাল সদর উপজেলার আমানতগঞ্জের মাহবুব উদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য পেয়েছেন বীর বিক্রম খেতাব। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ১৯৭১ সালে ঝিনাইদহ মহকুমার পুলিশ প্রশাসক ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা শুরু করলে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে।

মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদান করা মাহবুব এলাকায় এসপি মাহবুব নামে পরিচিত। গত ঈদুল আজহার রাতে হঠাৎ করেই তিনি নিজের বাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করে আলোচনায় আসেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পুলিশের চাকরি হারানো মাহবুব উদ্দিন এবার নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি বলেন, নৌকার মনোনয়ন চাই। আমি কী করেছি, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক ছিল সবই নেত্রীর জানা। আগে চেষ্টা করিনি এবার করছি। এলাকায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন আমার অবস্থান।

যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

প্রদীপ রায় জিতু
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার তরুণ প্রজন্মের উপর। তারা শুধু স্বপ্ন দেখে না, গড়েও তোলে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশের তরুণদের চোখে স্বপ্নের দীপ্তি নেই, বুকেও নেই আশার আলো। হতাশা, বেকারত্ব, অনিশ্চয়তা এবং ভঙ্গুর নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভারে তারা দিশাহারা। প্রশ্ন একটাই এই দায় আসলে কার?

প্রথমেই কথা উঠতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে। এক সময়কার আদর্শিক, নৈতিক মূল্যবোধে গড়া শিক্ষাব্যবস্থা আজ রূপ নিয়েছে পরীক্ষা-নির্ভর, পুথিগত জ্ঞান আর অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাসের গন্ডিতে। যুগোপযোগী দক্ষতা, প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষা, কিংবা মানসিক বিকাশ এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় না বললেই চলে। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী যুবকও হতাশ হয়ে বলছে, ডিগ্রি দিয়ে পেট চলে না।

এই প্রজন্মের হতাশার আরেক বড় কারণ হলো ব্যাপক বেকারত্ব। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তরুণ উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরির বাজারে প্রবেশ করলেও, সেই তুলনায় চাকরির সংখ্যা যৎসামান্য। সরকারি চাকরি সীমিত, বেসরকারি চাকরিতে নেই চাকুরির নিশ্চয়তা। আবার যারা উদ্যোক্তা হতে চায়, তারা পাচ্ছে না সঠিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ কিংবা পুঁজি। ফলে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, আর বাকিরা থেকে যাচ্ছে হতাশায় জর্জরিত এক ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়ে।

তারপর আছে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়। তরুণদের মধ্যে যে রাজনৈতিক চেতনা একসময় জাতি গঠনের অনুপ্রেরণা জোগাত, আজ তা জায়গা করে নিয়েছে হিংসা, দলে দলে বিভাজন, এবং সস্তা লোভে চালিত কর্মসূচিতে। রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো আজ অনেক ক্ষেত্রে আদর্শচ্যুত, ক্ষমতাকেন্দ্রিক, আর গুণগত নেতৃত্ব তৈরিতে ব্যর্থ। একটি জাতি যদি তার তরুণদের নৈতিকভাবে গড়ে না তোলে, তাহলে তারা ভবিষ্যতের নয়, অন্ধকারের দায় হয়ে উঠবে।

একই সাথে নৈতিক অবক্ষয় এবং মূল্যবোধহীনতার বিষয়টিও গভীরভাবে লক্ষণীয়। সমাজে যখন দুর্নীতি পুরস্কৃত হয়, মেধা নয়; যখন সত্য বলার চেয়ে সুবিধাবাদীতায় লাভ বেশি তখন তরুণ সমাজও শিখে যায়, আদর্শে নয়, চালাকিতে টিকে থাকতে হয়। এতে স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়, আশা হারায়, দায়িত্ববোধ দুর্বল হয়।

বর্তমান সরকারসহ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো তরুণদের নিয়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। “ডিজিটাল বাংলাদেশ”, “উদ্যোক্তা উন্নয়ন”, “ই-লার্নিং” ইত্যাদি উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে অনেক তরুণই এর সুফল পায় না। বরং দেখা যায়, কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে এসব সুযোগ।

এমন এক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠছে, যেখানে তরুণদের কণ্ঠ রুদ্ধ, পথ সংকুচিত, স্বপ্ন অস্পষ্ট। তারা নিজের দেশ, সমাজ বা নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। কেউ কেউ অপরাধের দিকে ঝুঁকছে, কেউ মাদকের জালে আটকা পড়ছে, আবার কেউ বিদেশ গমনের দালালদের হাতে প্রতারিত হচ্ছে। যে বয়সে তারা উদ্ভাবন করবে, নেতৃত্ব দেবে সেই বয়সেই তারা হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের গহ্বরে।

তবে এই চিত্র পুরোপুরি নেতিবাচক নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও অনেক তরুণ স্বপ্ন দেখছে, নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে, প্রযুক্তিনির্ভর ক্যারিয়ার গড়ছে, স্বেচ্ছাসেবায় কাজ করছে, সামাজিক উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে পরিবারকে, সমাজকে, এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রকে।

তরুণদের হতাশার দায় কেবল তাদের নয়। এর দায় পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি, প্রশাসন সবাইকে ভাগ করে নিতে হবে। পরিবারে যদি শিশু দায়িত্ব নিতে না শেখে, শিক্ষা যদি চিন্তা করতে না শেখায়, সমাজ যদি উৎসাহ না দেয়, রাজনীতি যদি পথ দেখাতে না পারে তাহলে তরুণরাও হারিয়ে যাবে।

এখনো সময় আছে। তরুণদের সম্ভাবনা ফিরিয়ে আনতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে-

→ শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে হবে,

তরুণদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে,

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে হবে,

রাজনীতিতে আদর্শিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে,

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।

এই দেশের ভবিষ্যৎ এই তরুণদের হাতেই। তাদের চোখে স্বপ্ন ফিরিয়ে দিতে না পারলে, একসময় এই রাষ্ট্রই স্বপ্নহীন হয়ে পড়বে। তাই আজ প্রশ্ন নয়, আজ প্রয়োজন উত্তরদায়ী ভূমিকা।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, উত্তরের কণ্ঠ

নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সুখবরটি জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। প্রথম সন্তানের আগমনের খবরে দুই পরিবারেই বইছে আনন্দের বন্যা। 

তবে শোনা যায়, দেশের চিকিৎসকরা নাকি স্বাগতাকে সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাগতা চান নরমাল ডেলিভারি। আর সে জন্য থাইল্যান্ডে পারি জমিয়েছেন অভিনেত্রী। স্বাগতা জানান, দুই মাস ধরেই সেখানে অবস্থান করছেন তিনি।

স্বাগতার কথায়,‘আমি একটা মিশন নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছি। যদিও আমাকে বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছে  “তুমি ভুল করছ”। তবুও আমি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো যেন নরমাল ডেলিভারিতে আমার সন্তান পৃথিবীতে আসে।’

স্বাগতা আরও বলেন,‘আমি শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে সচেতন। কারণ, সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মায়েদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। প্রথমে যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সেখানে তা সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতাল বদল করেছি। এখন নতুন চিকিৎসকের অধীনে আছি এবং আশাবাদী।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ বিয়ের এক বছরের মাথায় মা হওয়ার খবর জানান স্বাগতা। স্বাগতার স্বামী দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও বন্ধু হাসান আজাদ একজন লন্ডন প্রবাসী। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানিয়েছিল, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের।

ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৯:৫২ অপরাহ্ণ
ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নতুন ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের মন কেড়েছেন। ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবিতে বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখা এই অভিনেত্রী এবার শাড়িতে ধরা দিয়ে নেটদুনিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়েছেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় কৌশানি। নিজের ভালো লাগা, ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রায়ই তিনি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে কৌশানি লিখেছেন, ‘ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলানো।’

শেয়ার করা ছবিগুলোতে কৌশানিকে দেখা যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি শাড়িতে। তার আবেদনময়ী চোখের চাহনি আর মিষ্টি হাসি মুহূর্তেই কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের নজর। অভিনেত্রীর এই বাঙালি সাজ দেখে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তার অনুরাগীরা।

কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘আপনি অনেক সুন্দর শাড়িতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘দিদিকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে এ ছবিগুলোতে।’ বোঝাই যাচ্ছে, কৌশানির এই নতুন লুক ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।

"> ">
যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার? নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি ‘নাহিদ রানার মতো পেসার আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কার মধ্যে পুতিন-শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ট্রাম্প ইরানে ফোন করে জানছে সবাই: ‘আমিরাতের দুয়ার কবে খুলবে?’ ‘সম্ভাব্য যুদ্ধের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক ইরানের ভয়ে কাতার-বাহরাইন থেকে যুদ্ধবিমান-জাহাজ সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের সঙ্গে অবিশ্বাস্য অংশীদারিত্বের দাবি নেতানিয়াহুর তেহরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিতে ট্রাম্পের প্রতি স্টারমারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রকে ফের সতর্ক করলো রাশিয়া ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান ইরানের হামলায় হাজার হাজার ইসরায়েলি গৃহহীন স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে ডেকে গাছে বেঁধে মারধর বীরগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শেরপুরে দোকানের টিনের চালা কেটে নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষ টাকার পন্য চুরি। জুলাই অভ্যুত্থান আন্দোলনকারী এক নারীকে বিয়ের অভিযোগে শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার লাভের ৪দিন পরে ক্লোসড ওসি মতিউর বীরগঞ্জে দুর্নীতি নিরসনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সাবেক যুবদলের সেক্রেটারি সুলতান এর মাতার ইন্তেকাল চন্দনাইশে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন কাহারোলে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিল্ক ফিডিং বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি পূণঃবহাল করলেন- চেম্বার আদালত বীরগঞ্জে প্রকাশ্যে ধুমপান করায় ৩ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত  বীরগঞ্জে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপন ‘বিসিবিতে ক্রিকেট ছাড়া সব হচ্ছে, আগ্রহ কমছে মানুষের’ সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় : ১২ দলীয় জোট সব দলই চায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : এলডিপি মহাসচিব আইনি বিপাকে আরশাদ ওয়ারসি