খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন, ১৪৩১

এবার একটু অন্যরকম শোকের মাস!

ড. রাহমান নাসির উদ্দিন প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ
এবার একটু অন্যরকম শোকের মাস!

আগস্ট শোকের মাস। বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত বেদনাবিধুর মাস। জাতির পিতার বিয়োগান্ত হত্যাকাণ্ডের মাস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, পলিটিক্যাল ক্যাটাগরি হিসেবে বাঙালির স্বতন্ত্র জাতিসত্তার জন্মদাতা, বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ও সা‍র্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।

তাই, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ ইতিহাসের কলঙ্কতম দিন। অবিভক্ত ভারতবর্ষের (১৯৪৭ পর্যন্ত), বিভক্ত পাকিস্তানের (১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত) এবং স্বাধীন বাংলাদেশের (১৯৭১ সালের পরবর্তী) শত বছরের সম্মিলিত রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যার মতো কলঙ্কজনক অধ্যায় আর একটিও নেই।

শত বছরের ইতিহাসে যেমন ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ, ১৫১১-এর বঙ্গভঙ্গ রদ, ১৯৩৫-এর ভারত শাসন আইন, ১৯৪০-এর লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪৭-এর দেশভাগ, ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৭০-এর জাতীয় নির্বাচন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চ প্রভৃতি এতদ অঞ্চলের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড এতদ অঞ্চলের বিগত একশো বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক, জঘন্যতম এবং ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। জাতির জনকের এ হত্যাকাণ্ড ঘটে কোনো বিদেশি শত্রুর হাতে নয়, বরঞ্চ এদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার, এদেশেরই আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা কিছু অমানুষ, বাঙালির জাতির পিতাকে হত্যা করে ইতিহাসের এ নৃশংসতম এবং জঘন্যতম কলঙ্কের জন্ম দিয়েছে।

ইতিহাসের এ নৃশংসতাকে মনে রেখে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার জায়গা থেকে পুরো আগস্ট মাস আমরা জাতীয়ভাবে শোকের মাস হিসেবে পালন করি। এবারও তাই হবে কেননা জাতি হিসেবে পিতার প্রতি জাতির সম্মান প্রদর্শনের এটা একটি প্রতীকী অনুশীলন।

এবারের শোকের মাসে শোক পালনের দীর্ঘশ্বাস এবং স্বাভাবিক নিঃশ্বাস যেন একটু ভারি ভারি লাগছে। কেননা, জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত এবং শতাধিক মানুষের করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের মনকে, হৃদয়কে এবং বিবেককে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একবার কোটা সংস্কারের আন্দোলন হয়েছিল। সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫৬ শতাংশ কোটা থাকায় মেধাবীদের সুযোগ সংকোচিত হয়—এ ব্যাখ্যা ও যুক্তি দিয়ে কোটার একটা যৌক্তিক সংস্কারের দাবি উঠেছিল। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি সরকারি পরিপত্র জারির মাধ্যমে ২০১৮ কোটা প্রথা একেবারেই বাতিল করা হয়েছিল।

২০২১ সালে দুইজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালে জুনের ৫ তারিখ ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারি পরিপত্র বাতিল করা হয়। ফলে, সরকারি চাকরিতে কোটা আবার ফিরে আসে। এ কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে।

এবারের শোকের মাসে শোক পালনের দীর্ঘশ্বাস এবং স্বাভাবিক নিঃশ্বাস যেন একটু ভারি ভারি লাগছে। কেননা, জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত এবং শতাধিক মানুষের করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের মনকে, হৃদয়কে এবং বিবেককে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।

সরকারের পক্ষ থেকেও কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিকে সমর্থন করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। আমি নিজেও কোটা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান করি, কিন্তু কোটা প্রথা পুরোপুরি বাতিলের বিপক্ষে। সমাজের বিদ্যমান অসমতা জারি রেখে সুযোগের সাম্যতার বিধান অসম জনগোষ্ঠীর প্রতি অবিচার। তাই, বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিল নয়; সংস্কার চাই।

কেননা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, পিতৃতান্ত্রিক সমাজের নারীর অবস্থান এবং প্রত্যন্ত জেলার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সমাজের সুবিধাভোগী এবং সুবিধা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে এক কাতারে মাপা যাবে না। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না দিলে সেটা হবে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার দর্শনের পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ নম্বর ধারায়ও সেটা বলা আছে।

তাছাড়া, মুক্তিযোদ্ধার কোটাও বাদ দেওয়ার পক্ষে আমি নই কারণ মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এদেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। আজকে আমরা যে একটি মুক্ত, স্বাধীন ও সা‍র্বভৌম দেশে বাস করছি এবং মুক্ত আলো-বাতাস নিতে পারছি সেটা জাতির সূ‍র্যসন্তান এসব মুক্তিযোদ্ধাদেরই জন্য।

তাই, তাদের জন্য কোটা রাখাটা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাতারে মাপা যাবে না। বরঞ্চ এটাকে দেখতে হবে রাষ্ট্রীয় সম্মান, সামাজিক কৃতজ্ঞতা এবং প্রাজন্মিক শ্রদ্ধার স্মারক ও নিদর্শন হিসেবে। কিন্তু সবমিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটাকে সংস্কার করে একটা যৌক্তিক হারে নামিয়ে আনা উচিত।

অবশেষে সুপ্রিম কো‍র্টের আপিল বিভাগ ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১ শতাংশ নৃ-গোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশনা দিয়ে একটা রায় দেয়। এ রায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কেননা সমাজের সর্বস্তরে এর একটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এমনকি ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ও এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।

কেন ৪ বছরের আহাদ, ৬ বছরের রিয়া, ১০ বছরের হোসাইন, ১১ বছরের সামির, ১৩ বছরের মোবারক, ১৪ বছরের তাহমিদ, ১৬ বছরের ইফাত এবং ১৬ বছরের নাঈমাকে জীবন দিতে হলো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি।

সরকারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিপত্র জারি করে আপিল বিভাগের রায়কে সক্রিয়ভাবে কার্যকর করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আন্দোলনকারী এবং সরকার উভয়েরই যদি একই চাওয়া হয়, তাহলে কেন এত রক্তপাত হলো? কেন এত মানুষকে হত্যা করা হলো? কেন কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী নামিয়ে দেশে একটা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হলো?

কেন বাংলাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিতে হলো? কেন হাজারেরও বেশি লোককে কারাগারে যেতে হলো? কেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্তে রঞ্জিত হলো রাজপথ? কেন পুলিশকে জীবন দিতে হলো? কেন ছয়জন সাংবাদিককে জীবন দিতে হলো?

কেন ৪ বছরের আহাদ, ৬ বছরের রিয়া, ১০ বছরের হোসাইন, ১১ বছরের সামির, ১৩ বছরের মোবারক, ১৪ বছরের তাহমিদ, ১৬ বছরের ইফাত এবং ১৬ বছরের নাঈমাকে জীবন দিতে হলো? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে, এসব নির্মম হত্যাকাণ্ডে যখন জুলাই মাসের পুরোটাই ভারাক্রান্ত তখন আগস্ট মাসে এসে অর্থাৎ জাতীয় শোকের মাসে এসে আমাদের মনটা যেন অন্যান্য বছরের চেয়ে অধিকতর ভারাক্রান্ত, আমাদের নিঃশ্বাস যেন অধিকতর ভারি এবং আমাদের বেদনা যেন অধিকতর বেদনাতুর।

তাই, এবারের শোকের মাস যেন অন্যরকম শোকের মাস। এ শোকের মাসে পিতার সাথে সাথে সন্তান-সন্ততির জন্যও যেন আমরা সামান্য শোক বরাদ্দ রাখি।

ড. রাহমান নাসির উদ্দিন ।। নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল কারার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি’র হারেজ উদ্দিন ও আবু শাহীন সানি, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই রনি উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, এম ইদ্রিস আলী সাকিদার, বাদশা আলম, নুরুল আজাদ, হাফিজার রহমান কাজল, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুকুল, নাসির উদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, মাসফিকুর রহমান মামুন, ইবনে সাউদ, রেজাউল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল আরমান রাজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায় জিল্লুর রহমান, ইউনুস আলী হলুদ, শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহান পুটু প্রমুখ।

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

জেলা প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. ইউনুস নবি রাজিব নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো. ইউনুস নবি রাজিব নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুন্দলপুর গ্রামের সেরাজ মুন্সীর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।

জানা যায়, ২০২০ সালে ভাগ্য পরিবর্তনে ওমানে পাড়ি জমান মো. ইউনুস নবি রাজিব। সেখানে বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেলের সঙ্গে বিদ্যুতের কাজ করতেন তিনি। তিনি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে সিড়িতে পড়ে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের ভাই আইয়ুব নবী সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা চার ভাই তিন বোন। আমার বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেল ও মো. ইউনুস নবি রাজিব ওমানে বিদ্যুতের কাজ করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে আমার মা বিবি তাহেরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। শোকে তিনি পাগলের মতো কথা বলছেন।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ৪ বছর আগে ওমান পাড়ি দেয় মো. ইউনুস নবি রাজিব। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন। মরদেহ দেশে আনতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।

গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

গাজায় শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে এক রাতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। স্থানীয় লোকজন এবং গাজার প্রশাসনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চালানো হয়েছে এই হামলা এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ নিহত এবং আহতদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে, তাদের ভিত্তিতে এই হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ধ্বংসস্তূপ এবং বালিতে অনেকের দেহ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এবং উদ্ধারকর্মীরা বাকি হতাহতদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছেন।

আল-মাওয়াসির বাসিন্দা মামুদ আল নিমস সিএনএনকে বলেন, “রাতের বেলা আমরা ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে জেগে উঠলাম এবং তারপরই চারদিক থেকে গুলির শব্দ শুনলাম। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না যে শরণার্থী এলাকার ঠিক কোথায় হামলা হয়েছিল এবং যারা ধ্বংসস্তূপ ও বালির নিচে চাপা পড়েছে, তাদের অবস্থান কোথায়। পুরো এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।”

আল মাওয়াসি শরণার্থী এলাকাটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নিকটবর্তী। হামলার পর নিহত এবং আহতদের খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হতাহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিশু— সব ধরনের এবং সব বয়সের মানুষ রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আল মাওয়াসিতে হামাসের অন্তত তিন জন জ্যেষ্ঠ নেতা আত্মগোপন করে আছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো তাদের কাছে। এই তিন জন হলেন হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের ড্রোন বিভাগের প্রধান সামের ইসমাইল কাদের আবু দাক্কা, ব্রিগেডের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা তাবেশ এবং জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা আয়মান মাবহৌ। এই কারণেই সেখানে হামরা চালানো হয়েছে।

তবে যাদের লক্ষ্য করে এই হামলা পরিচালিত হয়েছিল, তারা নিহত হয়েছেন কি না— বিবৃতিতে তা নিশ্চিত করেনি আইডিএফ।

সূত্র :আলজাজিরা, সিএনএন

"> ">
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ায় মাছ ধরার ৭ ট্রলার ডুবি ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আজ শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ এর জানাযা সম্পূর্ণ শেরপুরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানীতে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ৪ জন নিহত বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ খুন ০২ জন এই নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা লঞ্চঘাটের বাস কাউন্টার দখল দ্বন্দ্বে মুখোমুখি বিএনপির দুই গ্রুপ ‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’ কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: ২৫ দেশের ১৩০ শহরে বিক্ষোভ সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকেছে চীনা সৈন্যরা তিস্তা চুক্তি : বন্ধুত্ব না স্বার্থের সংঘাত? গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩, প্রাণহানি ৪১ হাজার ছুঁই ছুঁই আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয় ভেঙে ইউএস ওপেনে সিনারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, নেই বয়সসীমা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহেল বাঁচতে চায় বৈষম্যের শিকার হরিজন সম্প্রদায় নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বিএনপির অন্তর্কোন্দল খানসামায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আহত চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু জানা গেল ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ হুন্দাই সিএনজি-চালিত প্রাইভেটকার আনল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে যাদেরর কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের ৫ অনুরোধ