ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালালের দৌরাত্ত অবৈধভাবে অর্থ হাতানোর অভিযোগ

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ১নং ডাবর ইউনিয়নের জয়নন্দ হাট এলাকার তৈয়ব আলির পুত্র আব্দুল মান্নান. ১নং ডাবর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে অবৈধভাবে দালাল হিসাবে তার অবস্থান। সরকারি চাকুরি করেন না, তবুও তার নিকট থাকে ভূমি অফিসের চাবি। অফিসের চেয়ারে বসেই খাজনা খারিজের রিসিপ কাটেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলেন আমি এই অফিসেই চাকুরি করি। সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত খাজনা দিতে আসা ব্যক্তিদের নিকট খাজনার অধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য-৬ দিনাজপুর-১ (কাহারোল-বীরগঞ্জ), জেলা প্রশাসক দিনাজপুর সহকারী কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাহারোল, দিনাজপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাহারোল দিনাজপুর এবং চেয়ারম্যান ১নং ডাবর ইউনিয়ন পরিষদ কাহারোল দিনাজপুর, বরাবর এলাকাবাসী ৬৭ জন গণস্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে তৈয়ব আলির পুত্র আব্দুল মান্নান অবৈধভাবে দালাল হিসেবে ১নং ডাবর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান করছেন তার হাতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের চাবি থাকে কিন্তু তিনি সরকার কর্তৃক কোন দায়িত্ব প্রাপ্ত হন নি। কোন ব্যক্তি অত্র ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে গেলে সে খাজনা হিসাব প্রদান করে এবং দর কষাকষি করে নিজেই খাজনার হিসাব নির্ধারণ করে। সে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অধিক পরিমাণ অর্থ অনেক ভুক্তভোগীর কাছে গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে অনেক প্রমাণ রয়েছে, তাছাড়া সে অফিসের এক জনের তথ্য অন্য জনকে জানায়, সরকারের খাস জমি বন্ধবস্ত করে দিবে বলে, অনেকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে। এছাড়াও সে অফিসের কর্মচারীর চেয়ারে বসে থাকে এবং বলে যে, সে অত্র ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী। এ বিষয়ে কোন ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে কিছু বলতে গেলে, উলটো ভূমি কর্মকর্তা তার পক্ষ নিয়ে বলেন এ্যাসিলেন্টকে ডেকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দিব, এ ভয়ে কেহই মো. আব্দুল মান্নান এর বিপক্ষে কথা বলতে সাহস পান না।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রসিদ (অনুচ্ছেদ ৩৯২ দ্রষ্টব্য) জমির মালিক শুভ চন্দ্র রায় ২নং রেজিস্ট্রার অনুযায়ী হোল্ডিং নং- ৪৩০, খতিয়ান নং- ৪৩০ পরিশিষ্ট-৩৮ ক্রমিক নং- ২৭৫৬২৩০২১৬৩৬ জানান আমার খাজনা ৯শ টাকা অথচ আব্দুল মান্নান আমার কাছে নিয়েছে ৫ হাজার টাকা। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রসিদ (অনুচ্ছেদ ৩৯২ দ্রষ্টব্য) জমির মালিক রঞ্জিত কুমার রায় পরিশিষ্ট-৩৮, ক্রমিক নং- ২৭৫৬২৩০২৭৫৬২৩০২৩৬৭৬ জানায় তার খাজনা ১৭০৫০ টাকা এর বিপরীতে তার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
১নং ডাবর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মঞ্জুরুল এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়। আব্দুল মান্নানের কাছে অফিসের চাবি থাকার প্রশ্নই আসে না। কারণ সে এখানে চাকুরি করে না। তবে সে মাঝে মধ্যে অফিসে আসে, কেন আসে, এই প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তারাও এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
আপনার মতামত লিখুন