একমাত্র ছেলের কাছে ঠাঁই হয়নি হামিদ মাস্টারের
বৃদ্ধ হামিদ মাস্টার। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন। অনেক ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছেন। গ্রামে জমি-বসতভিটাসহ শহরে ছিল দোতলা বাড়ি। স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সুখেই কাটছিল তার সংসার। হঠাৎ স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ছেলেকে বিয়ে করান। কিন্তু জমিজমাসহ শহরের দোতলা বাড়ি একমাত্র ছেলে আলামিনের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পরই বাড়ি ছাড়া হতে হয় হামিদ মাস্টারকে। ছেলে ও তার স্ত্রী মারধর করে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় তাকে। এরপর থেকেই হামিদ মাস্টারের ঠাঁই হয় মেহেরুন্নেছা বৃদ্ধাশ্রমে।
মেহেরুন্নেছা বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আপেল মাহমুদ উত্তরের কণ্ঠকে বলেন, বৃদ্ধ হামিদ মাস্টারের জীবনের কাহিনি অনেক করুণ। শিক্ষিত মানুষ। উনার সমস্ত সম্পদ ছেলে লিখে নিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এত কষ্ট নিয়ে এখনো যে সুস্থ আছে এটা বিশাল ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই বৃদ্ধাশ্রমে ৪৫ জন বৃদ্ধ বাবা-মা আছে। প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু ট্র্যাজেডি রয়েছে। এখানে প্রতিবন্ধী, প্যারালাইজডসহ বিভিন্ন রোগে-শোকে আক্রান্ত বাবা-মা রয়েছেন। যাদের তিনবেলার খাবার, চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচ এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে হচ্ছে। এখানে আমরা কোনো সরকারি অনুদান পাই না। এই রমজান মাসে আমাদের অনেক সংকট।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সমাজের বিত্তবান মানুষদের অসুস্থ মা-বাবাদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
আপনার মতামত লিখুন